ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইনতিফাদা’র ঘোষণা হামাসের, শুক্রবার ক্ষোভ দিবস পালনের আহ্বান
জেরুজালেমকে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি
দেয়ায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে নতুন করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের
ইসলামপন্থি শক্তিশালী সংগঠন হামাস। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ গাজায়
বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শত্রুদের বিরুদ্ধে আরেকটি
ইনটিফাদার আহ্বান জানাই আমরা এবং তা চালুর জন্য আমাদের কাজ করা উচিত। মে
মাসে হামাসের প্রধান নির্বাচিত হন ইসমাইল হানিয়ে। তিনি ফিলিস্তিনি, মুসলিম ও
আরবদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, শুক্রবার দিনটি যুক্তরাষ্ট্রের
সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে র্যালি করুন আপনারা।
এ দিনটিকে তিনি ‘ক্ষোভ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণায় বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে ৮ই ডিসেম্বর হোক আমাদের ইনটিফাদা’র প্রথম দিন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে থাকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না হামাস। এ সংগঠনের আত্মঘাতী বোমারুরা ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শেষ ইনটিফাদা’য় সহায়তা করেছিল। ইসমাইল হানিয়ে বলেন, জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনের জন্য হুমকি এমন কৌশলগত কোনো বিপদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সব হামাস সদস্য ও এর শাখা প্রশাখাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে নতুন নির্দেশনার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা ও ইসরাইল দখলীকৃত পশ্চিম তীরের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একীভূত জেরুজালেম হলো আরব ও মুসলিমদের। এটা হলো ফিলিস্তিনি, সব ফিলিস্তিনির রাজধানী। এ সময় তিনি পশ্চিমাদের সমর্থন পাওয়া ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানান ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে। আহ্বান জানান ট্রাম্প প্রশাসনকে বর্জনের। ইসমাইল হানিয়ে বলেন, এটা ঘোষণা করা যেতে পারে যে, তথাকথিত শান্তি চুক্তির কবর রচনা হয়েছে। শান্তিচুক্তিতে অংশীদার ফিলিস্তিনি বলে আর কিছুই নেই।
এ দিনটিকে তিনি ‘ক্ষোভ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণায় বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে ৮ই ডিসেম্বর হোক আমাদের ইনটিফাদা’র প্রথম দিন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে থাকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না হামাস। এ সংগঠনের আত্মঘাতী বোমারুরা ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শেষ ইনটিফাদা’য় সহায়তা করেছিল। ইসমাইল হানিয়ে বলেন, জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনের জন্য হুমকি এমন কৌশলগত কোনো বিপদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সব হামাস সদস্য ও এর শাখা প্রশাখাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে নতুন নির্দেশনার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা ও ইসরাইল দখলীকৃত পশ্চিম তীরের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একীভূত জেরুজালেম হলো আরব ও মুসলিমদের। এটা হলো ফিলিস্তিনি, সব ফিলিস্তিনির রাজধানী। এ সময় তিনি পশ্চিমাদের সমর্থন পাওয়া ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানান ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে। আহ্বান জানান ট্রাম্প প্রশাসনকে বর্জনের। ইসমাইল হানিয়ে বলেন, এটা ঘোষণা করা যেতে পারে যে, তথাকথিত শান্তি চুক্তির কবর রচনা হয়েছে। শান্তিচুক্তিতে অংশীদার ফিলিস্তিনি বলে আর কিছুই নেই।
আরব লীগের জরুরি বৈঠক আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্র
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ায় আরব লীগের জরুরি বৈঠক
আহ্বান করেছে জর্ডান ও ফিলিস্তিন। বুধবারই তারা এমন আহ্বান জানায়। এতে বলা
হয়, জেরুজালেমে অবস্থিত আল কুদস-এর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা আলোচনা
হবে ওই বৈঠকে। কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সৌদি গেজেট বলেছে, শনিবার ওই
বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান ১৩ই
ডিসেম্বর ইস্তাম্বুলে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জরুরি
বৈঠক আহ্বান করেছেন। এ কথা জানিয়েছেন তার মুখপাত্র ইব্রাহিম কলিন।
তিনি আঙ্কারা থেকে সাংবাদিকদের বলেন, জেরুজালেমের মর্যাদা নিয়ে যে স্পর্শকাতরতা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ওআইসির নেতাদের ওই বৈঠক আহ্বান করেছেন। এতে ইসলামিক দেশগুলো যৌথভাবে কি করণীয় তা নিয়ে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ওআইসির চেয়ারম্যান তুরস্ক। ওদিকে জেরুজালেমের বিষয়ে আরব ও ইসলামিক মনোভাবাপন্নদের সহযোগিতার বিষয়ে রোববার ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ব্যতিক্রমী বৈঠক আহ্বান করেছে জর্ডান সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার আগে তাকে কড়া সতর্কতা দিয়েছিলেন এরদোগান। তিনি মঙ্গলবার বলেন, জেরুজালেমের মর্যাদা মুসলিমদের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমারেখা। এর ফলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নও করতে পারে তুরস্ক। তবে জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘ যে রেজুলেশন নিয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রাঁসিস।
তিনি আঙ্কারা থেকে সাংবাদিকদের বলেন, জেরুজালেমের মর্যাদা নিয়ে যে স্পর্শকাতরতা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ওআইসির নেতাদের ওই বৈঠক আহ্বান করেছেন। এতে ইসলামিক দেশগুলো যৌথভাবে কি করণীয় তা নিয়ে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ওআইসির চেয়ারম্যান তুরস্ক। ওদিকে জেরুজালেমের বিষয়ে আরব ও ইসলামিক মনোভাবাপন্নদের সহযোগিতার বিষয়ে রোববার ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ব্যতিক্রমী বৈঠক আহ্বান করেছে জর্ডান সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার আগে তাকে কড়া সতর্কতা দিয়েছিলেন এরদোগান। তিনি মঙ্গলবার বলেন, জেরুজালেমের মর্যাদা মুসলিমদের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমারেখা। এর ফলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নও করতে পারে তুরস্ক। তবে জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘ যে রেজুলেশন নিয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রাঁসিস।
No comments