যুক্তরাষ্ট্র নয় পাকিস্তানের নতুন মিত্র চীন-রাশিয়া
পাকিস্তানের
জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্ক পর্যালোচনা করা এবং চীন ও রাশিয়ার
সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করার এখনই উপযুক্ত সময়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খাজা আসিফ মঙ্গলবার এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র যখন পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে
ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে, ঠিক তখনই এই মন্তব্য করলেন খাজা আসিফ। তার
এ মন্তব্যে প্রাচ্যের দেশ দু’টির সাথে পাকিস্তানের মিত্রতা গড়ে তোলার আভাস
ফুটে উঠেছে। সাবেক মিত্র দুই দেশের মধ্যে গভীরতম অবিশ্বাসের অবসান ঘটাতে
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ইসলামাবাদে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা
এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে বৈঠকের মাত্র এক দিন পর মঙ্গলবার আসিফ এ কথা
বলেন। ইসলামাবাদে আয়োজিত একটি সেমিনারে আসিফ বলেন, ‘চীন আমাদের পাশে এবং
আমাদের মধ্যে একটি সাধারণ প্রাচীর রয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়াও আমাদের অনেক ভালো
বন্ধু হতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ করছে যে, আফগান তালেবানকে সমর্থন
করছে পাকিস্তান।
ওই দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর পর দেড় দশক ধরে তালেবান
যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে মার্কিন ও তাদের সমর্থিত সরকারি বাহিনী।
ওয়াশিংটন বলছে, পাকিস্তানের বৈরী দেশ ভারত আফগানিস্তান পাকিস্তানের চেয়ে
ভালো ভূমিকা পালন করতে পারবে ভারত। তালেবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের
যোদ্ধাদের সমর্থন দেয়ার কথা অস্বীকার করছে পাকিস্তান। উল্টো তারা অভিযোগ
করছে, আফগানভিত্তিক সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের বেসামরিক নাগারিক এবং
নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর হামলা চালালেও কাবুল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা
নিচ্ছে না। বেইজিংয়ের ওয়ান বেল্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে চীন-পাকিস্তান
অর্থনৈতিক করিডোরে বেইজিং ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি মূলত
এক সড়ক প্রকল্প যা সড়ক, রেল ও পাইপলাইনের মাধ্যমে জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে
পাকিস্তান হয়ে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।
সম্প্রতি পাকিস্তান রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি করেছে যার মাধ্যমে দুই দেশের
সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ইসলামের নবী কাউকে আঘাত করেননি : মমতা
পার্স টুডে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইসলামের নবী কখনো কাউকে আঘাত করেননি। তিনি এসেছিলেন মানুষের মুক্তির জন্য। গতকাল বুধবার কলকাতায় যুব তৃণমূলের আয়োজনে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ২৫তম বার্ষিকীতে ‘সংহতি দিবস’ পালনের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মমতা বলেন, ‘বিশ্বনবী (সা:) দিবস পালিত হলো ক’দিন আগে। তিনি কী বলেছেন? তাঁকে যখন আহত করা হয়েছে, তিনি বলেছেন, আমাকে আঘাত করেছে বলে আমি কাউকে আঘাত করব না। আমি অভিশাপ দিতে পৃথিবীতে আসিনি। আমি মানুষকে মুক্তি দিতে এসেছি। আমি মানুষকে রা করতে এসেছি। আমি মানুষকে রা করতে এসেছি। এটি আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। মমতা বলেন, ‘আমি সব ধর্মকে ভালোবাসী ও বিশ্বাস করি। যতণ জীবন থাকবে সব ধর্মের জন্য লড়াই করে যাব।’ ‘সব ধর্মের মানুষের জন্য লড়াই করাই আমার জীবনের সংগ্রাম, শুরু ও শেষ। এটিই আমার ভাষা এবং প্রত্যাশা।’ মমতা বলেন, ‘ভারতে বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে ঐক্য। ‘নানা ভাষা, নানা মতের মধ্যেই মহান ঐক্য নিয়ে আমরা বাঁচব। এটাই আমাদের শপথ, এটিই আমাদের অঙ্গীকার।’ মমতা মতাসীন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিভিন্ন পদপে ও চলমান অসহিষ্ণুতার তীব্র সমালোচনা করেন। বিজেপিকে কটা করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তার নিজ চেয়ারের মর্যাদা দিতে ব্যর্থ, তারা নাকি বাংলাকে পথ দেখাবে! তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ওরা জানে না, বাংলা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ সমর্থন করে না।’ মমতা বলেন, ‘কে কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? পাঞ্জাবিরা কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? মুসলিম ভাইবোনেরা কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? হিন্দু ভাইবোনেরা কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? যার যা ইচ্ছা তা খাবেন।’
পার্স টুডে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইসলামের নবী কখনো কাউকে আঘাত করেননি। তিনি এসেছিলেন মানুষের মুক্তির জন্য। গতকাল বুধবার কলকাতায় যুব তৃণমূলের আয়োজনে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ২৫তম বার্ষিকীতে ‘সংহতি দিবস’ পালনের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মমতা বলেন, ‘বিশ্বনবী (সা:) দিবস পালিত হলো ক’দিন আগে। তিনি কী বলেছেন? তাঁকে যখন আহত করা হয়েছে, তিনি বলেছেন, আমাকে আঘাত করেছে বলে আমি কাউকে আঘাত করব না। আমি অভিশাপ দিতে পৃথিবীতে আসিনি। আমি মানুষকে মুক্তি দিতে এসেছি। আমি মানুষকে রা করতে এসেছি। আমি মানুষকে রা করতে এসেছি। এটি আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। মমতা বলেন, ‘আমি সব ধর্মকে ভালোবাসী ও বিশ্বাস করি। যতণ জীবন থাকবে সব ধর্মের জন্য লড়াই করে যাব।’ ‘সব ধর্মের মানুষের জন্য লড়াই করাই আমার জীবনের সংগ্রাম, শুরু ও শেষ। এটিই আমার ভাষা এবং প্রত্যাশা।’ মমতা বলেন, ‘ভারতে বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে ঐক্য। ‘নানা ভাষা, নানা মতের মধ্যেই মহান ঐক্য নিয়ে আমরা বাঁচব। এটাই আমাদের শপথ, এটিই আমাদের অঙ্গীকার।’ মমতা মতাসীন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিভিন্ন পদপে ও চলমান অসহিষ্ণুতার তীব্র সমালোচনা করেন। বিজেপিকে কটা করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তার নিজ চেয়ারের মর্যাদা দিতে ব্যর্থ, তারা নাকি বাংলাকে পথ দেখাবে! তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ওরা জানে না, বাংলা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ সমর্থন করে না।’ মমতা বলেন, ‘কে কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? পাঞ্জাবিরা কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? মুসলিম ভাইবোনেরা কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? হিন্দু ভাইবোনেরা কী খাবেন তা কি ওরা ঠিক করে দেবেন? যার যা ইচ্ছা তা খাবেন।’
No comments