‘আগুন নিয়ে খেলছেন ট্রাম্প’
আগুন
নিয়ে খেলছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এমন মন্তব্য করেছেন ইরাইলের পার্লামেন্টে
ফিলিস্তিনি একজন এমপি। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে
ট্রাম্প উসকে দিয়েছেন বিপদের সমূহ আশঙ্কা। এর প্রতিবাদে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে
উঠেছে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক অঙ্গন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা
হয়, ওই ঘোষণার পর নানা রকম প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনের
নেতৃবৃন্দ।
ট্রাম্পের ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ধ্বংসাত্মক। তেল আবিব থেকে দুতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাবার ইচ্ছা পোষণ করে ট্রাম্পের পূর্বের দেয়া এক বিবৃতির জবাবে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের শাশ্বত রাজধানী উল্লেখ করেন আব্বাস। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনাতে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ স্বীকৃতিকে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের উপঢৌকন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আরো বলেছেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনের ভূমি দখলে ইসরাইলের আগ্রাসনকে আরো উৎসাহিত করবে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিন দিনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছেন ফিলিস্তিনের নেতারা। কয়েক দশক ধরে জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৯৪৮ সাল থেকে জেরুজালেমের পশ্চিম অংশ দখল করে রেখেছে ইসরাইল। ১৯৬৭ সালে সিরিয়া, মিশর এবং জর্ডানের সঙ্গে যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় তারা। এর ফলে জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে জেরুজালেমে ইসরাইলের দখলদারিত্বের এবং কর্তৃত্বের কোন ধরণের স্বীকৃতি দেয় নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাজধানী হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিন। ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণাতে জেরুজালেমের বাস্তবতা এবং বৈধতার কোন পরিবর্তন হবে না। আমরা জাতীয় স্বাধীনতা অর্জন করবো- বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন তিনি। অন্যদিকে, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর সেক্রেটারি-জেনারেল সাইব ইরেকাত বলেছেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করেছেন ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, ট্রাম্প শান্তির সম্ভাবনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি পুরো অঞ্চলে অসহিষ্ণুতা ডেকে আনছেন। এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে পিএলও-এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সভা ডাকা হবে। গ্রহণ করা হবে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ইরেকাত আরো বলেন, রাজধানী জেরুজালেম ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা ভাবা অর্থহীন। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে- যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন প্রেসিডেন্টের নেয়া সবচেয়ে ভয়ানক সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন ইরেকাত। এছাড়াও, ইসরাইলি পার্লামেন্টের ফিলিস্তিনি সদস্য জামাল জাহালকা বলেছেন, ট্রাম্প আগুন নিয়ে খেলছেন। যারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন, তারা আসলে শান্তি ব্যাহত করে বিবাদ উসকে দিচ্ছেন। আল জাজিরার জ্যোষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, ট্রাম্প জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেয়া বক্তব্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বুলি তোতাপাখির মতো হুবহু আওড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইসরাইলের যে মনোভাব, ট্রাম্প তার বক্তব্যে অবিকল তা-ই বলেছেন। ট্রাম্পের বক্তব্যে শান্তি এবং সৌজন্যতার আড়ালে কিছু নাটকীয় ব্যাপার রয়েছে। তিনি বস্তুত ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং তাদের অধিকারের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। যুদ্ধ ঘোষণা করলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দ্বিপাক্ষিক বিরোধ নিস্পত্তিতে প্রণীত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিও।
ট্রাম্পের ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ধ্বংসাত্মক। তেল আবিব থেকে দুতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাবার ইচ্ছা পোষণ করে ট্রাম্পের পূর্বের দেয়া এক বিবৃতির জবাবে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের শাশ্বত রাজধানী উল্লেখ করেন আব্বাস। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনাতে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ স্বীকৃতিকে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের উপঢৌকন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আরো বলেছেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনের ভূমি দখলে ইসরাইলের আগ্রাসনকে আরো উৎসাহিত করবে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিন দিনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছেন ফিলিস্তিনের নেতারা। কয়েক দশক ধরে জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৯৪৮ সাল থেকে জেরুজালেমের পশ্চিম অংশ দখল করে রেখেছে ইসরাইল। ১৯৬৭ সালে সিরিয়া, মিশর এবং জর্ডানের সঙ্গে যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় তারা। এর ফলে জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে জেরুজালেমে ইসরাইলের দখলদারিত্বের এবং কর্তৃত্বের কোন ধরণের স্বীকৃতি দেয় নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাজধানী হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিন। ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণাতে জেরুজালেমের বাস্তবতা এবং বৈধতার কোন পরিবর্তন হবে না। আমরা জাতীয় স্বাধীনতা অর্জন করবো- বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন তিনি। অন্যদিকে, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর সেক্রেটারি-জেনারেল সাইব ইরেকাত বলেছেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করেছেন ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, ট্রাম্প শান্তির সম্ভাবনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি পুরো অঞ্চলে অসহিষ্ণুতা ডেকে আনছেন। এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে পিএলও-এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সভা ডাকা হবে। গ্রহণ করা হবে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ইরেকাত আরো বলেন, রাজধানী জেরুজালেম ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা ভাবা অর্থহীন। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে- যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন প্রেসিডেন্টের নেয়া সবচেয়ে ভয়ানক সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন ইরেকাত। এছাড়াও, ইসরাইলি পার্লামেন্টের ফিলিস্তিনি সদস্য জামাল জাহালকা বলেছেন, ট্রাম্প আগুন নিয়ে খেলছেন। যারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন, তারা আসলে শান্তি ব্যাহত করে বিবাদ উসকে দিচ্ছেন। আল জাজিরার জ্যোষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, ট্রাম্প জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেয়া বক্তব্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বুলি তোতাপাখির মতো হুবহু আওড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইসরাইলের যে মনোভাব, ট্রাম্প তার বক্তব্যে অবিকল তা-ই বলেছেন। ট্রাম্পের বক্তব্যে শান্তি এবং সৌজন্যতার আড়ালে কিছু নাটকীয় ব্যাপার রয়েছে। তিনি বস্তুত ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং তাদের অধিকারের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। যুদ্ধ ঘোষণা করলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দ্বিপাক্ষিক বিরোধ নিস্পত্তিতে প্রণীত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিও।
No comments