জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। আর সরকার পক্ষ থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ফলে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে প্রবৃদ্ধির হিসাবে বড় ধরনের ব্যবধান রয়েই গেল। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০১৬’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস, অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মতো কোনো সন্তোষজনক সংকেত নেই। অবকাঠামো দুর্বলতা, গ্যাস-সংকট, ব্যবসার উচ্চ ব্যয় এবং নীতি সহায়তার অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ আস্থার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় তাই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি হবে না বলে মনে করে বহুজাতিক এই দাতা সংস্থা।বিশ্বব্যাংক এও বলেছে, বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অভিঘাতের প্রধান তিনটি ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার থেকে ছয় মাসে অর্থনীতির সূচকগুলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছিল। তার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস হচ্ছে, অর্থবছর শেষে বেসরকারি খাতে ভোগ ব্যয় প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা গতবারের চেয়ে কম। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কারণে সরকারি খাতে ভোগ ব্যয় গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশের মতো বাড়বে। বিশ্বব্যাংকের মতে, সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও আর্থিক খাতে সুশাসন বাড়ানো গেলে আগামী অর্থবছরে (২০১৬-১৭) জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। অর্থনীতির বিভিন্ন খাতভিত্তিক পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে কৃষি ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও সেবা খাতে কমতে পারে। কৃষিতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আর সেবা খাতে গতবার প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, এবার তা কমে ৫ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। প্রবৃদ্ধির হিসাবে শতাংশের বিবেচনায় তারতম্য থাকলেও ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।
No comments