তারকারা নেই রানও নেই
গতকালকের আগ পর্যন্ত জাতীয় লিগের ওয়ানডেতে যে ১৮টি ইনিংসের খেলা হয়েছে, ১১টিতেই দুই শ পার করেছে দলগুলো। এর মধ্যে জাতীয় লিগ তিন শতাধিক রানের ইনিংস দেখেছে, দেখেছে ২৭৩ রান ধাওয়া করে পাওয়া জয়ও।
সেই জাতীয় লিগের গতকাল কী হাল! তিন ভেন্যুর কোথাও একটিও দুই শ ছোঁয়া ইনিংসের দেখা মিলল না। দিনের সর্বোচ্চ ১৭০ রানের ইনিংস খেলল ঢাকা। আর তাতেই মিরপুরে ঢাকার ৩৪ রানের জয় বরিশালের বিপক্ষে। ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচের নায়ক ঢাকার অধিনায়ক মোহাম্মদ শরীফ।
বাকি ম্যাচগুলোর হাল এর চেয়েও খারাপ। রাজশাহীতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১২২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে হয়েছে খুলনাকে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে একমাত্র আয়েশি দিন কাটিয়েছে রাজশাহী। বগুড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে সিলেটের করা ৯৪ রান টপকে গেছে খালেদ মাসুদের দল।
ঢাকা ও রাজশাহীর এই জয়ের ফলে দুই দলই এখন ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্টের মালিক। আর এবারের লিগে প্রথম ম্যাচ হারা বরিশালেরও ৪ ম্যাচে সমান পয়েন্ট। ফলে সেরা চারে পৌঁছানোর লড়াইটা বেশ জমে গেল। তবে এর চেয়ে বড় আলোচ্য এই রাউন্ডে রান-খরা।
এমন রান-খরার একটা সহজবোধ্য ব্যাখ্যা আছে—জাতীয় লিগ থেকে এই রাউন্ডে তুলে আনা হয়েছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের। জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ২৫ খেলোয়াড়ই যে এখন দেশের সেরা খেলোয়াড়, এটা প্রমাণ করার দায়ই যেন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানরা!
অবশ্য এসব বললে বোলারদের কৃতিত্বটাকে খাটো করে দেখানো হয়। অন্তত মিরপুরে মোহাম্মদ শরীফ যে পারফরম্যান্স করলেন, তিনি তো আপত্তি করতেই পারেন। ওদিকে জাতীয় দল অনুশীলন করছে, আর এদিকে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ছে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ; গতকাল সকালে এই ছিল মিরপুরের দৃশ্য।
৫৯ রান করা মেহরাব হোসেন জুনিয়র ছাড়া বরিশালের বোলারদের বিপক্ষে কেউই সেভাবে রুখে দাঁড়াতে পারেননি। মিরপুরের উইকেটে ১৭০ রান মোটেও বড় কিছু নয়। কিন্তু সেই রানটাকেই জয়ের জন্য ‘যথেষ্ট’ করে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন খোদ ঢাকার অধিনায়ক শরীফ। নিজের পরপর তিন ওভারে বরিশালের প্রথম তিন উইকেট নিয়ে তাণ্ডব শুরু করলেন জাতীয় দলের আপাতত সাবেক এই পেসার।
ঢাকার লেগস্পিনার নূর হোসেন মাঝে ৩ উইকেট নিয়ে বরিশালকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছিলেন। বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরাফাত সালাউদ্দিন। ৩৪ রান করা সালাউদ্দিনকেও ফিরিয়েছেন শরীফ। শেষ পর্যন্ত কামরুল ইসলামকে আউট করে বরিশালের ইনিংস আক্ষরিক অর্থে শেষ করেছেন এবং নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন তিনি।
বৃষ্টিতে বগুড়ায় সিলেট-রাজশাহী ম্যাচটা ৪৫ ওভারে নেমে এসেছিল। কিন্তু সে পর্যন্ত যেতে হয়নি। সানজামুল ও আলাউদ্দিন বাবু ৩টি করে উইকেট নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিলেটকে ৩৪.৩ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট করে দেওয়ার মিশনে। ইনিংস শুরু করতে নামা ফরহাদ রেজার ৭৭ রানে বিনা ক্ষয়ক্ষতিতে সে রান পাড়ি দিয়ে ফেলেছে রাজশাহী।
আগের রাতের বৃষ্টিতে ছোট হয়ে গিয়েছিল রাজশাহীতে চট্টগ্রাম-খুলনা ম্যাচটিও। ২৩ ওভারের সে ম্যাচে ফয়সালের ৪৫ ও আফতাবের ৩১ বলে ৩১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে পেরেছিল চট্টগ্রাম।
এই রান পাড়ি দিতে গিয়েই হারতে বসেছিল খুলনা। ২১তম ওভারে ১০৬ রান তুলতে তারা হারিয়ে ফেলেছিল ৮ উইকেট। বিশ্বনাথকে (৫) সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দিয়ে খুলনাকে জয় এনে দিয়েছেন ২৪ রান করা জিয়াউর রহমান।
সেই জাতীয় লিগের গতকাল কী হাল! তিন ভেন্যুর কোথাও একটিও দুই শ ছোঁয়া ইনিংসের দেখা মিলল না। দিনের সর্বোচ্চ ১৭০ রানের ইনিংস খেলল ঢাকা। আর তাতেই মিরপুরে ঢাকার ৩৪ রানের জয় বরিশালের বিপক্ষে। ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচের নায়ক ঢাকার অধিনায়ক মোহাম্মদ শরীফ।
বাকি ম্যাচগুলোর হাল এর চেয়েও খারাপ। রাজশাহীতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১২২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে হয়েছে খুলনাকে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে একমাত্র আয়েশি দিন কাটিয়েছে রাজশাহী। বগুড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে সিলেটের করা ৯৪ রান টপকে গেছে খালেদ মাসুদের দল।
ঢাকা ও রাজশাহীর এই জয়ের ফলে দুই দলই এখন ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্টের মালিক। আর এবারের লিগে প্রথম ম্যাচ হারা বরিশালেরও ৪ ম্যাচে সমান পয়েন্ট। ফলে সেরা চারে পৌঁছানোর লড়াইটা বেশ জমে গেল। তবে এর চেয়ে বড় আলোচ্য এই রাউন্ডে রান-খরা।
এমন রান-খরার একটা সহজবোধ্য ব্যাখ্যা আছে—জাতীয় লিগ থেকে এই রাউন্ডে তুলে আনা হয়েছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের। জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ২৫ খেলোয়াড়ই যে এখন দেশের সেরা খেলোয়াড়, এটা প্রমাণ করার দায়ই যেন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানরা!
অবশ্য এসব বললে বোলারদের কৃতিত্বটাকে খাটো করে দেখানো হয়। অন্তত মিরপুরে মোহাম্মদ শরীফ যে পারফরম্যান্স করলেন, তিনি তো আপত্তি করতেই পারেন। ওদিকে জাতীয় দল অনুশীলন করছে, আর এদিকে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ছে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ; গতকাল সকালে এই ছিল মিরপুরের দৃশ্য।
৫৯ রান করা মেহরাব হোসেন জুনিয়র ছাড়া বরিশালের বোলারদের বিপক্ষে কেউই সেভাবে রুখে দাঁড়াতে পারেননি। মিরপুরের উইকেটে ১৭০ রান মোটেও বড় কিছু নয়। কিন্তু সেই রানটাকেই জয়ের জন্য ‘যথেষ্ট’ করে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন খোদ ঢাকার অধিনায়ক শরীফ। নিজের পরপর তিন ওভারে বরিশালের প্রথম তিন উইকেট নিয়ে তাণ্ডব শুরু করলেন জাতীয় দলের আপাতত সাবেক এই পেসার।
ঢাকার লেগস্পিনার নূর হোসেন মাঝে ৩ উইকেট নিয়ে বরিশালকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছিলেন। বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরাফাত সালাউদ্দিন। ৩৪ রান করা সালাউদ্দিনকেও ফিরিয়েছেন শরীফ। শেষ পর্যন্ত কামরুল ইসলামকে আউট করে বরিশালের ইনিংস আক্ষরিক অর্থে শেষ করেছেন এবং নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন তিনি।
বৃষ্টিতে বগুড়ায় সিলেট-রাজশাহী ম্যাচটা ৪৫ ওভারে নেমে এসেছিল। কিন্তু সে পর্যন্ত যেতে হয়নি। সানজামুল ও আলাউদ্দিন বাবু ৩টি করে উইকেট নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিলেটকে ৩৪.৩ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট করে দেওয়ার মিশনে। ইনিংস শুরু করতে নামা ফরহাদ রেজার ৭৭ রানে বিনা ক্ষয়ক্ষতিতে সে রান পাড়ি দিয়ে ফেলেছে রাজশাহী।
আগের রাতের বৃষ্টিতে ছোট হয়ে গিয়েছিল রাজশাহীতে চট্টগ্রাম-খুলনা ম্যাচটিও। ২৩ ওভারের সে ম্যাচে ফয়সালের ৪৫ ও আফতাবের ৩১ বলে ৩১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে পেরেছিল চট্টগ্রাম।
এই রান পাড়ি দিতে গিয়েই হারতে বসেছিল খুলনা। ২১তম ওভারে ১০৬ রান তুলতে তারা হারিয়ে ফেলেছিল ৮ উইকেট। বিশ্বনাথকে (৫) সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দিয়ে খুলনাকে জয় এনে দিয়েছেন ২৪ রান করা জিয়াউর রহমান।
No comments