কোনো কূলকিনারা পাচ্ছে না পুলিশ
ইরফানুল ইসলামের খুনিদের ধরতে এখন ছিনতাইকারীদের পেছনে ছুটছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ১১ দিন পর পুলিশ বলছে, মুঠোফোনের কললিস্ট ধরে বা ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে আসলে কিছুই পায়নি তারা। তাই তদন্তের ধরন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ২ এপ্রিল দৃকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৮ নম্বরের একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়ি থেকে ইরফানুলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ইরফানুলের ভাই ইমদাদুল কলাবাগান থানায় মামলা করেন। শুরুর দিকে পুলিশ দাবি করেছিল, ইরফানুলের মুঠোফোন নম্বর ও ভিডিও ফুটেজে কিছু ‘ইঙ্গিত’ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, নানাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও আদতে তারা কিছুই পায়নি। কলাবাগান থানার সঙ্গে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও ফতুল্লা থানা। তবে কারও কাছে সুনিশ্চিত কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কলাবাগান থানার পুলিশ। কলাবাগান থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মুঠোফোনের কললিস্ট ভালোভাবে মেলানো হয়েছে। এমন কিছুই তাতে পাওয়া যায়নি। এমনকি কী ধরনের গাড়িতে ধানমন্ডি থেকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কেও কিছু জানা যাচ্ছে না। আমরা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে নারায়ণগঞ্জে যে গাড়িগুলো গেছে, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি। ফুটেজগুলো অতটা পরিষ্কার নয়।’ এখন পর্যন্ত তদন্ত যত দূর এগিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে না ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতার জেরে ইরফানুল ইসলাম খুন হয়েছেন। ইরফানুল ও তাঁর গাড়িচালক যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাতে তেমন কিছু বেরিয়ে আসেনি। সে কারণেই পুলিশ মনে করেছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইরফানুলকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। গত সোমবার রাতে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ অভিযান চালানোরও দাবি করেছে। এ বিষয়ে জানতে ইরফানুলের ভাই ইমদাদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমার ভাইয়ের হত্যাকারী কারা, সে কীভাবে খুন হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো পুলিশ আমাকে কিছু জানায়নি।’
No comments