খেলাই ছেড়ে দিতে হলো টেলরকে
২০০৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাবের সেরা তরুণ খেলোয়াড় হয়েছিলেন। বছর দুয়েক পরই ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলে অভিষেক জেমস টেলরের, পরের বছর টেস্টে। কাউন্টি দল লেস্টারের হয়েও সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি ও হাজার রানের কীর্তি আছে তাঁর। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে টেলরের প্রতিষ্ঠিত হওয়াটা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিধি বাম! বংশগত এক বিরল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ইংলিশ ক্রিকেটারের স্বপ্নযাত্রা থেমে গেল। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিতে হলো টেলরকে। অসুস্থ বোধ করায় গত সপ্তাহে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট দলের সঙ্গে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তখন রোগটাকে স্রেফ ভাইরাসজনিত ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু গত সোমবার স্ক্যান করার পর বোঝা গেল, আর কখনোই মাঠে নামা হচ্ছে না টেলরের। রোগটার নাম বেশ কঠিন—অ্যারিথমোজেনিক রাইট ভেনট্রিকুলার অ্যারিথমিয়া। তার চেয়েও কঠিন বংশানুক্রমিক রোগটার প্রভাব। চার বছর আগে একই রোগে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব বোল্টন ওয়ান্ডারার্সের মিডফিল্ডার ফ্যাব্রিস মুয়াম্বার ফুটবল ক্যারিয়ার থমকে গিয়েছিল। প্রায় ৭৮ মিনিট মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে জয়ী হয়ে ফিরেছিলেন কঙ্গোলিজ ফুটবলার, কিন্তু ফুটবল মাঠে আর নামা হয়নি। টেলরের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাই সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুয়াম্বা। বর্তমান ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নেওয়া এই ২৮ বছর বয়সী টুইটারে টেলরকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘বেঁচে থাকাই অনেক বড় পাওয়া। অবসর তো একটা সময় নিতেই হতো, আমাদের জন্য সেটি একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। জীবনটা উপভোগ করো।’ কিন্তু সারা জীবন যে স্বপ্ন লালন করে এসেছেন, সেটির এমন অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছেন টেলর? কষ্ট হওয়ারই কথা, তবে কঠিন সময়টাতে লড়াইয়ের ঘোষণা দিচ্ছেন ইংল্যান্ডের হয়ে ৭ টেস্ট ও ২৭ ওয়ানডে খেলা টেলর। টুইটারে লিখেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহ এটি। আমার পৃথিবীটাই উল্টে গেছে। তবে আমি হাল ছাড়ছি না, লড়াই করে যাব!’
No comments