ব্রাজিলে রুসেফের অভিশংসন নিয়ে মুখোমুখি দুই পক্ষ
ব্রাজিলের সংকটে পড়া প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফকে অভিশংসনের মাধ্যমে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ আরেক ধাপ এগিয়েছে। দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে ব্যাপক চাপের মুখে থাকা প্রেসিডেন্ট রুসেফকে অভিশংসনের পক্ষে গত সোমবার মত দিয়েছে কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটি। সবার দৃষ্টি এখন ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটাভুটির ওপর। ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ ২০১৪ সালে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সময় দেশটির আর্থিক দুরবস্থা ঢাকতে পরিসংখ্যানে কারচুপির আশ্রয় নিয়েছেন—এ অভিযোগে অভিশংসনের প্রস্তাব আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার রুসেফের সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় তাঁর অভিশংসনের জন্য কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটির ভোটাভুটি। মূলত প্রতীকী এ ভোটে ৬৫ সদস্যের কমিটির ৩৮ জন অভিশংসনের পক্ষে এবং ২৭ জন বিপক্ষে ভোট দেন। এখন অভিশংসনের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৩৪২ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন লাগবে। তা না হলে ভেস্তে যাবে প্রস্তাবটি। আর তা অনুমোদিত হয়ে পরে উচ্চকক্ষ সিনেটেও দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেলে ১৮০ দিনের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়তে হবে দিলমা রুসেফকে। এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলাসহ রুসেফের সমর্থকেরাও তাঁর পক্ষে মাঠে আছেন। তাঁরা রুসেফের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা হচ্ছে’—এ রকম মন্তব্য-সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করছেন সভা-সমাবেশে। ব্রাজিলের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫১৩ আইনপ্রণেতার ওপর সোমবার দৈনিক পত্রিকা এসতাদাও-এ প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, ২৯২ জন ডেপুটি রুসেফের অভিশংসনের পক্ষে এবং ১১৫ জন বিপক্ষে। কিন্তু ১০৬ জন সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে নিম্নকক্ষের ওই ডেপুটিরা কী করবেন এর ওপর নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট রুসেফের ভাগ্য। এদিকে সোমবার প্রকাশিত একটি রেকর্ডিং নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এতে রুসেফের কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নিলে কী ভাষণ দেবেন তার চর্চা করতে শোনা যায় ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমেরকে। রুসেফের ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, এই রেকর্ডিং নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা’র প্রমাণ।
No comments