নেইমারের দেশে লাল-সবুজ রাইফেল নিয়ে বাকি
তাঁর হাতে থাকে রাইফেল। নিখুঁত নিশানায় লক্ষ্যভেদই আবদুল্লাহ হেল বাকির আসল কাজ। তবে আজ রাতে ব্রাজিল রওনা হওয়ার আগে মাথায় মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলও। ফুটবলের দেশে গিয়ে ফুটবল দেখবেন না, তা কী করে হয়! এবারের বিশ্বকাপ শুটিংয়ের আসর ব্রাজিলে। তাতেই বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে যাচ্ছেন বাকি। তবে ফুটবলের দেশে ফুটবলটা চেখে না দেখা কি সম্ভব? ১৮ এপ্রিল প্রতিযোগিতা শেষে রিও ডি জেনিরোতে কোনো ফুটবল ম্যাচ থাকলে অবশ্যই দেখবেন। বাকিই দিলেন সেই তথ্য, ‘কোচকে রাজি করিয়েছি ম্যাচ দেখার ব্যাপারটা। ১৮ তারিখের পর তিন দিন সময় পাব। অবশ্যই এই সময়ে ব্রাজিলের ফুটবল দেখতে চাই।’ ফুটবলের প্রতি বাকির আছে আলাদা একটা আকর্ষণ। বিকেএসপিতে মামুনুল ইসলামের সঙ্গে জিমন্যাস্টিকসে ছিলেন। মামুন পরে ফুটবলে নাম লেখালেন, বাকি শুটিংয়ে। ভুল করেনি। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপা জিতে শুটিংয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এরই মধ্যে। তবে ফুটবলপ্রেম কমেনি। নিজেই বলেন, ‘শুটার না হলে আমি তো ফুটবলারই হতাম।’ ফুটবলারে আসা হয়নি, এ নিয়ে অবশ্য আফসোস নেই। শুটিংয়েই বেশ আছেন। তবে ফুটবল দেখেন। সময় পেলে বার্সা-রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখতে বসে পড়েন টিভির সামনে। মেসি-রোনালদো দুজনেরই ভুক্ত, এর আগে ভক্ত ছিলেন রোনালদিনহোর। সেই বাকি ব্রাজিল যাচ্ছেন, বাড়িতে তাঁর বাবাও বেশ রোমাঞ্চিত। ‘বাবা তো খুবই উত্তেজিত। ব্রাজিলের একটা বল নিয়ে আসতে বলেছেন আমাকে। বল তো বলই, আমি কোনো পার্থক্য দেখি না। তারপরও বাবার ইচ্ছা ব্রাজিলের বল যেন অবশ্যই নিয়ে আসি,’ বলছিলেন বাকি। অন্য অনেকের কাছ থেকেও পাচ্ছেন নানা আবদার। সেসব পূরণ করার ইচ্ছে আছে। তবে সবকিছুর আগে নিজের খেলাটা ভুলে যাচ্ছেন না। আগস্টে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তার আগে অলিম্পিক রেঞ্জেই বিশ্বকাপ খেলার আনন্দটা ভালোই টের পাচ্ছেন। ফুটবলের দেশ ব্রাজিল বলে কথা!
No comments