নিখোঁজের ৪০ বছর পর মৃত ঘোষণা!
তিনি পলাতক ছিলেন চার দশক। তিনি মানে লর্ড লুকান নামে সম্ভ্রান্তশালী এক বৃটিশ নাগরিক। লর্ড লুকানকে শেষ দেখা যায় ১৯৭৪ সালে। তখন তার বয়স ৩৯। চার দশক নিখোঁজ থাকার পর সম্প্রতি বৃটেনের এক আদালত তাকে সরকারি মতে মৃত বলে মেনে নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এত দিন পর মৃত বলে ঘোষণা করা হল? কোথায় ছিলেন লর্ড লুকান? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে চার দশক পিছনে। লর্ড লুকান বৃটেনের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি। তিনি অষ্টম আর্ল অফ লুকান পদাধিকারী ছিলেন। লন্ডনের অভিজাত মহলে ছিল তার নিত্য ওঠাবসা। শহরের অভিজাত এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। সব কিছুই হঠাত্ই তছনছ হয়ে যায় ১৯৭৪ সালের নভেম্বর মাসের এক শীতের রাতে। সে বছর ৭ নভেম্বর উদ্ধার হয় স্যান্ড্রা রিভেট নামে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃত ওই মহিলা ছিলেন লুকানের তিন সন্তানের ন্যানি। ঘটনার দিন কয়েক পর উদ্ধার হয় লর্ড লুকানের রক্তমাখা গাড়ি। লন্ডন থেকে ৬৫ মাইল দূরে পূর্ব সাসেক্সের নিউ হাভেন বলে একটি জায়গা থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা গাড়িটি। গাড়িটি পাওয়া গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি লর্ড লুকানের। সঙ্গে সঙ্গেই লুকানের উপরই গিয়ে পড়ে সন্দেহের তির। গঠন করা বিচারবিভাগীয় কমিশন। কিন্তু সবই ভোঁ ভাঁ। তার পরিবার লন্ডনে থাকলেও খোঁজ মেলেনি লর্ড লুকানের। বছর খানেক পর লুকানকে মৃত ন্যানি স্যান্ড্রা রিভেটের খুনি বলে ঘোষণা করে ওই তদন্ত কমিশন। কিন্তু খুনি ঘোষণা করা হলেও তাতে সমস্যা মেটেনি। কোথায় পালিয়েছেন লর্ড লুকান তা নিয়ে জল্পনা বাড়তেই থাকে। বছর বছর ধরে রহস্য বাড়তেই থাকে। তাকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা ভারতে দেখা গিয়েছে বলে বিভিন্ন সময় জল্পনা বাড়তে থাকে। ২০১৪ সালে আদালতে তার বাবাকে মৃত বলে মেনে নেওয়া হোক বলে আবেদন জানান লুকানের ছেলে জর্জ বিংহাম। তার বাবাকে মৃত ঘোষণা করে বাবার লর্ড উপাধি তাকে দেওয়া হোক বলে আদালতে আবেদন জানান জর্জ। জর্জের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান রিভেটের ছেলে নীল বেরিমানও। পরে অবশ্য সে আবেদন ফিরিয়ে নেন নীল বেরিম্যান। জর্জের আবেদন মেনে লর্জ লুকানকে অবশেষে মৃত বলে মেনে নিল বৃটেনের আদালত। তবে বছর চল্লিশ পর
No comments