গণতন্ত্রের জন্য দর্শনের ভূমিকাও কম নয়: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অনন্য অবাদান রয়েছে। দর্শন ও আইনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। কেননা আইনের ভিত্তি অনেকাংশেই দর্শনের ওপর নির্ভরশীল। তবে দর্শন সবসময় বাস্তবতার বিবেচনায় আইনের মতো শক্তিশালী নয়। রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে গণতন্ত্রের বিকাশে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি দর্শনের ভূমিকা কোনো দিক থেকেই কম নয়। শুক্রবার দুপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। ঢাবির দর্শন বিভাগের অ্যালামনাই আ্যসোসিয়েশনের অষ্টম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, ভাষার এ মাসে ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছ। এ আন্দোলন এ ভূখণ্ডের মানুষদের পরম সম্মানিত করেছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন ভালো আইন বিশেষজ্ঞ হতে হলে তাকে অবশ্যই দর্শন বিজ্ঞানে পারদর্শী থাকতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ভবিষ্যত বিনির্মাণে কর্মশালা, উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার পাদপীঠ। শিক্ষাই জীবনের আলোকবর্তিতা। এর মাধ্যমে মানুষ নিজেকে চিনতে পারে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস বিশ্বদ্যিালয়গুলো গুণগত শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে একটি সৃমদ্ধশালী দেশ নির্মাণে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আশা করব দ্বন্দ্ব সংঘাত কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িকতাসহ জাতির বিভিন্ন সংকট সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের দার্শনিক সমাজ অনেক প্রতিকূলতা ও বৈপরীত্যের র মাঝেও অতীতের ন্যায় জাতিকে পথ দেখাবে। জাতির প্রয়োজনের রক্ষাকবচে ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক শহীদ আকতার হোসাইন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবির কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সংগঠনের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুতফর রহমান
No comments