সোনার পিস্তলের খোঁজে
গাদ্দাফির সেই পিস্তল হাতে সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল গেটহাউস |
মুয়াম্মার গাদ্দাফি |
২০১১
সালের ২০ অক্টোবর। ধরা পড়লেন লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। মারধর করতে
করতে রক্তাক্ত গাদ্দাফিকে গাড়িতে তোলার দৃশ্য গণমাধ্যমে দেখানো হচ্ছিল।
পাশাপাশি গাদ্দাফির সোনার পাতে মোড়ানো পিস্তল উঁচিয়ে তরুণদের উল্লাস করতে
দেখা যাচ্ছিল।
মিসরাতার সির্তে শহরে পিস্তলটি নিয়ে বিদ্রোহীদের উল্লাসের সময় সেখানে ছিলেন বিবিসির সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল গেটহাউস। ওই দৃশ্য মুঠোফোনের ক্যামেরায় তুলেছিলেন তিনি। সে সময় পিস্তলটি ধরেও দেখেছিলেন। এরপর চার বছর কেটেছে। পিস্তলটি কোথায় কার কাছে আছে তা সবাই ভুলেই গিয়েছিল। সম্প্রতি পিস্তলটির খোঁজে গ্যাব্রিয়েল যুক্তরাজ্য থেকে লিবিয়ায় যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেটির সন্ধান পান তিনি। বিবিসি ম্যাগাজিনে সেই গল্প শুনিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।
গ্যাব্রিয়েল জানান, পিস্তলটি এখন কার কাছে এবং গাদ্দাফিকে যাঁরা ধরেছিলেন তাঁদের এখনকার অবস্থা কী, তা জানতে তিনি মিসরাতায় যান। যোগাযোগ করেন আনওয়ার সুবানের সঙ্গে। মিসরাতায় গাদ্দাফিবিরোধীদের নেতা ছিলেন আনওয়ার।
পিস্তলের কথা বলতেই ওমরান শাবানের প্রসঙ্গ তোলেন আনওয়ার। গাদ্দাফিকে যাঁরা পাকড়াও করেছিলেন শাবান তাঁদের একজন। সোনার পিস্তল হাতে ছবি প্রকাশের পর শাবান রাতারাতি ‘হিরো’ বনে যান। ২০১২ সালে শাবান গাদ্দাফির অনুসারীদের হাতে ধরা পড়েন এবং তাঁদের নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান। আনওয়ার জানান, তাঁর ধারণা গাদ্দাফির অনুসারীরাই শাবানকে অপহরণ করার সময় তাঁর কাছ থেকে পিস্তলটি কেড়ে নিয়ে থাকতে পারে।
পিস্তলটির খোঁজ নিতে গিয়ে আয়মান আলমানি নামের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন গ্যাব্রিয়েল। এই আয়মানই গাদ্দাফিকে গুলি করে হত্যা করেন। চার বছর পরও আয়মানের উপলব্ধি, তিনি ঠিক কাজটিই করেছিলেন।
গ্যাব্রিয়েল লিখেছেন, পিস্তলটি হাতে ধরা অন্য এক যুবকের সঙ্গে নিজের তোলা একটি ছবি আনওয়ারকে দেখিয়েছিলেন তিনি। আনওয়ার গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গের ওই যুবককে চিনতে পারেন। নাম মোহাম্মাদ এলবিবি। তবে এলবিবির ঠিকানা আনওয়ার দিতে পারেননি। অনেক খুঁজে গ্যাব্রিয়েল এলবিবির সঙ্গে দেখা করতে সক্ষম হন। পিস্তলটি দেখিয়ে এলবিবি জানান, গাদ্দাফিকে যেখান থেকে ধরা হয়, পিস্তলটি তিনি সেখান থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন।
পিস্তলটি চার বছর পর আবার হাতে নিয়ে দেখতে থাকেন গ্যাব্রিয়েল। চোখে ভেসে ওঠে সির্তে শহরে পিস্তল হাতে যুবকের উল্লাসের দৃশ্য। সংবিৎ ফেরে। হাতে থাকা পিস্তলটিতে চোখ পড়ে। গায়ে সোনার পাতে লেখা, ‘মেইড ইন বেলজিয়াম’। সূত্র: বিবিসি।
মিসরাতার সির্তে শহরে পিস্তলটি নিয়ে বিদ্রোহীদের উল্লাসের সময় সেখানে ছিলেন বিবিসির সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল গেটহাউস। ওই দৃশ্য মুঠোফোনের ক্যামেরায় তুলেছিলেন তিনি। সে সময় পিস্তলটি ধরেও দেখেছিলেন। এরপর চার বছর কেটেছে। পিস্তলটি কোথায় কার কাছে আছে তা সবাই ভুলেই গিয়েছিল। সম্প্রতি পিস্তলটির খোঁজে গ্যাব্রিয়েল যুক্তরাজ্য থেকে লিবিয়ায় যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেটির সন্ধান পান তিনি। বিবিসি ম্যাগাজিনে সেই গল্প শুনিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।
গ্যাব্রিয়েল জানান, পিস্তলটি এখন কার কাছে এবং গাদ্দাফিকে যাঁরা ধরেছিলেন তাঁদের এখনকার অবস্থা কী, তা জানতে তিনি মিসরাতায় যান। যোগাযোগ করেন আনওয়ার সুবানের সঙ্গে। মিসরাতায় গাদ্দাফিবিরোধীদের নেতা ছিলেন আনওয়ার।
পিস্তলের কথা বলতেই ওমরান শাবানের প্রসঙ্গ তোলেন আনওয়ার। গাদ্দাফিকে যাঁরা পাকড়াও করেছিলেন শাবান তাঁদের একজন। সোনার পিস্তল হাতে ছবি প্রকাশের পর শাবান রাতারাতি ‘হিরো’ বনে যান। ২০১২ সালে শাবান গাদ্দাফির অনুসারীদের হাতে ধরা পড়েন এবং তাঁদের নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান। আনওয়ার জানান, তাঁর ধারণা গাদ্দাফির অনুসারীরাই শাবানকে অপহরণ করার সময় তাঁর কাছ থেকে পিস্তলটি কেড়ে নিয়ে থাকতে পারে।
পিস্তলটির খোঁজ নিতে গিয়ে আয়মান আলমানি নামের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন গ্যাব্রিয়েল। এই আয়মানই গাদ্দাফিকে গুলি করে হত্যা করেন। চার বছর পরও আয়মানের উপলব্ধি, তিনি ঠিক কাজটিই করেছিলেন।
গ্যাব্রিয়েল লিখেছেন, পিস্তলটি হাতে ধরা অন্য এক যুবকের সঙ্গে নিজের তোলা একটি ছবি আনওয়ারকে দেখিয়েছিলেন তিনি। আনওয়ার গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গের ওই যুবককে চিনতে পারেন। নাম মোহাম্মাদ এলবিবি। তবে এলবিবির ঠিকানা আনওয়ার দিতে পারেননি। অনেক খুঁজে গ্যাব্রিয়েল এলবিবির সঙ্গে দেখা করতে সক্ষম হন। পিস্তলটি দেখিয়ে এলবিবি জানান, গাদ্দাফিকে যেখান থেকে ধরা হয়, পিস্তলটি তিনি সেখান থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন।
পিস্তলটি চার বছর পর আবার হাতে নিয়ে দেখতে থাকেন গ্যাব্রিয়েল। চোখে ভেসে ওঠে সির্তে শহরে পিস্তল হাতে যুবকের উল্লাসের দৃশ্য। সংবিৎ ফেরে। হাতে থাকা পিস্তলটিতে চোখ পড়ে। গায়ে সোনার পাতে লেখা, ‘মেইড ইন বেলজিয়াম’। সূত্র: বিবিসি।
No comments