শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলায় চারজনের রিমান্ড
কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যা মামলায় চার আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাজমুন নাহার নিপু এ আদেশ দেন। রিমান্ড দেয়া আসামিরা হলেন খুরশীদ আলম, আল আমিন, মিটু আখতার ও মেহেদী হাসান। তাদের মধ্যে মেহেদী হাসানের সাত দিন এবং বাকি তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম এই চার আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ড নৃশংস। এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কেরানীগঞ্জ উপজেলার মুগারচর গ্রামের স্কুলছাত্র মো. আবদুল্লাহ নিখোঁজ ছিল গত শুক্রবার থেকে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা আবদুল্লাহদের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমের এক বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ওই বাড়িটি আবদুল্লাহর মায়ের বড় মামা মোতাহার হোসেনের। ওই দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মোতাহার হোসেন পলাতক রয়েছেন। আর গত সোমবার রাতে মোতাহারের ছেলেসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাঠে খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ। আর সে বাড়ি ফেরেনি। ওই দিনই সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আবদুল্লাহর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতে শিশুটির নানা মারফত আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন
No comments