গুজব, গুজব নয়
রাজনীতি
স্থির। কোথাও কোনো অস্থিরতা নেই। সবকিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে। জাতীয়
পার্টিতে বাকওয়াজ চলছে। কেউ কেউ বলছেন, সবই সাজানো। জামায়াত এখন অতীতের
বিষয়। বিএনপি বিপন্ন। এই যখন অবস্থা তখনও গুজবের যন্ত্র থেমে নেই। আগাম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজনীতির অন্দরমহলে। নানা হিসাব
মেলাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা। কবে হবে সেই নির্বাচন? নির্বাচনের আগেই কী কার্যকর
হবে নতুন মাইনাস থিওরি। ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রশ্নে আদালত অঙ্গন একমত হতে
পারেনি। একজন অ্যামিকাস কিউরি ছাড়া সবাই মত দিয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থার পক্ষে। বিচারপতিরাও একমত হতে পারেননি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে অবৈধ
ঘোষিত হয় তত্ত্বাবধায়ক। তা নিয়ে নানা বিতর্ক। তবে একটি প্রশ্নে আদালত অঙ্গন
একমত পোষণ করেছিল, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর
অন্তর্ভুক্ত। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন কেমন হয়েছে সে নিয়ে আলোচনা না করাই
ভালো। তবে ওই নির্বাচনের পর বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা তেমন কোনো
আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। উল্টো সহিংসতার অভিযোগে হয়েছে কোণঠাসা। কার্যত
কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করতে হয়নি সরকারকে। তবে কোথায় যেন একটা অস্বস্তিও
রয়ে যায়। এরইমধ্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আগাম নির্বাচনের বেশ কিছু ইঙ্গিত
দেখছেন। যদিও সরকারের মন্ত্রীরা বারবারই বলছেন, ২০১৯ সালের আগে কোনো
নির্বাচন হবে না। এবং সংবিধানও তা বলছে। তবে কৌশলগত কারণে এরআগেও মধ্যবর্তী
নির্বাচন হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রের আভাস। কয়েকমাসের মধ্যেই দৃশ্যপটে
নতুন মোড় নিতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্তত একটি মামলা
চূড়ান্ত পরিণতির পথে রয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তদন্ত
কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ কয়েকটি মামলাও পরিণতি লাভ করতে পারে দ্রুতই।
এসব মামলার রায় বিরুদ্ধে গেলে বিএনপির প্রধান দুই নেতা নির্বাচনে অযোগ্য
হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার পরিণতি
লাভের পর দেশ নির্বাচনের দিকে যেতে পারে বলে মনে করেন কোনো কোনো
পর্যবেক্ষক। এরআগে কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির
নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হতে পারে। দলটির নেতৃত্বে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন
না হলেও কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আসতে পারে। উত্তরাধিকারের
রাজনীতিও একটি নতুন ধাপে যেতে পারে এ কাউন্সিলের মাধ্যমে।
সম্প্রতি সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকায় ভোট চেয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ না স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এ ভোট চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে নানা ওলট-পালট ঘটছে। দলটির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রতিদিনই জাতীয় পার্টিতে কোনো না কোনো ঘটনা ঘটছে। আগাম নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি এক ধরনের ওয়ার্ম আপ করছে বলেও কারও কারও ধারণা। কার্যকর কোনো বিরোধী দল না থাকায় বর্তমান সংসদের সবচেয়ে বড় সমালোচনা। জাতীয় পার্টি একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে রয়েছে। অনেক পশ্চিমা কূটনীতিকই এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টিকে আসল বিরোধী দল বানানোর এক ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। যদিও সব পরামর্শ এক কেন্দ্র থেকেই আসছে।
আগাম নির্বাচনের চিন্তার পেছনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাবও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। পশ্চিমা দুনিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক সচল রাখলেও তার মধ্যে এক ধরনের শীতলতা রয়েছে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে পশ্চিমা শক্তি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন মনে করে না। তাদের মতে, ওই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়নি। তারা একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের পক্ষে তাদের অবস্থান বারবারই ব্যক্ত করেছে। প্রকাশ্যে সরকার, এসব বক্তব্যকে নাকচ করে আসছে। তবে ভারতসহ কয়েকটি দেশ বরাবরই সরকারের পক্ষে সমর্থন দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে কেমন নির্বাচন হলো- এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কোনো মাথা ব্যথা নেই। বাংলাদেশে বেশ কিছু জঙ্গি হামলাও সরকারের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছিল। এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গি সংগঠন আইএস এসব হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই ওইসব দাবি উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর তরফে এও বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে আইএস আছে তা স্বীকার করানোর জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক অস্বস্তি এবং নিজেদের মেয়াদ আরও বাড়ানো এই দুই সমীকরণে আগাম নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের চিন্তা রয়েছে। গুঞ্জন আছে চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ওই নির্বাচন হতে পারে। সে নির্বাচনে বিএনপিকে কোন ফরম্যাটে আনা হবে তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত নয়। কেউ কেউ খালেদা-তারেক বিহীন বিএনপির স্বপ্নও দেখছেন। যদিও নীতি নির্ধারকদের অনেকে মনে করেন, সেটা সম্ভব না হলেও শক্তির মহড়ার ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।
সম্প্রতি সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকায় ভোট চেয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ না স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এ ভোট চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে নানা ওলট-পালট ঘটছে। দলটির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রতিদিনই জাতীয় পার্টিতে কোনো না কোনো ঘটনা ঘটছে। আগাম নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি এক ধরনের ওয়ার্ম আপ করছে বলেও কারও কারও ধারণা। কার্যকর কোনো বিরোধী দল না থাকায় বর্তমান সংসদের সবচেয়ে বড় সমালোচনা। জাতীয় পার্টি একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে রয়েছে। অনেক পশ্চিমা কূটনীতিকই এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টিকে আসল বিরোধী দল বানানোর এক ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। যদিও সব পরামর্শ এক কেন্দ্র থেকেই আসছে।
আগাম নির্বাচনের চিন্তার পেছনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাবও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। পশ্চিমা দুনিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক সচল রাখলেও তার মধ্যে এক ধরনের শীতলতা রয়েছে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে পশ্চিমা শক্তি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন মনে করে না। তাদের মতে, ওই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়নি। তারা একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের পক্ষে তাদের অবস্থান বারবারই ব্যক্ত করেছে। প্রকাশ্যে সরকার, এসব বক্তব্যকে নাকচ করে আসছে। তবে ভারতসহ কয়েকটি দেশ বরাবরই সরকারের পক্ষে সমর্থন দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে কেমন নির্বাচন হলো- এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কোনো মাথা ব্যথা নেই। বাংলাদেশে বেশ কিছু জঙ্গি হামলাও সরকারের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছিল। এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গি সংগঠন আইএস এসব হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই ওইসব দাবি উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর তরফে এও বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে আইএস আছে তা স্বীকার করানোর জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক অস্বস্তি এবং নিজেদের মেয়াদ আরও বাড়ানো এই দুই সমীকরণে আগাম নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের চিন্তা রয়েছে। গুঞ্জন আছে চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ওই নির্বাচন হতে পারে। সে নির্বাচনে বিএনপিকে কোন ফরম্যাটে আনা হবে তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত নয়। কেউ কেউ খালেদা-তারেক বিহীন বিএনপির স্বপ্নও দেখছেন। যদিও নীতি নির্ধারকদের অনেকে মনে করেন, সেটা সম্ভব না হলেও শক্তির মহড়ার ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।
No comments