প্রাথমিকে ‘পুল’ থেকে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পুলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এর ফলে উচ্চ আদালতে আসা প্রায় আড়াই হাজার প্রার্থীর নিয়োগের পথ খুলল বলে তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন। ২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের করা ৭২টি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ বুধবার এ রায় ঘোষণা করে। পুলভুক্ত এই আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে নতুন করে কাউকে নিয়োগ না দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ মুরশেদ, ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া ও খায়রুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি খান। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ অগাস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ২৭ হাজার ৭২০ জন উত্তীর্ণ হন। তাদের মধ্য থেকে ১২ হাজার ৭০১ জনকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে রাখা হয় পুলভুক্ত হিসেবে। শিক্ষক পুল গঠনের জন্য ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরিপত্র জারি করে এবং দুই বছর পর ‘শিক্ষক পুল’ নীতিমালা করে। ওই নীতিমালায় ছয় মাসের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীদের সইও নেয়া হয়। কিন্তু উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ৫২ জন আবেদনকারী ওই বছর রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর হাই কোর্ট রুল দেয় এবং নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে। পরে একই বিষয়ে আরও ৭১টি রিট আবেদন ও রুল হয়। এসব রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দিল আদালত। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, “হাই কোর্ট ২০১১ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পুলভুক্তদের মধ্যে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তাদের নিয়োগের আগে নতুন করে অন্যদের নিয়োগ না দিতে বলেছে।” অন্যদিকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি খান বলেন, তারা আপিল বিভাগে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন
No comments