দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিবেক জাগ্রত করার আহ্বান
দুর্নীতি
ও সব রকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিবেক জাগ্রত করার আহ্বান জানিয়েছে
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল,
বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে ব্লগার ও লেখক হত্যাকারীদের বিরুদ্ধেও
সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক
সংগঠন টিআইবির ‘সচেতন নাগরিক কমিটি ও উইথ এনগেজমেন্ট সাপোর্ট’
(সনাক-ইয়েস)-এর জাতীয় সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনের সূচনা পর্বে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
‘জাগ্রত বিবেক, দুর্জয় তারুণ্য-দুর্নীতি রুখবেই’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সুলতানা কামাল। প্যানেল আলোচনায় তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনের জন্য বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। মানুষকে জাগ্রত বিবেক নিয়ে চলতে হবে। তিনি বলেন, ‘দুর্বলদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হয়রানি এমনকি হত্যা করে সম্পদ গ্রাস করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করছি না। মনে করছি না, মানুষ হিসেবে কোথাও না কোথাও জবাবদিহি রয়েছে। আমরা ব্যথিত হই কারণ যাঁদের এসব দমন করার দায়িত্ব তাঁরা তা করছেন না।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা ধ্বংসের ঘটনার কথা উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, দুর্নীতি নিয়ে আমরা বিব্রত ও বিচলিত বোধ করছি। কিন্তু যাঁদের জবাবদিহি করার কথা তাঁরা তা করছেন না। তিনি বলেন, জনগণ সচেতন না হলে সমাজে বিপদ বাড়ে। যদিও মানুষ একা কিছু করতে পারে না। তাই সামাজিকভাবে একতাবদ্ধ হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ। দেশের সাধারণ মানুষের জাগ্রত বিবেকের কারণেই বিজয় লাভ করেছিলাম। তেমনিভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে।
সেলিনা হোসেন বলেন, যারা ব্লগার ও লেখকদের হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। টিআইবি মানুষের ভালোবাসার শক্তিতে দুর্যোগের পথ পাড়ি দিচ্ছে। ‘শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য চলছে’ উল্লেখ করে তিনি ফেসবুকে তরুণদের মানবিক কাজে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন, মানুষ মানুষের বিপদে এগিয়ে এলেও এখনো হাসপাতালে টাকার জন্য মা ও নবজাতককে জিম্মি করে রাখা হয়। নৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আজ সবখানে একই চিত্র, সরকারি হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, প্রতিষ্ঠান সবখানে দুর্নীতি। আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হব। মানুষের অধিকার হরণের প্রতিবাদ করব, সামাজিক আন্দোলনই এর প্রতিকারের একমাত্র পথ।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের যেকোনো অর্জনে তরুণেরাই ভূমিকা রেখেছে। এ তরুণদের বিবেক জাগ্রত করে ধীরে ধীরে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি পঁচাত্তর সালের বঙ্গবন্ধু এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, জাতির জনক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শুধু রাষ্ট্রের পক্ষে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়। এ ব্যাধির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সম্মেলনে টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশের ৪৫টি অঞ্চলের সনাক সদস্য ও স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস এবং ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়েস সদস্যরা অংশ নেন। সকাল সোয়া নয়টায় জাতীয় সংগীত এবং শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সূচনা পর্বে তরুণদের শপথ বাক্য পাঠ করান সুলতানা কামাল। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সারা দেশ থেকে আসা সনাক ও ইয়েস সদস্যরা। পরে দিনভর আলোচনা সভা, সম্মেলনের ঘোষণাপত্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।
সম্মেলনের সূচনা পর্বে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
‘জাগ্রত বিবেক, দুর্জয় তারুণ্য-দুর্নীতি রুখবেই’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সুলতানা কামাল। প্যানেল আলোচনায় তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনের জন্য বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। মানুষকে জাগ্রত বিবেক নিয়ে চলতে হবে। তিনি বলেন, ‘দুর্বলদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হয়রানি এমনকি হত্যা করে সম্পদ গ্রাস করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করছি না। মনে করছি না, মানুষ হিসেবে কোথাও না কোথাও জবাবদিহি রয়েছে। আমরা ব্যথিত হই কারণ যাঁদের এসব দমন করার দায়িত্ব তাঁরা তা করছেন না।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা ধ্বংসের ঘটনার কথা উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, দুর্নীতি নিয়ে আমরা বিব্রত ও বিচলিত বোধ করছি। কিন্তু যাঁদের জবাবদিহি করার কথা তাঁরা তা করছেন না। তিনি বলেন, জনগণ সচেতন না হলে সমাজে বিপদ বাড়ে। যদিও মানুষ একা কিছু করতে পারে না। তাই সামাজিকভাবে একতাবদ্ধ হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ। দেশের সাধারণ মানুষের জাগ্রত বিবেকের কারণেই বিজয় লাভ করেছিলাম। তেমনিভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে।
সেলিনা হোসেন বলেন, যারা ব্লগার ও লেখকদের হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। টিআইবি মানুষের ভালোবাসার শক্তিতে দুর্যোগের পথ পাড়ি দিচ্ছে। ‘শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য চলছে’ উল্লেখ করে তিনি ফেসবুকে তরুণদের মানবিক কাজে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন, মানুষ মানুষের বিপদে এগিয়ে এলেও এখনো হাসপাতালে টাকার জন্য মা ও নবজাতককে জিম্মি করে রাখা হয়। নৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আজ সবখানে একই চিত্র, সরকারি হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, প্রতিষ্ঠান সবখানে দুর্নীতি। আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হব। মানুষের অধিকার হরণের প্রতিবাদ করব, সামাজিক আন্দোলনই এর প্রতিকারের একমাত্র পথ।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের যেকোনো অর্জনে তরুণেরাই ভূমিকা রেখেছে। এ তরুণদের বিবেক জাগ্রত করে ধীরে ধীরে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি পঁচাত্তর সালের বঙ্গবন্ধু এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, জাতির জনক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শুধু রাষ্ট্রের পক্ষে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়। এ ব্যাধির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সম্মেলনে টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশের ৪৫টি অঞ্চলের সনাক সদস্য ও স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস এবং ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়েস সদস্যরা অংশ নেন। সকাল সোয়া নয়টায় জাতীয় সংগীত এবং শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সূচনা পর্বে তরুণদের শপথ বাক্য পাঠ করান সুলতানা কামাল। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সারা দেশ থেকে আসা সনাক ও ইয়েস সদস্যরা। পরে দিনভর আলোচনা সভা, সম্মেলনের ঘোষণাপত্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।
No comments