সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাবে এনএলডি!
দীর্ঘ
কয়েক দশকের সংগ্রাম শেষে গণতন্ত্রকামীদের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করল
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। কিন্তু দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন, তা
অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। জান্তা সরকারের সংবিধান অনুযায়ী, গণতন্ত্রকামীদের
অভূতপূর্ব বিজয় সত্ত্বেও তাঁদের নেত্রী অং সান সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার
কোনো আশা নেই।
এ অবস্থায় ৭০ বছর বয়সী নোবেলজয়ী এই নেত্রীর এক প্রবীণ সহযোগী ঘোষণা দিয়ে ফেললেন, সু চিই হবেন আগামী দিনের প্রেসিডেন্ট। তবে কি, প্রভাবশালী সেনাবাহিনীকে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে যাওয়ার গুঞ্জনই আরও জোরালো হলো? দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।
এনএলডি সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট পদে এখন পর্যন্ত দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে। একজন এনএলডির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ১৯৮৮ সালের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের নেতা টিন উ। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান। দ্বিতীয় জন সু চির ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিন মিও উইন।
টিন উ অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে নিজের প্রার্থিতা নিয়ে প্রকাশিত খবর নাকচ করে দিয়েছেন। নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে এনএলডির ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের এক দিন পরই তিনি ওই খবর নাকচ করে দেন।
৮৮ বছরের সাবেক এই সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমার টাইমস পত্রিকা বলেছে, ‘অবশ্যই অং সান সু চিকে প্রেসিডেন্ট হতে হবে। কেন হবেন না তিনি? আমি কেবল তাঁর একজন সমর্থক। আমি কখনো প্রেসিডেন্ট হতে চাই না।’
মিয়ানমারের সংবিধানে বলা আছে, কোনো নাগরিক বিদেশিকে বিয়ে করলে বা সন্তান বিদেশি হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সু চির ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত দুই ছেলে মিয়ানমারের নাগরিক নন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সু চি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, সে জন্য তিনি সংবিধান পরিবর্তন বা তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টিকারী ধারা ৫৯ (এফ) বাদ দিতে সেনাবাহিনীকে চাপ দেবেন। আর এটা এক বছর পর হতে পারে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতারা সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে কয়েক দফা গোপন বৈঠক করেছেন; যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর সংবাদপত্র মেওয়াদেতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে সেনাবাহিনী সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে শক্ত বিরোধিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। বলা হয়েছে, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা অনন্তকালেও পরিবর্তন করা হবে না।
এ বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মুখপাত্র ই এইচটেইন বলেছেন, কেবল জরুরি অবস্থার সময়ই সংবিধানের ধারা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা যেতে পারে। সেটাও সম্ভব সেনাপ্রধানের কাছে নির্বাহী ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে।
নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে অভূতপূর্ব জয় পাওয়ার পর থেকে সু চির এনএলডি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোচ্ছে। কেননা, এ বাহিনী এতই প্রভাবশালী যে অর্ধশতাব্দীকাল ধরে কঠোর হাতে তারা দেশ চালিয়েছে।
এনএলডি তার দলীয় সাংসদদের আগামী সপ্তাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজধানী নেপিডো না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে রয়টার্সের খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। সাংসদদের ১১৫ জনই একসময়ের রাজনৈতিক বন্দী। এ নির্দেশের ফলে এ গুঞ্জন পাকাপোক্ত হয়েছে যে সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে যাচ্ছে দলটি। এক সাংসদও বলেছেন, আসছে সপ্তাহে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা জরুরি বিল উঠতে পারে পার্লামেন্টে।
এ অবস্থায় ৭০ বছর বয়সী নোবেলজয়ী এই নেত্রীর এক প্রবীণ সহযোগী ঘোষণা দিয়ে ফেললেন, সু চিই হবেন আগামী দিনের প্রেসিডেন্ট। তবে কি, প্রভাবশালী সেনাবাহিনীকে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে যাওয়ার গুঞ্জনই আরও জোরালো হলো? দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।
এনএলডি সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট পদে এখন পর্যন্ত দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে। একজন এনএলডির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ১৯৮৮ সালের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের নেতা টিন উ। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান। দ্বিতীয় জন সু চির ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিন মিও উইন।
টিন উ অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে নিজের প্রার্থিতা নিয়ে প্রকাশিত খবর নাকচ করে দিয়েছেন। নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে এনএলডির ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের এক দিন পরই তিনি ওই খবর নাকচ করে দেন।
৮৮ বছরের সাবেক এই সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমার টাইমস পত্রিকা বলেছে, ‘অবশ্যই অং সান সু চিকে প্রেসিডেন্ট হতে হবে। কেন হবেন না তিনি? আমি কেবল তাঁর একজন সমর্থক। আমি কখনো প্রেসিডেন্ট হতে চাই না।’
মিয়ানমারের সংবিধানে বলা আছে, কোনো নাগরিক বিদেশিকে বিয়ে করলে বা সন্তান বিদেশি হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সু চির ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত দুই ছেলে মিয়ানমারের নাগরিক নন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সু চি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, সে জন্য তিনি সংবিধান পরিবর্তন বা তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টিকারী ধারা ৫৯ (এফ) বাদ দিতে সেনাবাহিনীকে চাপ দেবেন। আর এটা এক বছর পর হতে পারে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতারা সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে কয়েক দফা গোপন বৈঠক করেছেন; যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর সংবাদপত্র মেওয়াদেতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে সেনাবাহিনী সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে শক্ত বিরোধিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। বলা হয়েছে, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা অনন্তকালেও পরিবর্তন করা হবে না।
এ বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মুখপাত্র ই এইচটেইন বলেছেন, কেবল জরুরি অবস্থার সময়ই সংবিধানের ধারা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা যেতে পারে। সেটাও সম্ভব সেনাপ্রধানের কাছে নির্বাহী ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে।
নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে অভূতপূর্ব জয় পাওয়ার পর থেকে সু চির এনএলডি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোচ্ছে। কেননা, এ বাহিনী এতই প্রভাবশালী যে অর্ধশতাব্দীকাল ধরে কঠোর হাতে তারা দেশ চালিয়েছে।
এনএলডি তার দলীয় সাংসদদের আগামী সপ্তাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজধানী নেপিডো না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে রয়টার্সের খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। সাংসদদের ১১৫ জনই একসময়ের রাজনৈতিক বন্দী। এ নির্দেশের ফলে এ গুঞ্জন পাকাপোক্ত হয়েছে যে সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে যাচ্ছে দলটি। এক সাংসদও বলেছেন, আসছে সপ্তাহে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা জরুরি বিল উঠতে পারে পার্লামেন্টে।
No comments