একজন যাত্রী নিয়েই উড়ল বিমান
চীনা
নববর্ষের ছুটিতে বাড়ি যাবেন মিস ঝ্যাং। কিন্তু ট্রেনে বেজায় ভিড়। গুয়াংঝু
স্টেশনে এ সময় লাখ খানেক মানুষের জটলা হয়। সেই ভিড় এড়াতে কেটে ফেললেন
উড়োজাহাজের টিকিট। কিন্তু সেই ফ্লাইটের দেরি দেখে যাত্রীরা আগের বিমানটিতে
চড়ে চলে যান। বাকি শুধু ঝ্যাং। তিনি নির্ধারিত ফ্লাইটেই যাবেন বলে ঠিক
করলেন। শেষে এই একমাত্র যাত্রীকে নিয়েই গুয়াংঝুর পথে উড়াল দিল উড়োজাহাজটি।
‘সবেধন নীলমণি’ মিস ঝ্যাং ওই ফাঁকা বিমানে রীতিমতো তারকাখ্যাতি পেলেন। আয়েশ করে বসার জন্য জায়গা পর্যাপ্ত। নেই কোনো শিশুর কান্নাকাটি বা বিরক্তিকর সহযাত্রী। বিমানবালা থেকে শুরু করে পাইলট পর্যন্ত সবাই এসে খোঁজ নিচ্ছেন ঝ্যাংয়ের কিছু লাগবে কি না। ‘আনন্দময়’ ওই যাত্রার অভিজ্ঞতা লিখে সামাজিক যোগাযোগের চীনা অনলাইন মাধ্যম ওয়েইবোতে প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘আমার খুব খুশি লাগছে, এটা ছিল জীবনের বিরল অভিজ্ঞতা। নিজেকে একজন রকস্টার মনে হচ্ছিল আমার।’
ঝ্যাংয়ের ওই পোস্টে শত শত লাইক ও কমেন্ট দিয়েছেন ওয়েইবোর বন্ধুরা। শেয়ারও করেছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘কী চমৎকার আকাশযাত্রা। তুমি সত্যিই সৌভাগ্যের অধিকারী। ভিড়ের মৌসুমেও এমন অভিজ্ঞতা ও আতিথেয়তা পেয়েছ।’
নববর্ষ উদ্যাপনের এই সময় প্রতিবছর চীনের লাখ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে যায়। এ সময় আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল। ওয়েইবোতে ঝ্যাংয়ের উদ্দেশে আরেকজন লিখেছেন, ‘বোন, তুমি বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবতী যাত্রী।’
তবে মাত্র একজন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজ চালানোর জন্য ওই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বেহিসেবি সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। একজন লিখেছেন, বাড়ি ফেরার তাড়া তো সবারই থাকে এ সময়। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আরও অপেক্ষা করে অন্য যাত্রীদেরও সঙ্গে নেওয়া। অথচ তারা কেবল একজন যাত্রীর জন্যই জ্বালানি পুড়িয়েছে।
টিকিটের দাম কত ছিল? মোটর কোম্পানির কর্মী ঝ্যাং ১৮১ মার্কিন ডলার দিয়ে কিনেছিলেন ওই টিকিট।
‘সবেধন নীলমণি’ মিস ঝ্যাং ওই ফাঁকা বিমানে রীতিমতো তারকাখ্যাতি পেলেন। আয়েশ করে বসার জন্য জায়গা পর্যাপ্ত। নেই কোনো শিশুর কান্নাকাটি বা বিরক্তিকর সহযাত্রী। বিমানবালা থেকে শুরু করে পাইলট পর্যন্ত সবাই এসে খোঁজ নিচ্ছেন ঝ্যাংয়ের কিছু লাগবে কি না। ‘আনন্দময়’ ওই যাত্রার অভিজ্ঞতা লিখে সামাজিক যোগাযোগের চীনা অনলাইন মাধ্যম ওয়েইবোতে প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘আমার খুব খুশি লাগছে, এটা ছিল জীবনের বিরল অভিজ্ঞতা। নিজেকে একজন রকস্টার মনে হচ্ছিল আমার।’
ঝ্যাংয়ের ওই পোস্টে শত শত লাইক ও কমেন্ট দিয়েছেন ওয়েইবোর বন্ধুরা। শেয়ারও করেছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘কী চমৎকার আকাশযাত্রা। তুমি সত্যিই সৌভাগ্যের অধিকারী। ভিড়ের মৌসুমেও এমন অভিজ্ঞতা ও আতিথেয়তা পেয়েছ।’
নববর্ষ উদ্যাপনের এই সময় প্রতিবছর চীনের লাখ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে যায়। এ সময় আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল। ওয়েইবোতে ঝ্যাংয়ের উদ্দেশে আরেকজন লিখেছেন, ‘বোন, তুমি বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবতী যাত্রী।’
তবে মাত্র একজন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজ চালানোর জন্য ওই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বেহিসেবি সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। একজন লিখেছেন, বাড়ি ফেরার তাড়া তো সবারই থাকে এ সময়। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আরও অপেক্ষা করে অন্য যাত্রীদেরও সঙ্গে নেওয়া। অথচ তারা কেবল একজন যাত্রীর জন্যই জ্বালানি পুড়িয়েছে।
টিকিটের দাম কত ছিল? মোটর কোম্পানির কর্মী ঝ্যাং ১৮১ মার্কিন ডলার দিয়ে কিনেছিলেন ওই টিকিট।
No comments