ষড়যন্ত্র তত্ত্বে কার লাভ কার ক্ষতি? by সাজেদুল হক
দীর্ঘ
ইতিহাস। যন্ত্রটি সবসময়ই সচল। মাঝে মাঝে হয়তো আলোচনায় থাকে কম। আবার ফিরে
আসে। প্রবল পরাক্রমশালী তার এই ফেরা। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যেমন আবার ফিরে
এসেছে। বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে দুটি বিষয় এখন খুব জনপ্রিয় - ষড়যন্ত্র
তত্ত্ব এবং দোষারোপের রাজনীতি। কোনটিই অবশ্য নতুন কিছু নয়। একটা সময় ছিল।
কোন ঘটনা ঘটলেই লোকের মুখে বিদেশি নানা গোয়েন্দা সংস্থার নাম ঘুরে বেড়াতো।
কেজিভি, আইএসআই, র, সিআইএ- নানা নাম, নানা আলোচনা। একসময় বিশেষ করে সোভিয়েত
ইউনিয়নের পতনের পর এ আলোচনা অনেকটাই মিইয়ে যায়। যদিও লড়াই ঠিক থেমে থাকে
না। তবে একটি কথা সত্য, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সবসময় মিথ্যা প্রমাণ হয় না।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুক্ষেত্রেই ষড়যন্ত্রকারীদের সফলতার নজির রয়েছে।
বাংলাদেশে এবারের ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি আলোচনায় আসে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর কূটনীতিক জোনে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেলা হত্যাকাণ্ডের পর। এ হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসআইটিই’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ওই খবর নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও একই বক্তব্য দেয়া হয়। ওই ওয়েবসাইটটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আইএসের জড়িত থাকার খবর প্রকাশ করেছে বলেও বলা হয়। এমনও খবর বেরিয়েছে যে, ওই সাইটের প্রতিষ্ঠাতা রিটা কাটজ ইহুদি। ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত। যদিও রিটা কাটজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ তারা যেন বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতির বিষয়টি উড়িয়ে না দেন, কিংবা অস্বীকার না করেন। বরং তাদের উচিত অবস্থা বেশি খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে প্রচুর জানাশোনা, অধ্যয়ন ও গবেষণা বৃদ্ধি করা। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, অনেকেই শুরুর দিকে আইএসের হুমকিকে অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছে ততদিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এই যে, বিশ্বের সব দেশেরই এ সত্য উপলব্ধির সময় এসেছে, আইএস আমাদের সবার নিরাপত্তার জন্যই চরম হুমকি।
ইতালীয় নাগরিক হত্যার পর বাংলাদেশে চলাচলের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কতা জারি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও। যথারীতি এসআইটিইর বরাতে খবর বের হয় আইএস এ হত্যায় জড়িত। জাপানি টেলিভিশন অবশ্য খবর দিয়েছে, আইএস পরিচালিত ইন্টারনেট রেডিওতে আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সে দাবি আবারও নাকচ করে দেয়া হয়। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কতায় বাংলাদেশে ফের হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে।
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত এবং পশ্চিমাদের রেড এলার্ট এ তিন ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সরকারের কেউ কেউ পরিষ্কার করেই বলেছেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে শিকাগো থেকে কেন দায় স্বীকার। বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আইএস যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। মন্ত্রিসভার আরেক সদস্যের বক্তব্য রোববার মুদ্রিত হয়েছে একটি সহযোগী দৈনিকে। তিনি বলেছেন, যারা বিদেশী নাগরিক হত্যা করেছে এবং বিদেশ থেকে সতর্কবার্তা জারি করছে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকরা ভাল আছেন। তারা যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেন এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নতুন করে হুমকির বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোন তথ্য দেয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন ঝুঁকি নেই। এ দেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা বেশিদূর আগাতে পারবে না। অতীতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতেও তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে না। (যুগান্তর- ১১ই অক্টোবর, ২০১৫)।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বে আরও দুটি বিষয়ও আলোচনা হচ্ছে- ১. বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর অনেকের চোখে ভাল লাগেনি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিতের পেছনে ক্রিকেট রাজনীতি অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছে। ২. বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রযাত্রা রোধ করতে একটি মহল সবসময়ই সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পোশাকের বাজার সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রের কথা শোনা গেছে। দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা এবং রেড এলার্টের প্রভাব পড়েছে পোশাক খাতেও। অনেক ক্রেতা তাদের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পাশাপাশি দোষারোপের রাজনীতিও চলছে। সরকার পক্ষ থেকে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা হয়েছে। সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের দাবি নাকচ করে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারি ব্যর্থতার কারণেই দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দোষারোপের এই রাজনীতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। তদন্তের আগেই রায় ঘোষণা অতীতেও বহুবার হয়েছে। জজ মিয়ার কাহিনীও দেখেছে এ দেশের মানুষ। এসব প্রবণতায় অনেক সময়ই প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে গেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে নিরীহ মানুষও শিকার হয়েছেন অন্যায় শাস্তির।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যে কখনও সত্য হয় না তা নয়। তবে সবার আগে প্রয়োজন হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত। এরপরই তদন্তের ফল জনগণকে জানাতে হবে। ষড়যন্ত্র থাকলে স্পষ্ট করে বলতে হবে তাও। অন্যথায় দেশকে কারও মুখোমুখি করে আখেরে বাংলাদেশের কারোরই লাভ হবে না।
বাংলাদেশে এবারের ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি আলোচনায় আসে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর কূটনীতিক জোনে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেলা হত্যাকাণ্ডের পর। এ হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসআইটিই’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ওই খবর নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও একই বক্তব্য দেয়া হয়। ওই ওয়েবসাইটটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আইএসের জড়িত থাকার খবর প্রকাশ করেছে বলেও বলা হয়। এমনও খবর বেরিয়েছে যে, ওই সাইটের প্রতিষ্ঠাতা রিটা কাটজ ইহুদি। ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত। যদিও রিটা কাটজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ তারা যেন বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতির বিষয়টি উড়িয়ে না দেন, কিংবা অস্বীকার না করেন। বরং তাদের উচিত অবস্থা বেশি খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে প্রচুর জানাশোনা, অধ্যয়ন ও গবেষণা বৃদ্ধি করা। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, অনেকেই শুরুর দিকে আইএসের হুমকিকে অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছে ততদিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এই যে, বিশ্বের সব দেশেরই এ সত্য উপলব্ধির সময় এসেছে, আইএস আমাদের সবার নিরাপত্তার জন্যই চরম হুমকি।
ইতালীয় নাগরিক হত্যার পর বাংলাদেশে চলাচলের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কতা জারি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও। যথারীতি এসআইটিইর বরাতে খবর বের হয় আইএস এ হত্যায় জড়িত। জাপানি টেলিভিশন অবশ্য খবর দিয়েছে, আইএস পরিচালিত ইন্টারনেট রেডিওতে আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সে দাবি আবারও নাকচ করে দেয়া হয়। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কতায় বাংলাদেশে ফের হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে।
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত এবং পশ্চিমাদের রেড এলার্ট এ তিন ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সরকারের কেউ কেউ পরিষ্কার করেই বলেছেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে শিকাগো থেকে কেন দায় স্বীকার। বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আইএস যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। মন্ত্রিসভার আরেক সদস্যের বক্তব্য রোববার মুদ্রিত হয়েছে একটি সহযোগী দৈনিকে। তিনি বলেছেন, যারা বিদেশী নাগরিক হত্যা করেছে এবং বিদেশ থেকে সতর্কবার্তা জারি করছে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকরা ভাল আছেন। তারা যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেন এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নতুন করে হুমকির বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোন তথ্য দেয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন ঝুঁকি নেই। এ দেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা বেশিদূর আগাতে পারবে না। অতীতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতেও তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে না। (যুগান্তর- ১১ই অক্টোবর, ২০১৫)।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বে আরও দুটি বিষয়ও আলোচনা হচ্ছে- ১. বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর অনেকের চোখে ভাল লাগেনি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিতের পেছনে ক্রিকেট রাজনীতি অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছে। ২. বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রযাত্রা রোধ করতে একটি মহল সবসময়ই সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পোশাকের বাজার সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রের কথা শোনা গেছে। দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা এবং রেড এলার্টের প্রভাব পড়েছে পোশাক খাতেও। অনেক ক্রেতা তাদের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পাশাপাশি দোষারোপের রাজনীতিও চলছে। সরকার পক্ষ থেকে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা হয়েছে। সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের দাবি নাকচ করে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারি ব্যর্থতার কারণেই দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দোষারোপের এই রাজনীতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। তদন্তের আগেই রায় ঘোষণা অতীতেও বহুবার হয়েছে। জজ মিয়ার কাহিনীও দেখেছে এ দেশের মানুষ। এসব প্রবণতায় অনেক সময়ই প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে গেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে নিরীহ মানুষও শিকার হয়েছেন অন্যায় শাস্তির।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যে কখনও সত্য হয় না তা নয়। তবে সবার আগে প্রয়োজন হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত। এরপরই তদন্তের ফল জনগণকে জানাতে হবে। ষড়যন্ত্র থাকলে স্পষ্ট করে বলতে হবে তাও। অন্যথায় দেশকে কারও মুখোমুখি করে আখেরে বাংলাদেশের কারোরই লাভ হবে না।
No comments