বাংলাদেশে আটককৃত বৃটিশ ন্যায়বিচার পাবেন না, দাবি স্ত্রীর -গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে
কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকা বৃটিশ
নাগরিক সামিউন রহমানের স্ত্রী বলছেন, তার স্বামী ন্যায়বিচার পাবেন না। তার
শঙ্কা, ভুয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের মিথ্যা অভিযোগে শাসক দলের সম্ভাব্য লোক
দেখানো বিচারের মুখোমুখি তার স্বামী। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের অন্যতম শীর্ষ
দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। ফাতিমা রহমান নামে ওই নারী বর্তমানে উত্তর লন্ডনে
ব্যাক্তিগত সহকারীর কাজ করছেন। তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিবারকে
দেখতে বাংলাদেশে গেলে পুলিশ তার স্বামী সামিউন রহমানকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর
থেকে স্বামীকে দেখতে পারেননি তিনি। ফাতিমার দাবি, সামিউনকে আটক অবস্থায়
নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কারাগারের
কর্মকর্তাদের ঘুষও দিতে হয়েছে।
গার্ডিয়ান উল্লেখ করেছে, ২৫ বছর বয়সী সামিউন রহমানের সঙ্গে তার পরিবার বা বন্ধুবান্ধবকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগও গঠন করা হয়নি। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, আইসিস ও আল কায়দার হয়ে বাংলাদেশে জিহাদি সংগ্রহের দায়ে তিনি অভিযুক্ত। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে মৃত্যুদ- বা আজীবন কারাদ- দেয়া হতে পারে।
ফাতিমা রহমান গার্ডিয়ানকে বলেন, সামিউনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা নিয়ে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। এ কারণেই আমাদের সন্দেহ ক্রমেই ঘনিভূত হচ্ছে। কেউই তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখেনি, এমনকি তার জামিনাবেদনের সময়ও নয়। মানসিকভাবে তার অবস্থা ভালো নয়। কাউকে যদি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে এভাবে আটক রাখা হয়, তাহলে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। উদ্বেগ আর হতাশা ঘিরে ধরবে তাকে। সে ছিল ধীর ও নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। সব সময় মজা করতো।
গার্ডিয়ানের কাছে ফাতিমা বলেন, আমি এক মিনিটের জন্যও বিশ্বাস করি না, সে বাংলাদেশে কোনো ধরণের ন্যায়বিচার পাবে। আমি মনে করি না, সে বৃটিশ নাগরিক হওয়ায় কোনো সুবিধা সেখানে পাচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশ সরকার বলছে, বিদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ সে দেশে ঢুকছে। অর্থাৎ, বিদেশীরা তাদের দেশে ঢুকছে অপরাধ ঘটাতে! এ মানুষগুলো স্রেফ রাজনীতিতে আবদ্ধ। সামিউন কখনই মানুষের ওপর সহিংসতা বা সহিংস মানুষদের মেনে নিতো না। এটা খুবই আশ্চর্য্যজনক যে, শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে তার স¤পর্ক থাকার কথা শুনতে হচ্ছে!
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে নির্যাতনের এক ইতিহাস রয়েছে। এর আগে ৩ বৃটিশ নাগরিকদের ব্যাপারে বৃটিশ নিরাপত্তা বাহিনীও জড়িত হয়ে পড়েছিল। ওই ৩ বৃটিশদের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী, বিশেষ করে কুখ্যাত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও কারান্তরীণ অবস্থায় কয়েদীদের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশের এক আইনজীবী এইচএম নুরে আলম লড়ছেন সামিউনের হয়ে। তিনি বলেন, আদালত কর্তৃক তার মক্কেলকে জামিন না দেয়াটা ন্যায়ভ্রষ্ট ও ভুল। অসংখ্যবার সামিউনের জন্য জামিনাবেদন করা হলেও, ওই আবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। সামিউনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণই নেই। এরপরও গত ১০ মাস ধরে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া তাকে আটক রাখা হয়েছে কারাগারে।
এ সপ্তাহান্তে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে আটক থাকা বৃটিশ নাগরিককে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে আমাদের কর্মীরা। সহায়তার মধ্যে রয়েছে, তার অবস্থা দেখতে কারাগারে যাওয়া ও যুক্তরাজ্যে তার পরিবারের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ করিয়ে দেয়া।
গার্ডিয়ান উল্লেখ করেছে, ২৫ বছর বয়সী সামিউন রহমানের সঙ্গে তার পরিবার বা বন্ধুবান্ধবকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগও গঠন করা হয়নি। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, আইসিস ও আল কায়দার হয়ে বাংলাদেশে জিহাদি সংগ্রহের দায়ে তিনি অভিযুক্ত। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে মৃত্যুদ- বা আজীবন কারাদ- দেয়া হতে পারে।
ফাতিমা রহমান গার্ডিয়ানকে বলেন, সামিউনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা নিয়ে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। এ কারণেই আমাদের সন্দেহ ক্রমেই ঘনিভূত হচ্ছে। কেউই তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখেনি, এমনকি তার জামিনাবেদনের সময়ও নয়। মানসিকভাবে তার অবস্থা ভালো নয়। কাউকে যদি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে এভাবে আটক রাখা হয়, তাহলে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। উদ্বেগ আর হতাশা ঘিরে ধরবে তাকে। সে ছিল ধীর ও নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। সব সময় মজা করতো।
গার্ডিয়ানের কাছে ফাতিমা বলেন, আমি এক মিনিটের জন্যও বিশ্বাস করি না, সে বাংলাদেশে কোনো ধরণের ন্যায়বিচার পাবে। আমি মনে করি না, সে বৃটিশ নাগরিক হওয়ায় কোনো সুবিধা সেখানে পাচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশ সরকার বলছে, বিদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ সে দেশে ঢুকছে। অর্থাৎ, বিদেশীরা তাদের দেশে ঢুকছে অপরাধ ঘটাতে! এ মানুষগুলো স্রেফ রাজনীতিতে আবদ্ধ। সামিউন কখনই মানুষের ওপর সহিংসতা বা সহিংস মানুষদের মেনে নিতো না। এটা খুবই আশ্চর্য্যজনক যে, শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে তার স¤পর্ক থাকার কথা শুনতে হচ্ছে!
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে নির্যাতনের এক ইতিহাস রয়েছে। এর আগে ৩ বৃটিশ নাগরিকদের ব্যাপারে বৃটিশ নিরাপত্তা বাহিনীও জড়িত হয়ে পড়েছিল। ওই ৩ বৃটিশদের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী, বিশেষ করে কুখ্যাত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও কারান্তরীণ অবস্থায় কয়েদীদের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশের এক আইনজীবী এইচএম নুরে আলম লড়ছেন সামিউনের হয়ে। তিনি বলেন, আদালত কর্তৃক তার মক্কেলকে জামিন না দেয়াটা ন্যায়ভ্রষ্ট ও ভুল। অসংখ্যবার সামিউনের জন্য জামিনাবেদন করা হলেও, ওই আবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। সামিউনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণই নেই। এরপরও গত ১০ মাস ধরে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া তাকে আটক রাখা হয়েছে কারাগারে।
এ সপ্তাহান্তে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে আটক থাকা বৃটিশ নাগরিককে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে আমাদের কর্মীরা। সহায়তার মধ্যে রয়েছে, তার অবস্থা দেখতে কারাগারে যাওয়া ও যুক্তরাজ্যে তার পরিবারের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ করিয়ে দেয়া।
No comments