শিশুটি গেল ছোটমণি নিবাসে
শিশু ফাইজা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তোলা ছবিl -প্রথম আলো |
কারও
কাছে সে রাজকুমারী, কারও কাছে রাজকন্যা, কারও কাছে বিজয়িনী। এত দিন এ
নামেই পরিচিত ছিল। যদিও এর কোনোটাই অতিশয়োক্তি নয়। হাসপাতালে প্রথম দিন
থেকে ক্যামেরার সামনে। ফলে একধরনের অভ্যস্ততা এসে গিয়েছিল রাজকুমারীর।
গতকালও ক্লিক, ক্লিক শব্দ শুনে ক্যামেরার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে ছিল। হাত-পা নাড়ছিল। সাজুগুজুও করেছিল। ঘন চুলে গোলাপি ব্যান্ড লাগানো। গায়ে গোলাপি জামা। কিন্তু কতক্ষণ আর পোজ দেওয়া যায়, একসময় গলার আওয়াজে জানান দিল, তার এখন খাবার চাই।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ছিল তাকে নিয়েই। চলে যাবে সে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সে ছিল হাসপাতালের অতিথি। এত দিন কোনো নাম ছিল না। গতকালই তার নাম দেওয়া হয় ফাইজা, অর্থাৎ বিজয়িনী।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই ও কুকুরের খাবার হতে হতে বেঁচে গেছে। তারপর নানান প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে এখন সুস্থ। সে তো ফাইজাই। এত দিন তার কোনো ঠিকানাও ছিল না। গতকাল থেকে তার নতুন ঠিকানা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাস। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতকের বিশেষায়িত সেবার কেন্দ্র স্ক্যাবু বা স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিট থেকে সে গেল আজিমপুরে নতুন ঠিকানায়।
জন্মের পরপরই ফাইজাকে কে বা কারা সিমেন্টের বস্তায় ভরে ফেলে গিয়েছিল। এ সময় কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয় তার ঠোঁট ও নাকের বেশ খানিকটা অংশ। বাঁ হাতের দুটি আঙুলের মাথাও গেছে কুকুরের পেটে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেওড়াপাড়ার কাছে পুরোনো বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে খেলতে যাওয়া কয়েকজন শিশু পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার করে তাকে। সেখান থেকে রাজধানীর শিশু হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের স্ক্যাবুতে।
গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা, শিশু বিভাগের প্রধান এখলাছুর রহমান, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফুল হক, নবজাতক বিভাগের মনীষা ব্যানার্জিসহ অন্যরা ফাইজাকে তুলে দেন ছোটমণি নিবাসের উপতত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের কোলে।
এর আগে পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, ফাইজার যেকোনো প্রয়োজনে সব সময় পাশে থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওর পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারের। তিনি বলেন, ‘তিন মাস বয়স পার হলে ওর ঠোঁট, নাক ও হাতের আঙুলে রিকনস্ট্রাকটিভ প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ বিনা মূল্যে প্লাস্টিক সার্জারি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অনেকেরই জীবন শুধু একটি সন্তান না থাকার কারণে নিরানন্দ হয়ে গেছে। সেই ধরনের কোনো নিঃসন্তান দম্পতি যদি ওকে নিতে চান, তাহলে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আবেদন করে ছোটমণি নিবাস থেকে নিয়ে যাবেন।’
নবজাতক বিভাগের প্রধান এবং ফাইজার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, ওর জলাতঙ্ক, বিভিন্ন সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে সবার সহযোগিতায় এখন ও বিপদমুক্ত।
জন্মলগ্নেই পিতৃ-মাতৃহীন ফাইজার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অধ্যাপক আশরাফুল হক বললেন, ‘ও সরকারি আশ্রয়ে বড় হওয়ার চেয়ে একটি পরিবার পাক, বাবা-মায়ের আদর পাক, তা-ই আমরা কামনা করি।’
গতকালও ক্লিক, ক্লিক শব্দ শুনে ক্যামেরার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে ছিল। হাত-পা নাড়ছিল। সাজুগুজুও করেছিল। ঘন চুলে গোলাপি ব্যান্ড লাগানো। গায়ে গোলাপি জামা। কিন্তু কতক্ষণ আর পোজ দেওয়া যায়, একসময় গলার আওয়াজে জানান দিল, তার এখন খাবার চাই।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ছিল তাকে নিয়েই। চলে যাবে সে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সে ছিল হাসপাতালের অতিথি। এত দিন কোনো নাম ছিল না। গতকালই তার নাম দেওয়া হয় ফাইজা, অর্থাৎ বিজয়িনী।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই ও কুকুরের খাবার হতে হতে বেঁচে গেছে। তারপর নানান প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে এখন সুস্থ। সে তো ফাইজাই। এত দিন তার কোনো ঠিকানাও ছিল না। গতকাল থেকে তার নতুন ঠিকানা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাস। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতকের বিশেষায়িত সেবার কেন্দ্র স্ক্যাবু বা স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিট থেকে সে গেল আজিমপুরে নতুন ঠিকানায়।
জন্মের পরপরই ফাইজাকে কে বা কারা সিমেন্টের বস্তায় ভরে ফেলে গিয়েছিল। এ সময় কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয় তার ঠোঁট ও নাকের বেশ খানিকটা অংশ। বাঁ হাতের দুটি আঙুলের মাথাও গেছে কুকুরের পেটে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেওড়াপাড়ার কাছে পুরোনো বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে খেলতে যাওয়া কয়েকজন শিশু পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার করে তাকে। সেখান থেকে রাজধানীর শিশু হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের স্ক্যাবুতে।
গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা, শিশু বিভাগের প্রধান এখলাছুর রহমান, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফুল হক, নবজাতক বিভাগের মনীষা ব্যানার্জিসহ অন্যরা ফাইজাকে তুলে দেন ছোটমণি নিবাসের উপতত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের কোলে।
এর আগে পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, ফাইজার যেকোনো প্রয়োজনে সব সময় পাশে থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওর পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারের। তিনি বলেন, ‘তিন মাস বয়স পার হলে ওর ঠোঁট, নাক ও হাতের আঙুলে রিকনস্ট্রাকটিভ প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ বিনা মূল্যে প্লাস্টিক সার্জারি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অনেকেরই জীবন শুধু একটি সন্তান না থাকার কারণে নিরানন্দ হয়ে গেছে। সেই ধরনের কোনো নিঃসন্তান দম্পতি যদি ওকে নিতে চান, তাহলে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আবেদন করে ছোটমণি নিবাস থেকে নিয়ে যাবেন।’
নবজাতক বিভাগের প্রধান এবং ফাইজার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, ওর জলাতঙ্ক, বিভিন্ন সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে সবার সহযোগিতায় এখন ও বিপদমুক্ত।
জন্মলগ্নেই পিতৃ-মাতৃহীন ফাইজার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অধ্যাপক আশরাফুল হক বললেন, ‘ও সরকারি আশ্রয়ে বড় হওয়ার চেয়ে একটি পরিবার পাক, বাবা-মায়ের আদর পাক, তা-ই আমরা কামনা করি।’
No comments