জামালপুর পৌর শহরের বর্জ্য ফেলে ব্রহ্মপুত্রের সর্বনাশ
জামালপুর শহরের ময়লা–আবর্জনা গাড়িতে করে ফেলা হয় ব্রহ্মপুত্র নদে। সম্প্রতি শহরের ফৌজদারি এলাকা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
জামালপুর
পৌর শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে
পানি দূষিত হয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন নদে গোসল করতে পারছে না।
আবর্জনার দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না নদপারের মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে লোকজন নদের তীরে শহর রক্ষা বাঁধেও বেড়াতে যেতে পারছে না।
পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পৌর শহরের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদে বর্ষাকালে বেশি পানি থাকে। নদের কাছাকাছি জামালপুর পৌর শহরে অন্তত দুই লাখ মানুষ বাস করে। নদের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে শহরের পাথালিয়া পর্যন্ত বাঁধের দক্ষিণ পাশ দিয়ে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে একটি পার্ক। এটিই শহরবাসীর একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য নদের তীরে আসে। কিন্তু নদ থেকে আসা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তারা সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। এ ছাড়া আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ায় শহরের দেওয়ানপাড়া, ফৌজদারি ও নাওভাঙ্গাচরের মানুষ গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতে পারছে না নদের পানি দিয়ে।
জামালপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌর শহরে ১১০টি আস্তাকুঁড় (ডাস্টবিন) রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই এখন ভাঙা। তাই অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
শহরের মুকুন্দবাড়ী এলাকার রাজু আহম্মেদ বলেন, শহরবাসীর একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র এখন শহর রক্ষা বাঁধ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে যায়। কিন্তু এখন ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় শহর রক্ষা বাঁধের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ফৌজদারি মোড়ে পরিত্যক্ত একটি সেতু রয়েছে। শহরের ময়লা-আবর্জনা ট্রাক ও ভ্যানগাড়িতে করে এনে ওই পরিত্যক্ত সেতুর ওপর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা নদের পানিতে ভাসছে।
জামালপুরের পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ পুরো শহরের ময়লা-আবর্জনা ট্রাক ও ভ্যানগাড়িতে করে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। নানা প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতি হচ্ছে এবং নদের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। নদে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নদে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি।
যোগাযোগের চেষ্টা করেও জামালপুর পৌরসভার মেয়র শাহ ওয়ারেছ আলীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার সচিব নূরুল ইসলাম বলেন, গণসচেতনতার অভাবে এ সমস্যা হচ্ছে। ফৌজদারি এলাকার সাধারণ মানুষও ব্রহ্মপুত্র নদে আবর্জনা ফেলছে। নদ দূষণমুক্ত রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবর্জনার দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না নদপারের মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে লোকজন নদের তীরে শহর রক্ষা বাঁধেও বেড়াতে যেতে পারছে না।
পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পৌর শহরের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদে বর্ষাকালে বেশি পানি থাকে। নদের কাছাকাছি জামালপুর পৌর শহরে অন্তত দুই লাখ মানুষ বাস করে। নদের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে শহরের পাথালিয়া পর্যন্ত বাঁধের দক্ষিণ পাশ দিয়ে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে একটি পার্ক। এটিই শহরবাসীর একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য নদের তীরে আসে। কিন্তু নদ থেকে আসা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তারা সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। এ ছাড়া আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ায় শহরের দেওয়ানপাড়া, ফৌজদারি ও নাওভাঙ্গাচরের মানুষ গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতে পারছে না নদের পানি দিয়ে।
জামালপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌর শহরে ১১০টি আস্তাকুঁড় (ডাস্টবিন) রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই এখন ভাঙা। তাই অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
শহরের মুকুন্দবাড়ী এলাকার রাজু আহম্মেদ বলেন, শহরবাসীর একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র এখন শহর রক্ষা বাঁধ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে যায়। কিন্তু এখন ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় শহর রক্ষা বাঁধের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ফৌজদারি মোড়ে পরিত্যক্ত একটি সেতু রয়েছে। শহরের ময়লা-আবর্জনা ট্রাক ও ভ্যানগাড়িতে করে এনে ওই পরিত্যক্ত সেতুর ওপর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা নদের পানিতে ভাসছে।
জামালপুরের পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ পুরো শহরের ময়লা-আবর্জনা ট্রাক ও ভ্যানগাড়িতে করে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। নানা প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতি হচ্ছে এবং নদের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। নদে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নদে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি।
যোগাযোগের চেষ্টা করেও জামালপুর পৌরসভার মেয়র শাহ ওয়ারেছ আলীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার সচিব নূরুল ইসলাম বলেন, গণসচেতনতার অভাবে এ সমস্যা হচ্ছে। ফৌজদারি এলাকার সাধারণ মানুষও ব্রহ্মপুত্র নদে আবর্জনা ফেলছে। নদ দূষণমুক্ত রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments