প্লুটোর পানি–বরফ রহস্য
প্লুটোর পানি–বরফ রহস্য |
বামন
গ্রহ প্লুটোর পৃষ্ঠে পানির উপস্থিতি নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কয়েক মাস
ধরেই সংশয়ে রয়েছেন। নাসার রোবটযান নিউ হরাইজনসের পাঠানো কয়েকটি ছবিতে
প্লুটোয় বরফ-ঢাকা যে পার্বত্য এলাকা দেখা যায়, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের
রকি পর্বতমালার মিল অনেক। তবে প্লুটোর পানি-বরফের রং ও অবস্থান নিয়ে অনেক
রহস্য রয়ে গেছে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার প্লুটোর যেসব ছবি প্রকাশ করেছে, সেগুলোতে প্রথমবারের মতো হিমায়িত পানি বা পানি-বরফের অবস্থান স্পষ্ট হয়। তবে সেই পানি-বরফের রং বা অবস্থান কোনোটিই বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশার সঙ্গে মেলেনি। তাই বামন গ্রহটিকে নিয়ে রহস্য আরও বেড়েছে।
নাসা ওই ছবিগুলো নিয়ে নিবিড় গবেষণা করছে। ছবিতে কৃত্রিম রং দিয়ে বিজ্ঞানীরা প্লুটোর পানি-বরফ ও অন্যান্য বরফ (যেমন: নাইট্রোজেন, মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বরফ) আলাদা করেছেন। বাস্তবে প্লুটোর পানি-বরফের রং লাল, পৃথিবীর মতো নীলচে নয়। এতে বিজ্ঞানীরা বিস্মিত হয়েছেন। নিউ হরাইজনস প্রকল্পের বিজ্ঞানী সিলভিয়া প্রোটোপাপা বলেন, পানি-বরফ এবং প্লুটোর পৃষ্ঠের লালচে ‘থলিন কোলোর্যাফন্টসের’ মধ্যে সম্পর্ক এখনো তাঁরা বুঝতে পারেননি। ‘থলিন কোলোর্যাান্টস’ হচ্ছে লাল রঙের একধরনের অণু। সাধারণত এটি জৈব উপাদান থেকে তৈরি হয়। প্লুটোর বায়ুমণ্ডলে এই অণু প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তবে প্লুটোর লালচে পানি-বরফে ‘থলিন কোলোর্যাথন্টস’ আছে কি না, তা এখনো অস্পষ্ট।
প্লুটোয় পানি-বরফের অবস্থান বা অঞ্চল নিয়েও বিজ্ঞানীরা ধাঁধায় পড়েছেন। নিউ হরাইজনস গত ১৪ জুলাই প্লুটোর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে গিয়ে সেখানকার বহু ছবি তুলেছে। সেগুলোতে ধরা পড়েছে বামন গ্রহটির গঠনের বৈচিত্র্যময় রূপ। সেখানকার চারটি পার্বত্য অঞ্চল, একটি সুবিশাল গর্ত এবং কয়েকটি মালভূমি ইত্যাদি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে এখন নানা প্রশ্ন। সব মিলিয়ে প্লুটো তাঁদের কাছে সৌরজগতের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলোর একটি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার প্লুটোর যেসব ছবি প্রকাশ করেছে, সেগুলোতে প্রথমবারের মতো হিমায়িত পানি বা পানি-বরফের অবস্থান স্পষ্ট হয়। তবে সেই পানি-বরফের রং বা অবস্থান কোনোটিই বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশার সঙ্গে মেলেনি। তাই বামন গ্রহটিকে নিয়ে রহস্য আরও বেড়েছে।
নাসা ওই ছবিগুলো নিয়ে নিবিড় গবেষণা করছে। ছবিতে কৃত্রিম রং দিয়ে বিজ্ঞানীরা প্লুটোর পানি-বরফ ও অন্যান্য বরফ (যেমন: নাইট্রোজেন, মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বরফ) আলাদা করেছেন। বাস্তবে প্লুটোর পানি-বরফের রং লাল, পৃথিবীর মতো নীলচে নয়। এতে বিজ্ঞানীরা বিস্মিত হয়েছেন। নিউ হরাইজনস প্রকল্পের বিজ্ঞানী সিলভিয়া প্রোটোপাপা বলেন, পানি-বরফ এবং প্লুটোর পৃষ্ঠের লালচে ‘থলিন কোলোর্যাফন্টসের’ মধ্যে সম্পর্ক এখনো তাঁরা বুঝতে পারেননি। ‘থলিন কোলোর্যাান্টস’ হচ্ছে লাল রঙের একধরনের অণু। সাধারণত এটি জৈব উপাদান থেকে তৈরি হয়। প্লুটোর বায়ুমণ্ডলে এই অণু প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তবে প্লুটোর লালচে পানি-বরফে ‘থলিন কোলোর্যাথন্টস’ আছে কি না, তা এখনো অস্পষ্ট।
প্লুটোয় পানি-বরফের অবস্থান বা অঞ্চল নিয়েও বিজ্ঞানীরা ধাঁধায় পড়েছেন। নিউ হরাইজনস গত ১৪ জুলাই প্লুটোর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে গিয়ে সেখানকার বহু ছবি তুলেছে। সেগুলোতে ধরা পড়েছে বামন গ্রহটির গঠনের বৈচিত্র্যময় রূপ। সেখানকার চারটি পার্বত্য অঞ্চল, একটি সুবিশাল গর্ত এবং কয়েকটি মালভূমি ইত্যাদি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে এখন নানা প্রশ্ন। সব মিলিয়ে প্লুটো তাঁদের কাছে সৌরজগতের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলোর একটি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
No comments