কলেজে যাওয়ার কথা বলতেই বড় ভাইয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রায়হান
বাড়িতে
বড়রা ছোটদের ভালর জন্য প্রয়োজনে শাসন করবে এটাই স্বাভাবিক। এটি বড়দের
দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে। তেমনি নিজ দায়িত্ববোধ থেকেই ছোট ভাই মোবাশ্বের
চৌধুরী ওরফে রায়হানকে পড়ালেখার জন্য তাগাদা দিতেন বড় ভাই সোহেল চৌধুরী।
নিয়মিত পড়াশোনা না করলে বা কলেজে না গেলে ছোট ভাই রায়হানকে বকাঝকাও করতেন।
কিন্তু সবই ছিল নিজ দায়িত্ববোধ থেকে। কিন্তু এই দায়িত্ববোধই যে তার কাল হবে
তা হয়তো কল্পনাতেও ভাবেননি সোহেল।
গতকাল সকালে অন্যান্য দিনের মতোই ছোট ভাই রায়হানকে কলেজে যেতে তার কক্ষে ডাকতে যায় সোহেল। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয় রায়হান। সে কক্ষ থেকে বের হয়েই একটি ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে সোহেলকে। এ সময় বাড়ির অন্যরা চিৎকার করে ছুটে আসে সোহেলকে বাঁচাতে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। পেশাদার খুনির মতো নিজ আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে মাথার মগজ বের করে ফেলে রায়হান ক্ষতবিক্ষত করে শরীরের অন্যান্য অংশ। নিজ ভাইকে খুন করে পালিয়ে যায় রায়হান।
পরে পুলিশ গিয়ে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় দেখা যায় রায়হানের কক্ষে সোহেলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। কক্ষের দেয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। আঘাত এতটাই নির্মম ছিল যে মাথার মগজ বের হয়ে ঘরের দেয়ালে ছিটকে পড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরো কক্ষে।
গতকাল সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার রাবেয়া রহমান লেইনে নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল চৌধুরী (৩৫) সিভিল বিভাগ থেকে পাস করা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তার তিন বছরের একটি শিশু কন্যা আছে। তিনি স্ত্রী কন্যাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পিতা সিরাজউদ্দৌল্লাহর নিজস্ব ৫ তলা ভবনের ৪র্থ তলায় থাকতেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বড় ছোরা এবং একটি ছোট ছোরা উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও একটি ট্যাব ও একটি খাতা জব্দ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার এসআই আহমেদ রাজু জানান, ‘সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য রায়হানকে ডাকতে রায়হানের কক্ষে যায়। কক্ষের সামনে গিয়ে রায়হানকে ডাকলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বের হয়ে সোহেলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে।’
জানা যায় রায়হানের আচরণ কিছুটা রহস্যজনক ছিল। সে সবসময় ঘরে দরজা বন্ধ করে একা একা থাকতো। নিয়মিত কলেজে যেত না। পড়ালেখা করতো না। সবসময় ভাইয়ের কাছে টাকা চাইতো। এসব আচরণে ঘরের সবার মাঝে অসন্তোষ ছিল। তাই শনিবার রাতে সোহেল রায়হানকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বকাঝকা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান গতকাল সকালে যখন সোহেল তাকে কলেজে যেতে ডাকতে যায় তখন সে তার ওপর চড়াও হয়। উপর্যুপরি কুপিয়ে খুন করে আপন বড় ভাইকে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, রায়হানের আচরণ ছিল অদ্ভুদ। সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঠিকমত কথা বলতো না। সবসময় একা একা থাকতো। এ নিয়ে বকাঝকা করায় সে বড় ভাই সোহেলকে খুন করে থাকতে পারে।
হত্যাকাণ্ডে ভয়াবহতায় নির্বাক হয়ে মাঝে মাঝে একটু করে অস্ফুট আওয়াজ বের হচ্ছে নিহতের বাবা সিরাজউদ্দৌল্লাহর মুখ থেকে। মা রওশন আরা অঝোরে কাঁদছেন। স্ত্রী সাথী আক্তার নির্বাক হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়। বর্তমানে পুলিশ ঘাতককে ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সকালে অন্যান্য দিনের মতোই ছোট ভাই রায়হানকে কলেজে যেতে তার কক্ষে ডাকতে যায় সোহেল। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয় রায়হান। সে কক্ষ থেকে বের হয়েই একটি ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে সোহেলকে। এ সময় বাড়ির অন্যরা চিৎকার করে ছুটে আসে সোহেলকে বাঁচাতে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। পেশাদার খুনির মতো নিজ আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে মাথার মগজ বের করে ফেলে রায়হান ক্ষতবিক্ষত করে শরীরের অন্যান্য অংশ। নিজ ভাইকে খুন করে পালিয়ে যায় রায়হান।
পরে পুলিশ গিয়ে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় দেখা যায় রায়হানের কক্ষে সোহেলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। কক্ষের দেয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। আঘাত এতটাই নির্মম ছিল যে মাথার মগজ বের হয়ে ঘরের দেয়ালে ছিটকে পড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরো কক্ষে।
গতকাল সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার রাবেয়া রহমান লেইনে নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল চৌধুরী (৩৫) সিভিল বিভাগ থেকে পাস করা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তার তিন বছরের একটি শিশু কন্যা আছে। তিনি স্ত্রী কন্যাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পিতা সিরাজউদ্দৌল্লাহর নিজস্ব ৫ তলা ভবনের ৪র্থ তলায় থাকতেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বড় ছোরা এবং একটি ছোট ছোরা উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও একটি ট্যাব ও একটি খাতা জব্দ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার এসআই আহমেদ রাজু জানান, ‘সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য রায়হানকে ডাকতে রায়হানের কক্ষে যায়। কক্ষের সামনে গিয়ে রায়হানকে ডাকলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বের হয়ে সোহেলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে।’
জানা যায় রায়হানের আচরণ কিছুটা রহস্যজনক ছিল। সে সবসময় ঘরে দরজা বন্ধ করে একা একা থাকতো। নিয়মিত কলেজে যেত না। পড়ালেখা করতো না। সবসময় ভাইয়ের কাছে টাকা চাইতো। এসব আচরণে ঘরের সবার মাঝে অসন্তোষ ছিল। তাই শনিবার রাতে সোহেল রায়হানকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বকাঝকা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান গতকাল সকালে যখন সোহেল তাকে কলেজে যেতে ডাকতে যায় তখন সে তার ওপর চড়াও হয়। উপর্যুপরি কুপিয়ে খুন করে আপন বড় ভাইকে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, রায়হানের আচরণ ছিল অদ্ভুদ। সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঠিকমত কথা বলতো না। সবসময় একা একা থাকতো। এ নিয়ে বকাঝকা করায় সে বড় ভাই সোহেলকে খুন করে থাকতে পারে।
হত্যাকাণ্ডে ভয়াবহতায় নির্বাক হয়ে মাঝে মাঝে একটু করে অস্ফুট আওয়াজ বের হচ্ছে নিহতের বাবা সিরাজউদ্দৌল্লাহর মুখ থেকে। মা রওশন আরা অঝোরে কাঁদছেন। স্ত্রী সাথী আক্তার নির্বাক হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়। বর্তমানে পুলিশ ঘাতককে ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
No comments