জলকপাট এত দিন কেন খোলা হয়নি -বড়ালতীরের মানুষের প্রশ্ন
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার এই জলকপাটের কারণেই বড়াল নদ এখন মৃতপ্রায়l ছবি: প্রথম আলো |
বড়াল
নদ রক্ষার জন্য এর উৎসমুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থাপিত জলকপাট পুরোটা
খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এত দিন জলকপাট না খোলায় নদের তীরের মানুষ
নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবেশের ওপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব। এ
অবস্থায় বড়ালতীরের মানুষের প্রশ্ন—এত দিন কেন পুরো কপাট খোলা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বড়ালের উৎসমুখ রাজশাহীর চারঘাটে ১৯৮২-৮৪ সালের মধ্যে পাউবো একটি জলকপাট স্থাপন করে। এর ভাটিতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার আটঘরিয়াতে আরও একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, উৎসমুখের জলকপাটের তিনটি প্রথম চার-পাঁচ বছর পুরোটা খোলা হয়েছে। এরপর আর পুরোটা খুলে দেওয়া হয়নি।
এই জলকপাট স্থাপনের আগে বড়ালের উৎসমুখ দিয়ে প্রায় ২১ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হতো। জলকপাট স্থাপনের পর পানিপ্রবাহ কমে ২ হাজার ১৩ কিউসেক হয়। এবার প্রবাহিত হয়েছে ১ হাজার ২০৮ কিউসেক পানি।
গতকাল রোববার রাজশাহী চারঘাট উপজেলার হাটঝিকরা গ্রামে গিয়ে কথা হয় মৎস্যজীবী ওবায়দুল ইসলামের (৪৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে বড়াল নদে তিনি দুই কেজি ওজনের ইলিশ, রুই ধরেছেন। এই জলকপাট বসানোর পরে অনেক প্রজাতির মাছ আর পাওয়া যাচ্ছে না। বড়ালে এখন আর তাঁরা মাছ ধরতে যান না। তাঁর গ্রামের অনেক মৎস্যজীবী পেশা পরিবর্তন করেছেন বলে জানান তিনি।
হাটঝিকরা গ্রামের সুরেশ হালদার মৎস্যজীবী পেশা বাদ দিয়ে এখন বাড়িতে পাঁপড় তৈরি করে সেগুলো বাজারে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘বড়ালও মরেছে। আমাদেরও মেরে ফেলেছে। বাঁচতে হলে কিছু একটা তো করা লাগবে।’ তিনি জানান, তাঁর প্রতিবেশী লক্ষ্মণ এখন মাছ না ধরে ভ্যান চালাচ্ছেন।
ভায়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের শিক্ষক ও কৃষক আসাদুজ্জামান বলেন, আগে বড়ালের পানি বিভিন্ন বিলে ঢুকত। জমিতে পলি পড়ত। আবাদ ভালো হতো। বড়াল শুকিয়ে যাওয়ায় বিলও মরে গেছে। ওই সব বিল ভরাট করে অনেকে দখল করে নিয়েছেন। ফলে ফসলের আবাদ কমে গেছে।
অনুপমপুর গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, বড়াল নদের মাঝখানে চর জেগে উঠেছে। সেখানে গ্রামের ছেলেরা ফুটবল খেলছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন হেরিটেজ রাজশাহীর প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুব সিদ্দিক বড়াল নদের ইতিকথা নামে একটি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় না করেই এই জলকপাট নির্মাণ করেছে। গঙ্গা থেকে স্বাদু পানির প্রায় ৫০ রকমের ডিমওয়ালা মাছ এই বড়াল নদ দিয়ে চলনবিলে যেত। পাউবোর প্রকৌশলীরা এমনভাবে জলকপাট নির্মাণ করেছেন, যার ভেতরে দিয়ে ‘ফিস পাস’-এর ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে চলনবিল প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার গত আগস্ট মাসে বলেছিলেন, জলকপাট যে পরিমাণ প্রয়োজন, ততটুকু খোলা হয়েছে। অথচ গত শুক্রবার রাজশাহী বিভাগীয় নদী রক্ষা কমিটির প্রথম সভায় বলা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জলকপাটগুলো পুরো খোলা যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বড়ালের উৎসমুখ রাজশাহীর চারঘাটে ১৯৮২-৮৪ সালের মধ্যে পাউবো একটি জলকপাট স্থাপন করে। এর ভাটিতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার আটঘরিয়াতে আরও একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, উৎসমুখের জলকপাটের তিনটি প্রথম চার-পাঁচ বছর পুরোটা খোলা হয়েছে। এরপর আর পুরোটা খুলে দেওয়া হয়নি।
এই জলকপাট স্থাপনের আগে বড়ালের উৎসমুখ দিয়ে প্রায় ২১ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হতো। জলকপাট স্থাপনের পর পানিপ্রবাহ কমে ২ হাজার ১৩ কিউসেক হয়। এবার প্রবাহিত হয়েছে ১ হাজার ২০৮ কিউসেক পানি।
গতকাল রোববার রাজশাহী চারঘাট উপজেলার হাটঝিকরা গ্রামে গিয়ে কথা হয় মৎস্যজীবী ওবায়দুল ইসলামের (৪৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে বড়াল নদে তিনি দুই কেজি ওজনের ইলিশ, রুই ধরেছেন। এই জলকপাট বসানোর পরে অনেক প্রজাতির মাছ আর পাওয়া যাচ্ছে না। বড়ালে এখন আর তাঁরা মাছ ধরতে যান না। তাঁর গ্রামের অনেক মৎস্যজীবী পেশা পরিবর্তন করেছেন বলে জানান তিনি।
হাটঝিকরা গ্রামের সুরেশ হালদার মৎস্যজীবী পেশা বাদ দিয়ে এখন বাড়িতে পাঁপড় তৈরি করে সেগুলো বাজারে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘বড়ালও মরেছে। আমাদেরও মেরে ফেলেছে। বাঁচতে হলে কিছু একটা তো করা লাগবে।’ তিনি জানান, তাঁর প্রতিবেশী লক্ষ্মণ এখন মাছ না ধরে ভ্যান চালাচ্ছেন।
ভায়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের শিক্ষক ও কৃষক আসাদুজ্জামান বলেন, আগে বড়ালের পানি বিভিন্ন বিলে ঢুকত। জমিতে পলি পড়ত। আবাদ ভালো হতো। বড়াল শুকিয়ে যাওয়ায় বিলও মরে গেছে। ওই সব বিল ভরাট করে অনেকে দখল করে নিয়েছেন। ফলে ফসলের আবাদ কমে গেছে।
অনুপমপুর গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, বড়াল নদের মাঝখানে চর জেগে উঠেছে। সেখানে গ্রামের ছেলেরা ফুটবল খেলছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন হেরিটেজ রাজশাহীর প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুব সিদ্দিক বড়াল নদের ইতিকথা নামে একটি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় না করেই এই জলকপাট নির্মাণ করেছে। গঙ্গা থেকে স্বাদু পানির প্রায় ৫০ রকমের ডিমওয়ালা মাছ এই বড়াল নদ দিয়ে চলনবিলে যেত। পাউবোর প্রকৌশলীরা এমনভাবে জলকপাট নির্মাণ করেছেন, যার ভেতরে দিয়ে ‘ফিস পাস’-এর ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে চলনবিল প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার গত আগস্ট মাসে বলেছিলেন, জলকপাট যে পরিমাণ প্রয়োজন, ততটুকু খোলা হয়েছে। অথচ গত শুক্রবার রাজশাহী বিভাগীয় নদী রক্ষা কমিটির প্রথম সভায় বলা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জলকপাটগুলো পুরো খোলা যায়নি।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বড়াল নদের মাঝখানে জেগে ওঠা চরে ফুটবল খেলায় মেতে উঠেছে এলাকার ছেলেরা। ছবিটি গতকাল অনুপমপুর গ্রাম থেকে তুলেছেন আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ |
No comments