স্থানীয় সরকার: দলভিত্তিক নির্বাচনের শর্ত by তোফায়েল আহমেদ
রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে চলছিল। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করার ঘোষণা আসছে এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচনসমূহ দলীয় মনোনয়ন বা দলীয় প্রতীক নিয়ে করা না–করাটা সংবিধান বা কোনো স্থানীয় সরকারবিষয়ক আইনের বিধান নয়, এটি ছিল প্রথা বা ঐতিহ্য। আবার সামরিক শাসনামলের বিরাজনীতিকরণের একটি কৌশলও বটে। মূলত নির্বাচনী বিধিমালা, আচরণবিধি এবং ১৯৭৩ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধন-সংযোজন সাপেক্ষে তা খুব সহজে করা সম্ভব। যতই দিন যাচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনসমূহের নির্দলীয় বা অদলীয় চরিত্র আর অবশিষ্ট থাকছে না। তাই ব্যবস্থাটির সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন।
দলভিত্তিক নির্বাচন বিষয়ে সাধারণভাবে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিতে পারি: (১) ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে; (২) দল মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবেন এবং (৩) প্রতিটি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বা প্রতিনিধিত্বকারী দলসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভালোমন্দ কাজের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবে। পূর্বেই বলা হয়েছে যে বিদ্যমান আইনে (সংবিধান ও বিভিন্ন স্থানীয় সরকার আইন) দলভিত্তিক নির্বাচনের পথে আইনি বাধা তেমন নেই। নির্বাচনী বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধি, প্রতীক বরাদ্দ নীতিমালা, সর্বোপরি জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৭৩–এর সূক্ষ্ম পর্যালোচনাই এখানে প্রয়োজন। তাই সরকার দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়টিকে আইনি রূপ দিতে চাইলে তা সহজেই করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ও ফলাফল।
স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার আনুষ্ঠানিক বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান থাকতে পারে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি এবং রাজনীতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিনের প্রথা, পদ্ধতি ও ঐতিহ্য হচ্ছে দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন। আমাদের কাছে প্রতিবেশী ভারতের দৃষ্টান্ত নানা কারণে আমাদের জন্য প্রণিধানযোগ্য। ভারতে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবেই হয়ে আসছে। মূল স্থানীয় সরকার বা ‘পঞ্চায়েত রাজ’ আইনে দলীয়-অদলীয় কোনো ধারা-উপধারা নেই। নির্বাচনের মৌলিক বিধানসমূহ আমাদের আইনেরই মতো। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও কেরালার আইন পর্যালোচনা করে তা–ই দেখা গেল। রাজনৈতিক দলভিত্তিক নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে মূলত নির্বাচনী বিধিমালায় এবং তাকে কার্যকর করা হয়েছে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৭৪ এ বিষয়ে তিনটি বিশেষ ধারায় (১৭, ১৮ ও ১৯) বিষয়টিকে স্বচ্ছ করা হয়েছে। এ ধারাগুলো মূলত প্রতীক বরাদ্দ–সংক্রান্ত। তাদের দুই রকমের প্রতীক রয়েছে—‘রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক’ ও ‘উন্মুক্ত প্রতীক’। দলীয় গঠনতন্ত্রের আলোকে দল মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ‘ঘোষণা’ দেন এবং দল থেকে তা প্রত্যয়ন করা হয়। তাতে একজন প্রার্থী দলীয় প্রার্থী হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেরও সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছে।
আমাদের দেশেও স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার আনুষ্ঠানিক বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান থাকতে পারে। প্রথমত: ‘দলীয়করণ’ নামক প্রত্যয় মূর্তিমান আতঙ্ক। এ বিষয়টি সব দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিবেচনায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত: আমরা দল ও সরকার, রাজনীতি ও প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনিক নেতৃত্বের স্বীকৃত বিভাজন ও সীমারেখাকে সম্মান করতে শিখিনি। একটিকে অপরটির মধ্যে বিলীন হতে দেওয়া যাবে না। যদি ধীরে ধীরে তা করতে পারি, তাহলে দলভিত্তিক নির্বাচন ইতিবাচকতার দিকে ধাবিত হবে। সে জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে সুষ্ঠু, গঠনমূলক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা এবং তা শিকড় থেকে শিখর পর্যন্ত সর্বত্র। দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক প্রথা-পদ্ধতি মেনে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তৃণমূলে দলের দৃঢ় ভিত্তি নির্মাণে তা সহায়ক হবে এবং গড়ে উঠবে দায়িত্বশীল নেতৃত্বকাঠামো।
কিন্তু বিপরীতে যদি ব্যাপক দলীয়করণ, দলবাজি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাগাভাগিতে দলের আনুকূল্য লাভের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর মোড় নিতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিপর্যয়ের প্রবণতাই স্পষ্ট। তাই সরকার যদি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়ানোর রক্ষাকবচের বিষয় বিবেচনায় নেয়, তাহলে নিম্নের তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করব:
১. আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় ও আন্তরিক অঙ্গীকার এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শূন্য সহিষ্ণুতা; ২. দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বিধান এবং দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নৈতিক মানোন্নয়ন; ৩. নির্বাচনে প্রতিটি দল ও মতের প্রার্থীর জন্য সমতল ক্ষেত্র ও সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ। নির্বাচনের পর নিজ দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুকূল্য এবং বিরোধীদের প্রতি বৈরিতা পরিহারের গণতান্ত্রিক মানসিকতার চর্চা। এ তিনটি নীতি মেনে নিতে পারলে দলীয়ভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন তৃণমূলে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ব্যত্যয় ঘটলে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক হানাহানি নতুন মাত্রা ও গতি পাবে।
ড. তোফায়েল আহমেদ: স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক সদস্য, স্থানীয় সরকার কমিশন।
দলভিত্তিক নির্বাচন বিষয়ে সাধারণভাবে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিতে পারি: (১) ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে; (২) দল মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবেন এবং (৩) প্রতিটি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বা প্রতিনিধিত্বকারী দলসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভালোমন্দ কাজের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবে। পূর্বেই বলা হয়েছে যে বিদ্যমান আইনে (সংবিধান ও বিভিন্ন স্থানীয় সরকার আইন) দলভিত্তিক নির্বাচনের পথে আইনি বাধা তেমন নেই। নির্বাচনী বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধি, প্রতীক বরাদ্দ নীতিমালা, সর্বোপরি জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৭৩–এর সূক্ষ্ম পর্যালোচনাই এখানে প্রয়োজন। তাই সরকার দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়টিকে আইনি রূপ দিতে চাইলে তা সহজেই করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ও ফলাফল।
স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার আনুষ্ঠানিক বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান থাকতে পারে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি এবং রাজনীতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিনের প্রথা, পদ্ধতি ও ঐতিহ্য হচ্ছে দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন। আমাদের কাছে প্রতিবেশী ভারতের দৃষ্টান্ত নানা কারণে আমাদের জন্য প্রণিধানযোগ্য। ভারতে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবেই হয়ে আসছে। মূল স্থানীয় সরকার বা ‘পঞ্চায়েত রাজ’ আইনে দলীয়-অদলীয় কোনো ধারা-উপধারা নেই। নির্বাচনের মৌলিক বিধানসমূহ আমাদের আইনেরই মতো। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও কেরালার আইন পর্যালোচনা করে তা–ই দেখা গেল। রাজনৈতিক দলভিত্তিক নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে মূলত নির্বাচনী বিধিমালায় এবং তাকে কার্যকর করা হয়েছে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৭৪ এ বিষয়ে তিনটি বিশেষ ধারায় (১৭, ১৮ ও ১৯) বিষয়টিকে স্বচ্ছ করা হয়েছে। এ ধারাগুলো মূলত প্রতীক বরাদ্দ–সংক্রান্ত। তাদের দুই রকমের প্রতীক রয়েছে—‘রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক’ ও ‘উন্মুক্ত প্রতীক’। দলীয় গঠনতন্ত্রের আলোকে দল মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ‘ঘোষণা’ দেন এবং দল থেকে তা প্রত্যয়ন করা হয়। তাতে একজন প্রার্থী দলীয় প্রার্থী হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেরও সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছে।
আমাদের দেশেও স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার আনুষ্ঠানিক বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান থাকতে পারে। প্রথমত: ‘দলীয়করণ’ নামক প্রত্যয় মূর্তিমান আতঙ্ক। এ বিষয়টি সব দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিবেচনায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত: আমরা দল ও সরকার, রাজনীতি ও প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনিক নেতৃত্বের স্বীকৃত বিভাজন ও সীমারেখাকে সম্মান করতে শিখিনি। একটিকে অপরটির মধ্যে বিলীন হতে দেওয়া যাবে না। যদি ধীরে ধীরে তা করতে পারি, তাহলে দলভিত্তিক নির্বাচন ইতিবাচকতার দিকে ধাবিত হবে। সে জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে সুষ্ঠু, গঠনমূলক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা এবং তা শিকড় থেকে শিখর পর্যন্ত সর্বত্র। দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক প্রথা-পদ্ধতি মেনে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তৃণমূলে দলের দৃঢ় ভিত্তি নির্মাণে তা সহায়ক হবে এবং গড়ে উঠবে দায়িত্বশীল নেতৃত্বকাঠামো।
কিন্তু বিপরীতে যদি ব্যাপক দলীয়করণ, দলবাজি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাগাভাগিতে দলের আনুকূল্য লাভের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর মোড় নিতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিপর্যয়ের প্রবণতাই স্পষ্ট। তাই সরকার যদি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়ানোর রক্ষাকবচের বিষয় বিবেচনায় নেয়, তাহলে নিম্নের তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করব:
১. আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় ও আন্তরিক অঙ্গীকার এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শূন্য সহিষ্ণুতা; ২. দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বিধান এবং দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নৈতিক মানোন্নয়ন; ৩. নির্বাচনে প্রতিটি দল ও মতের প্রার্থীর জন্য সমতল ক্ষেত্র ও সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ। নির্বাচনের পর নিজ দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুকূল্য এবং বিরোধীদের প্রতি বৈরিতা পরিহারের গণতান্ত্রিক মানসিকতার চর্চা। এ তিনটি নীতি মেনে নিতে পারলে দলীয়ভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন তৃণমূলে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ব্যত্যয় ঘটলে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক হানাহানি নতুন মাত্রা ও গতি পাবে।
ড. তোফায়েল আহমেদ: স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক সদস্য, স্থানীয় সরকার কমিশন।
No comments