অব্যবস্থাপনায় প্রাণ গেল ২৭ জনের by সামছুর রহমান ও কামরান পারভেজ
ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় নিতে এই ফটক দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে গিয়ে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফটকের সামনে পড়ে আছে হতাহতদের স্যান্ডেল। পরে সেখানে মোতায়েন করা হয় পুলিশ l ছবি: প্রথম আলো |
৮
থেকে ১০ ফুট চওড়া ফটকের বাড়িটির সামনে তিন দিকে রাস্তা। রাতের অন্ধকারে
সেখানে অপেক্ষায় কয়েক হাজার দরিদ্র নারী-পুরুষ-শিশু। কখন ফটক খোলা হবে,
হাতে পাবে জাকাতের একটি শাড়ি-লুঙ্গি বা কিছু টাকা। ভোরের আলো ফোটার আগেই
যখন ফটক খোলা হলো, সবাই একসঙ্গে ঢুকতে গেল ওই ছোট্ট ফটকটি দিয়ে। কেউ
পড়ে গেলে জনতার স্রোত দিল তাকে মাড়িয়ে। পায়ের নিচে চাপা পড়ে কারও মুখ
থেঁতলে গেল, কারও নাক-মুখ ফেটে বেরিয়ে পড়ল রক্ত। পিষ্ট হয়ে সেখানেই ঝরে গেল
২৭টি প্রাণ। আহত হলো আরও অন্তত ৪০ জন।
গত শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী সড়কে। সেখানকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার প্রতিবছরের মতো এবারও জাকাতের কয়েক হাজার কাপড় ও টাকা বিতরণ করবেন—মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল এমন খবর। গৃহকর্তার দেওয়া কার্ড এবং লোকমুখে খবর পেয়ে কাপড়-পয়সা পাওয়ার আশা নিয়েই জড়ো হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনো ব্যবস্থাই রাখেননি গৃহকর্তা।
এ ঘটনার পর গৃহকর্তা মো. শামীম তালুকদার ও তাঁর ছেলে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করে তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে গঠন করেছে তিন সদস্যের কমিটি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকেই অভিযোগ করেন, কয়েক হাজার জাকাতের কাপড় বিতরণ করার ঘোষণা দিলেও জাকাতদাতার পক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ না রাখায় এবং অব্যবস্থাপনার কারণেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জাকাতের কাপড় সংগ্রহের জন্য ওই বাড়ির সামনে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এত মানুষকে জাকাতের কাপড় দেওয়ার আগে অবশ্যই জাকাতদাতার উচিত ছিল পুলিশি নিরাপত্তা নেওয়া। তাহলে হয়তো হতাহতের ঘটনা ঘটত না।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের অতুল চক্রবর্তী সড়কের বাসিন্দা শামীম তালুকদারের জর্দা তৈরির কারখানা আছে। প্রতিবছর পবিত্র রমজানে তিনি তাঁর ওই বাড়ির সামনেই দরিদ্র মানুষের মধ্যে জাকাতের কাপড় বিতরণ করেন। গতকাল ভোরে এ বছরের জাকাতের কাপড় বিতরণ করার ঘোষণা দিয়ে অনেক দরিদ্র মানুষের মধ্যে কার্ড বিতরণ করা হয়। আবার কার্ড ছাড়াও দরিদ্র মানুষ গেলে তাদেরও কাপড় দেওয়া হবে বলে লোকমুখে খবর রটে যায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সেহ্রির পর থেকেই জাকাতের কাপড় সংগ্রহ করার জন্য ময়মনসিংহ শহরের থানা ঘাট, কালীবাড়ি ঘাট, পাটগুদাম এলাকা ও ওই এলাকায় অবস্থিত আটকে পড়া পাকিস্তানি ক্যাম্প, আকুয়া, ব্রহ্মপুত্র নদের চরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসে দরিদ্র মানুষ ভিড় করে।
কাপড় নিতে যাওয়া কমপক্ষে ২০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগেভাগে কাপড় পাওয়ার আশায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকেই মানুষের ভিড় জমতে থাকে। ভোর সাড়ে চারটার দিকে ওই বাড়ির তিন দিকের সড়কে নারী ও শিশুদের উপচে পড়া ভিড় জমে। ভিড় দেখে পৌনে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনে দুজন দারোয়ান অবস্থান নিয়ে বাড়ির মূল ফটক খুলে দেন। তখন নারী ও শিশুরা স্রোতের মতো বাড়ির ভেতর ঢুকতে চাইলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পেছন থেকে মানুষের চাপ আরও বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে ফটকের সামনে অবস্থান করা নারী ও শিশুরা নিচে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আসা জনস্রোত তাদের ওপর আছড়ে পড়লে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি মৃতদেহ সরাসরি বাড়িতে নিয়ে যান নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। নিহত হওয়া ২৭ জনের মধ্যে ২২ জন নারী ও পাঁচটি শিশু। তার মধ্যে একই পরিবারের শিশুসহ তিন সদস্য রয়েছে।
গত শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী সড়কে। সেখানকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার প্রতিবছরের মতো এবারও জাকাতের কয়েক হাজার কাপড় ও টাকা বিতরণ করবেন—মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল এমন খবর। গৃহকর্তার দেওয়া কার্ড এবং লোকমুখে খবর পেয়ে কাপড়-পয়সা পাওয়ার আশা নিয়েই জড়ো হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনো ব্যবস্থাই রাখেননি গৃহকর্তা।
এ ঘটনার পর গৃহকর্তা মো. শামীম তালুকদার ও তাঁর ছেলে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করে তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে গঠন করেছে তিন সদস্যের কমিটি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকেই অভিযোগ করেন, কয়েক হাজার জাকাতের কাপড় বিতরণ করার ঘোষণা দিলেও জাকাতদাতার পক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ না রাখায় এবং অব্যবস্থাপনার কারণেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জাকাতের কাপড় সংগ্রহের জন্য ওই বাড়ির সামনে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এত মানুষকে জাকাতের কাপড় দেওয়ার আগে অবশ্যই জাকাতদাতার উচিত ছিল পুলিশি নিরাপত্তা নেওয়া। তাহলে হয়তো হতাহতের ঘটনা ঘটত না।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের অতুল চক্রবর্তী সড়কের বাসিন্দা শামীম তালুকদারের জর্দা তৈরির কারখানা আছে। প্রতিবছর পবিত্র রমজানে তিনি তাঁর ওই বাড়ির সামনেই দরিদ্র মানুষের মধ্যে জাকাতের কাপড় বিতরণ করেন। গতকাল ভোরে এ বছরের জাকাতের কাপড় বিতরণ করার ঘোষণা দিয়ে অনেক দরিদ্র মানুষের মধ্যে কার্ড বিতরণ করা হয়। আবার কার্ড ছাড়াও দরিদ্র মানুষ গেলে তাদেরও কাপড় দেওয়া হবে বলে লোকমুখে খবর রটে যায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সেহ্রির পর থেকেই জাকাতের কাপড় সংগ্রহ করার জন্য ময়মনসিংহ শহরের থানা ঘাট, কালীবাড়ি ঘাট, পাটগুদাম এলাকা ও ওই এলাকায় অবস্থিত আটকে পড়া পাকিস্তানি ক্যাম্প, আকুয়া, ব্রহ্মপুত্র নদের চরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসে দরিদ্র মানুষ ভিড় করে।
কাপড় নিতে যাওয়া কমপক্ষে ২০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগেভাগে কাপড় পাওয়ার আশায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকেই মানুষের ভিড় জমতে থাকে। ভোর সাড়ে চারটার দিকে ওই বাড়ির তিন দিকের সড়কে নারী ও শিশুদের উপচে পড়া ভিড় জমে। ভিড় দেখে পৌনে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনে দুজন দারোয়ান অবস্থান নিয়ে বাড়ির মূল ফটক খুলে দেন। তখন নারী ও শিশুরা স্রোতের মতো বাড়ির ভেতর ঢুকতে চাইলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পেছন থেকে মানুষের চাপ আরও বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে ফটকের সামনে অবস্থান করা নারী ও শিশুরা নিচে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আসা জনস্রোত তাদের ওপর আছড়ে পড়লে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি মৃতদেহ সরাসরি বাড়িতে নিয়ে যান নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। নিহত হওয়া ২৭ জনের মধ্যে ২২ জন নারী ও পাঁচটি শিশু। তার মধ্যে একই পরিবারের শিশুসহ তিন সদস্য রয়েছে।
মা খোদেজা বেগমকে হারিয়ে মিতু আক্তারের আহাজারি l ছবি: প্রথম আলো |
পদদলিত হয়ে নিহত নারী ও শিশুরা হলেন
হামিদা বেগম (৪৫), নাজমা বেগম (৫০), ফাতেমা বেগম (৬০), জোহরা খাতুন (৫২),
রেজিয়া আক্তার (৪০), ফাতেমা বেগম ফতে (৪২), সুফিয়া বেগম (৬০), খোদেজা বেগম
(৫০), মো. ছিদ্দিক (১২), সখিনা (৪০), সখিনার মেয়ে লামিয়া (২) ও সখিনার মা
শামীমা ওরফে সামু বেগম (৬০), ফজিলা বেগম (৭৫), হাজেরা বেগম (৭০), মেঘনা
বসাক (৩৫), মরিয়ম (৫০), সুধা রানী সরকার (৫৫), রীনা রানী দে (৬০), মমতাজ
বেগম ওরফে টুকু (৪০), আঙ্গুরী বেগম (৩৫), সাহারন বেগম (৪০), রুবি আক্তার
(১২), খোদেজা আক্তার (৫০) ও তাঁর নাতনি বৃষ্টি (১২), রহিমা বেগম (৫৫) ও
ইতি। একজনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া,
কাঠগোলা, থানা ঘাট, কাছারি ঘাট, পাদগুদাম বিহারি ক্যাম্প ও ব্রহ্মপুত্র
নদের চরের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ছাড়া পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে হেনা আক্তার, রাজ, ময়না, রাসেল ও কালাচান নামের পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অব্যবস্থাপনার অভিযোগ: পুলিশ ও জাকাত নিতে আসা অনেকে অভিযোগ করেন, কয়েক হাজার নারী ও শিশু কাপড় নেওয়ার জন্য জড়ো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ রাখা হয়নি। এ ছাড়া জাকাতদাতার পক্ষ থেকেও এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ছিল না পর্যাপ্ত লোক।
পদদলিত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ময়না বেগম (৭০) নামের একজন প্রথম আলোকে বলেন, বাইরে কয়েক হাজার লোক থাকলেও ফটক খুলে দেওয়ার সময় ফটকের সামনে মাত্র দুজন নিরাপত্তারক্ষী (দারোয়ান) ছিলেন। পরে নারীদের পদদলিত হতে দেখে আরও কয়েকজন পুরুষ মানুষ বাড়ির ভেতর থেকে এসে পদদলিত মানুষকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লাঠিপেটা করতে শুরু করেন। পরে অনেক মানুষ মারা যেতে পারে এমন আশঙ্কায় তাঁরা লাঠিপেটা বন্ধ করেন।
পুলিশের হত্যা মামলা: এ ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিক বাদী হয়ে গৃহকর্তা মো. শামীম তালুকদারসহ আটজনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার পরপরই মো. শামীম তালুকদার, তাঁর ছেলে হেদায়েত ইসলাম, তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নূরানী জর্দা কারখানার ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন এবং ঘটনার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরসহ আটজনকে আটক করেছে।
তদন্ত কমিটি গঠন: ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে হেনা আক্তার, রাজ, ময়না, রাসেল ও কালাচান নামের পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অব্যবস্থাপনার অভিযোগ: পুলিশ ও জাকাত নিতে আসা অনেকে অভিযোগ করেন, কয়েক হাজার নারী ও শিশু কাপড় নেওয়ার জন্য জড়ো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ রাখা হয়নি। এ ছাড়া জাকাতদাতার পক্ষ থেকেও এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ছিল না পর্যাপ্ত লোক।
পদদলিত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ময়না বেগম (৭০) নামের একজন প্রথম আলোকে বলেন, বাইরে কয়েক হাজার লোক থাকলেও ফটক খুলে দেওয়ার সময় ফটকের সামনে মাত্র দুজন নিরাপত্তারক্ষী (দারোয়ান) ছিলেন। পরে নারীদের পদদলিত হতে দেখে আরও কয়েকজন পুরুষ মানুষ বাড়ির ভেতর থেকে এসে পদদলিত মানুষকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লাঠিপেটা করতে শুরু করেন। পরে অনেক মানুষ মারা যেতে পারে এমন আশঙ্কায় তাঁরা লাঠিপেটা বন্ধ করেন।
পুলিশের হত্যা মামলা: এ ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিক বাদী হয়ে গৃহকর্তা মো. শামীম তালুকদারসহ আটজনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার পরপরই মো. শামীম তালুকদার, তাঁর ছেলে হেদায়েত ইসলাম, তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নূরানী জর্দা কারখানার ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন এবং ঘটনার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরসহ আটজনকে আটক করেছে।
তদন্ত কমিটি গঠন: ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
No comments