গ্রিসের ভাগ্য নির্ধারণে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় নেতারা: সিপ্রাসের প্রস্তাবে পার্লামেন্টের সমর্থন
গ্রিসের পার্লামেন্টে গতকাল ভোটাভুটির সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস l ছবি: রয়টার্স |
ঋণ পেতে আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছে গ্রিস সরকারের দেওয়া নতুন কঠোর
সংস্কার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। গতকাল শনিবার
পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটা–ভুটিতে প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের
নিজ দলের একাংশের বিরোধিতার মুখেই ইউরোপপন্থী বিরোধী দলগুলোর সমর্থনে পাস
হয় প্রস্তাবটি।
ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা গ্রিসের প্রস্তাবটি তৃতীয় দফা আর্থিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট কি না, তা স্থির করতে গতকাল বৈঠকে বসেছেন। তাঁরা সন্তুষ্ট হলে গ্রিসের ইউরোজোন থেকে সম্ভাব্য বিদায় ঠেকানো যাবে। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাসের দেওয়া প্রস্তাবকে ‘বিশদ’ বলে অভিহিত করে এর প্রতি অনুকূল মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। এখন গ্রিসের পার্লামেন্টের সমর্থন পাওয়ায় প্রস্তাবটির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ল।
ব্রাসেলসে ১৯ দেশের ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের পর আজ রোববারই শুরু হবে ইইউর পূর্ণ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে সিপ্রাসের প্রস্তাবের আলোকে গ্রিসের সঙ্গে ইউরোজোনের নতুন চুক্তি অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
তিন বৃহৎ ঋণদাতা ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং আইএমএফ ইতিমধ্যে সিপ্রাসের প্রস্তাবের ওপর তাদের যৌথ প্রাথমিক মূল্যায়ন ইউরোজোন মন্ত্রীদের কাছে পাঠিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইইউর একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁরা যৌথভাবে ওই প্রস্তাবকে সমঝোতার ভিত্তি বলে বিবেচনা করছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ বলেন, গ্রিসের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার ঘটনাকে তিনি বড় ধরনের অগ্রগতি বলে মনে করেন। তিনি আশা করেন, চলমান সংকট নিরসন হতে পারে।
অবশ্য ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি আশা প্রকাশ করেছেন, গ্রিসের প্রস্তাব শনিবারই গৃহীত হবে। আর এর ফলে রোববারের বৈঠকের কোনো প্রয়োজন হবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদও আশাবাদী। তবে ইউরোপীয় বেশ কয়েকজন নেতা আজকে চুক্তি অনুমোদনের সম্ভাবনা অর্ধেক অর্ধেক বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা অনেকেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ব্যাপারে গ্রিসের সক্ষমতা নিয়ে সংশয়ে আছেন।
গ্রিসের ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম এখন সম্পূর্ণভাবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ঋণের ওপর নির্ভরশীল। নতুন করে ঋণ না পাওয়ায় তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে। এখন সিপ্রাসের দেওয়া প্রস্তাবটিকেই গ্রিসের অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়া ঠেকানোর শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দাতাদের ব্যয় সংকোচন প্রস্তাবের অনেকগুলো শর্তই প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস মেনে নেওয়ায় তাঁর নিজ দলের একটি অংশ ক্ষুব্ধ।
ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা গ্রিসের প্রস্তাবটি তৃতীয় দফা আর্থিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট কি না, তা স্থির করতে গতকাল বৈঠকে বসেছেন। তাঁরা সন্তুষ্ট হলে গ্রিসের ইউরোজোন থেকে সম্ভাব্য বিদায় ঠেকানো যাবে। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাসের দেওয়া প্রস্তাবকে ‘বিশদ’ বলে অভিহিত করে এর প্রতি অনুকূল মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। এখন গ্রিসের পার্লামেন্টের সমর্থন পাওয়ায় প্রস্তাবটির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ল।
ব্রাসেলসে ১৯ দেশের ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের পর আজ রোববারই শুরু হবে ইইউর পূর্ণ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে সিপ্রাসের প্রস্তাবের আলোকে গ্রিসের সঙ্গে ইউরোজোনের নতুন চুক্তি অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
তিন বৃহৎ ঋণদাতা ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং আইএমএফ ইতিমধ্যে সিপ্রাসের প্রস্তাবের ওপর তাদের যৌথ প্রাথমিক মূল্যায়ন ইউরোজোন মন্ত্রীদের কাছে পাঠিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইইউর একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁরা যৌথভাবে ওই প্রস্তাবকে সমঝোতার ভিত্তি বলে বিবেচনা করছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ বলেন, গ্রিসের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার ঘটনাকে তিনি বড় ধরনের অগ্রগতি বলে মনে করেন। তিনি আশা করেন, চলমান সংকট নিরসন হতে পারে।
অবশ্য ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি আশা প্রকাশ করেছেন, গ্রিসের প্রস্তাব শনিবারই গৃহীত হবে। আর এর ফলে রোববারের বৈঠকের কোনো প্রয়োজন হবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদও আশাবাদী। তবে ইউরোপীয় বেশ কয়েকজন নেতা আজকে চুক্তি অনুমোদনের সম্ভাবনা অর্ধেক অর্ধেক বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা অনেকেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ব্যাপারে গ্রিসের সক্ষমতা নিয়ে সংশয়ে আছেন।
গ্রিসের ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম এখন সম্পূর্ণভাবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ঋণের ওপর নির্ভরশীল। নতুন করে ঋণ না পাওয়ায় তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে। এখন সিপ্রাসের দেওয়া প্রস্তাবটিকেই গ্রিসের অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়া ঠেকানোর শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দাতাদের ব্যয় সংকোচন প্রস্তাবের অনেকগুলো শর্তই প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস মেনে নেওয়ায় তাঁর নিজ দলের একটি অংশ ক্ষুব্ধ।
No comments