বিক্রির শীর্ষে কিরণমালা by এস এম জাকির হোসেন
ঈদ
যত ঘনিয়ে আসছে ফুলবাড়ীতে ঈদ মার্কেট তত পুরোদমে জমে উঠছে। অন্যান্য বছর
যেমন রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়, এবার তার
ব্যতিক্রম ঘটেছে। ২৩ রোজা চলে যাচ্ছে সেই সঙ্গে এখন ফুলবাড়ীতে ঈদ মার্কেটে
ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কাটা কাপড়ের দোকানে রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই
কেনাকাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে পৌর বাজারের সব ধরনের দোকানে বেচাকেনা
পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার কাপড়-
জুতাসহ সব রকমের আইটেমের দাম বেশি বলে ভুক্তভোগী ক্রেতা সাধারণ অভিমত
প্রকাশ করেছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণদের উপচে পড়া ভিড়
লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ইফতারির পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দোকানে ভিড় বেশি
থাকছে। ফুলবাড়ী ও আশেপাশের এলাকায় পুরোদমে রোপা আমন চাষ শুরু না হওয়ার ফলে
দিনমজুরদের হাতে এবার টাকা-পয়সা নেই বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে।
এবার ফুলবাড়ী বাজারে শাড়ি, থ্রি-পিস, সালোয়ার, কামিজ, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট প্রভৃতি কাপড়ের আইটেমসহ রকমারি জুতা-স্যান্ডেলের সমাহার হয়েছে। বাচ্চাদের কাপড়ের মধ্যে গতবছরের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বাহারি কাপড়ের সমাহার যেমন রয়েছে তেমনি নিত্য নতুন নামেও এবার রয়েছে বাচ্চাদের অনেক আইটেমের কাপড়। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে এবার কিরণমালা জয়-জয়কার সব বয়সের বাচ্চাদের কাছে। পুরো মার্কেট যেন কিরণমালা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় এই সব পোশাক সব ধরনের ক্রেতারা কিনতে পারছেন না বলে আফসোস করে ফিরে যাচ্ছেন। ১ বছরের শিশু থেকে ১২/১৪ বছরের বাচ্চাদের ১ সেট পোশাক বিক্রি হচ্ছে ৬’শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকানদার জানান, শুধু কিরণমালার বিক্রি বেশি বিধায় সব ধরনের পোশাকে কিরণমালার স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে পাঞ্জাবির পাশাপাশি ট্রাউজার ও জুড়িধার পায়জামা বিক্রি হচ্ছে বেশি। এবার পাঞ্জাবির বাজারে সুতি পাঞ্জাবির চাহিদাই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাঞ্জাবির মধ্যে মোদি পাঞ্জাবি, পুষ্পকলি, জিপসী, অক্টোপাস, মাসাককালী প্রভৃতির চাহিদা রয়েছে। জেন্টস ফ্যাশনের মালিক জাহিদ হোসেন জানান, এখন পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় ফ্যাশন পাঞ্জাবি ও রেডিমেট ফ্যাশন পোশাকের বিক্রি কম হচ্ছে। শুধু কিরণমালা আইটেমের পোশাক দিতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান। এবার মোদি পাঞ্জাবি ১৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঞ্জাবি নিম্নে ৭’শ থেকে উপরে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পৌরবাজারে অভিজাত জুতার দোকান সৌখিন সু-হাউজের মালিক ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মানিক সরকার বলেন, দেরিতে হলেও ফুলবাড়ীতে ঈদের বাজার ক্রমেই জমে উঠেছে। ক্রেতারা নেড়ে চেড়ে দেখছেন এবং তুলনামূলক কম দামের স্যান্ডেল- জুতা বেশি কিনছেন। তবে ক্রেতাদের মধ্যে বেলাল জানান, দাম বেশি হওয়ার জন্য পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও মনের মতো স্যান্ডেল কেনা যাচ্ছে না। সাধ্যের মধ্যে একটু কম দামে স্যান্ডেল কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ফুলবাড়ীর ২টি অভিজাত টেইলার্স ভিআইপি ও বেনিসন, জিএম লেডিস টেইলার্স তাদের অর্ডার নেয়া এখন বন্ধ করে দিয়েছে। শাড়ি কাপড়ের দোকানের মধ্যে রমণী শাড়িঘর, মনে রেখো শাড়িঘর, সুলভ বস্ত্রালয়, লাকী বস্ত্রালয়, বধূ সাজঘর এই দোকানগুলোতে বেশি ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ ক্রেতাদেরকে এই সব দোকানেও আক্ষেপ করে বলতে শোনা গেছে সব কাপড়ের দাম বেশি, কেনার সাধ্য নেই। বিক্রেতারা বলছেন- পাইকারি মোকামেই বেশি দামে এবার ঈদ মার্কেটের কেনাকাটা করতে হয়েছে। তাই আমাদের কিছু করার নেই। ন্যূনতম লাভেই আমরা বেচাবিক্রি করার চেষ্টা করছি। এবার ফুলবাড়ী বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের ভিড়ই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল- কলেজ বন্ধ থাকায় তরুণীরা দল বেঁধে দোকানগুলোতে কেনাকাটা করছে। কম-বেশি সকল কেনাকাটা শেষ করে মেয়েরা এখন ছুটছে তাদের রূপচর্চার দিকে। ফুলবাড়ীতে বিবিয়ানা, শাহানাজ, ফেমিনা বিউটি পার্লারগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ফুলবাড়ী বাজারে ছেলেদের রূপচর্চার জন্য জেন্টস পার্লার রয়েছে। সেখানেও ভিড় করছে ছেলেরা।
এবার ফুলবাড়ী বাজারে শাড়ি, থ্রি-পিস, সালোয়ার, কামিজ, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট প্রভৃতি কাপড়ের আইটেমসহ রকমারি জুতা-স্যান্ডেলের সমাহার হয়েছে। বাচ্চাদের কাপড়ের মধ্যে গতবছরের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বাহারি কাপড়ের সমাহার যেমন রয়েছে তেমনি নিত্য নতুন নামেও এবার রয়েছে বাচ্চাদের অনেক আইটেমের কাপড়। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে এবার কিরণমালা জয়-জয়কার সব বয়সের বাচ্চাদের কাছে। পুরো মার্কেট যেন কিরণমালা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় এই সব পোশাক সব ধরনের ক্রেতারা কিনতে পারছেন না বলে আফসোস করে ফিরে যাচ্ছেন। ১ বছরের শিশু থেকে ১২/১৪ বছরের বাচ্চাদের ১ সেট পোশাক বিক্রি হচ্ছে ৬’শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকানদার জানান, শুধু কিরণমালার বিক্রি বেশি বিধায় সব ধরনের পোশাকে কিরণমালার স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে পাঞ্জাবির পাশাপাশি ট্রাউজার ও জুড়িধার পায়জামা বিক্রি হচ্ছে বেশি। এবার পাঞ্জাবির বাজারে সুতি পাঞ্জাবির চাহিদাই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাঞ্জাবির মধ্যে মোদি পাঞ্জাবি, পুষ্পকলি, জিপসী, অক্টোপাস, মাসাককালী প্রভৃতির চাহিদা রয়েছে। জেন্টস ফ্যাশনের মালিক জাহিদ হোসেন জানান, এখন পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় ফ্যাশন পাঞ্জাবি ও রেডিমেট ফ্যাশন পোশাকের বিক্রি কম হচ্ছে। শুধু কিরণমালা আইটেমের পোশাক দিতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান। এবার মোদি পাঞ্জাবি ১৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঞ্জাবি নিম্নে ৭’শ থেকে উপরে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পৌরবাজারে অভিজাত জুতার দোকান সৌখিন সু-হাউজের মালিক ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মানিক সরকার বলেন, দেরিতে হলেও ফুলবাড়ীতে ঈদের বাজার ক্রমেই জমে উঠেছে। ক্রেতারা নেড়ে চেড়ে দেখছেন এবং তুলনামূলক কম দামের স্যান্ডেল- জুতা বেশি কিনছেন। তবে ক্রেতাদের মধ্যে বেলাল জানান, দাম বেশি হওয়ার জন্য পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও মনের মতো স্যান্ডেল কেনা যাচ্ছে না। সাধ্যের মধ্যে একটু কম দামে স্যান্ডেল কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ফুলবাড়ীর ২টি অভিজাত টেইলার্স ভিআইপি ও বেনিসন, জিএম লেডিস টেইলার্স তাদের অর্ডার নেয়া এখন বন্ধ করে দিয়েছে। শাড়ি কাপড়ের দোকানের মধ্যে রমণী শাড়িঘর, মনে রেখো শাড়িঘর, সুলভ বস্ত্রালয়, লাকী বস্ত্রালয়, বধূ সাজঘর এই দোকানগুলোতে বেশি ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ ক্রেতাদেরকে এই সব দোকানেও আক্ষেপ করে বলতে শোনা গেছে সব কাপড়ের দাম বেশি, কেনার সাধ্য নেই। বিক্রেতারা বলছেন- পাইকারি মোকামেই বেশি দামে এবার ঈদ মার্কেটের কেনাকাটা করতে হয়েছে। তাই আমাদের কিছু করার নেই। ন্যূনতম লাভেই আমরা বেচাবিক্রি করার চেষ্টা করছি। এবার ফুলবাড়ী বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের ভিড়ই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল- কলেজ বন্ধ থাকায় তরুণীরা দল বেঁধে দোকানগুলোতে কেনাকাটা করছে। কম-বেশি সকল কেনাকাটা শেষ করে মেয়েরা এখন ছুটছে তাদের রূপচর্চার দিকে। ফুলবাড়ীতে বিবিয়ানা, শাহানাজ, ফেমিনা বিউটি পার্লারগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ফুলবাড়ী বাজারে ছেলেদের রূপচর্চার জন্য জেন্টস পার্লার রয়েছে। সেখানেও ভিড় করছে ছেলেরা।
No comments