কার্ডিফে ব্র্যাডম্যান হবেন কে?
অস্ট্রেলিয়া কি পারবে নতুন ইতিহাস গড়তে? ছবি: রয়টার্স |
তিন-চার
দিনের ক্রমাগত খেলায় পিচ দফারফা হয়ে আছে, বল আসছে অনেক নিচু হয়ে। মাঝে
মাঝেই নিচ্ছে অবাক করা বাঁক। বোলাররা নতুন উদ্যমে বল করছে আর ব্যাটসম্যানরা
গত কয়েক দিনে বল তাড়া করতে করতে এর মধ্যেই ক্লান্ত-শ্রান্ত। সব মিলিয়ে
টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য। ২১০০-এর বেশি টেস্ট
খেলা হয়ে গেছে, চতুর্থ ইনিংসে ৪০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার
ঘটনা কেবল চারটি। সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ডটি ওয়েস্ট
ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে সেন্ট জোনসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান তাড়া
করে জিতে নেওয়া সেই ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ানদের মনে থাকবে অনেক দিন। দ্বিতীয়
স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ৪১৪ রান তাড়া করে জেতাও কিন্তু অস্ট্রেলিয়ারই
বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার নিজেদেরও অবশ্য ৪০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার সুখস্মৃতি আছে। স্মৃতির সঙ্গে জুড়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত একজনের নাম। ১৯৪৮-এর অ্যাশেজে লিডসে ৪০৪ রান তাড়া করতে গিয়ে নিজের সর্বশেষ শতক পেয়েছিলেন ডন ব্র্যাডম্যান। আর্থার মরিসকে সঙ্গী করে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই। মরিস করেছিলেন ১৮২, ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে।
১৯৪৮ সালের জুলাইয়ের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে এই অ্যাশেজের কার্ডিফ টেস্ট। ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৪১২ রানের পাহাড় টপকানোর দায়িত্ব যে বর্তেছে ক্লার্ক বাহিনীর কাছে। হাতে আছে পুরো দুই দিন। অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই হাল ছাড়েনি। ১৯৪৮ সালের সেই টেস্টের সুখস্মৃতিটা যেন চোখের সামনেই দেখছে তারা। নাথান লায়ন তো নিজের দলের সুযোগ দেখছেন আরও বেশি করেই।
‘আমরা যদি দুই দিন ব্যাট করতে পারি, তবে আমরাই জিতব, সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন লায়ন। আশাবাদী হলেও এই টেস্টের লক্ষ্যপূরণে ব্যাটসম্যানদেরই বেশি দায়িত্ব দেখছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ারও কথা বলেছেন তিনি, ‘আমাদের প্রথম ইনিংস থেকে শিক্ষা নিলেই হয়ে যাবে, ত্রিশগুলোকে শতকে রূপ দিলেই আমাদের সুযোগ থাকছে।’
‘কাল (পড়ুন আজ) একটা নতুন দিন শুরু হবে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা মানসিকভাবে তৈরি। প্রথম বল থেকেই নতুন করে খেলা শুরু হবে।’ রেকর্ড গড়ে জেতার ব্যাপারটা মাথাতেই রাখতে চান না তিনি। বলেছেন, ‘রেকর্ড কিন্তু গড়াই হয় ভেঙে ফেলার জন্য।’
লায়ন যতই যুক্তি দেখান, শেষ পর্যন্ত ৪০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা আসলেই কঠিন কাজ। তবে এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া অনুপ্রেরণা পেতে পারে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের কাছেই। ৫ উইকেটে ৬৫৪ করে ৭৬ বছর ধরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড কিন্তু ইংল্যান্ডের দখলে। ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৬৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় থেকে ৪১ রান দূরে থাকতে ড্র মেনেই খেলাটা ইংল্যান্ড শেষ করেছিল দেশের ফেরার জাহাজ ধরতেই। সময়টা তখন অবশ্য ছিল টাইমলেস টেস্টের।
অস্ট্রেলিয়া অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে বাংলাদেশের কাছ থেকেও। বাংলাদেশেরও যে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে চার শতাধিক রান করার ইতিহাস আছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৯ সালে ৫২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪১৩ রান। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়া যে লক্ষ্যে হাঁটতে পারবে না—এ কথা জোর দিয়ে বললে বোকা বনে যাওয়ার শঙ্কাটা কিন্তু থাকছেই। ক্লার্ক বাহিনীর হাতে অবশ্যই আছে নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লেখার সুযোগ। শেষবার ব্র্যাডম্যানকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল জয় ছিনিয়ে আনতে। নিজের ক্রিকেট জীবনের শেষ শতক দিয়ে দেশকে উপহার দিয়েছেন অসাধারণ এক জয়। এখন প্রশ্ন, কার্ডিফের ব্র্যাডম্যান হচ্ছেন কে? অস্ট্রেলিয়া কি পাবে কোনো নতুন ব্র্যাডম্যানের দেখা! ৪১২ কি খুব অসম্ভব কোনো লক্ষ্য? সূত্র: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ার নিজেদেরও অবশ্য ৪০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার সুখস্মৃতি আছে। স্মৃতির সঙ্গে জুড়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত একজনের নাম। ১৯৪৮-এর অ্যাশেজে লিডসে ৪০৪ রান তাড়া করতে গিয়ে নিজের সর্বশেষ শতক পেয়েছিলেন ডন ব্র্যাডম্যান। আর্থার মরিসকে সঙ্গী করে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই। মরিস করেছিলেন ১৮২, ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে।
১৯৪৮ সালের জুলাইয়ের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে এই অ্যাশেজের কার্ডিফ টেস্ট। ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৪১২ রানের পাহাড় টপকানোর দায়িত্ব যে বর্তেছে ক্লার্ক বাহিনীর কাছে। হাতে আছে পুরো দুই দিন। অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই হাল ছাড়েনি। ১৯৪৮ সালের সেই টেস্টের সুখস্মৃতিটা যেন চোখের সামনেই দেখছে তারা। নাথান লায়ন তো নিজের দলের সুযোগ দেখছেন আরও বেশি করেই।
‘আমরা যদি দুই দিন ব্যাট করতে পারি, তবে আমরাই জিতব, সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন লায়ন। আশাবাদী হলেও এই টেস্টের লক্ষ্যপূরণে ব্যাটসম্যানদেরই বেশি দায়িত্ব দেখছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ারও কথা বলেছেন তিনি, ‘আমাদের প্রথম ইনিংস থেকে শিক্ষা নিলেই হয়ে যাবে, ত্রিশগুলোকে শতকে রূপ দিলেই আমাদের সুযোগ থাকছে।’
‘কাল (পড়ুন আজ) একটা নতুন দিন শুরু হবে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা মানসিকভাবে তৈরি। প্রথম বল থেকেই নতুন করে খেলা শুরু হবে।’ রেকর্ড গড়ে জেতার ব্যাপারটা মাথাতেই রাখতে চান না তিনি। বলেছেন, ‘রেকর্ড কিন্তু গড়াই হয় ভেঙে ফেলার জন্য।’
লায়ন যতই যুক্তি দেখান, শেষ পর্যন্ত ৪০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা আসলেই কঠিন কাজ। তবে এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া অনুপ্রেরণা পেতে পারে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের কাছেই। ৫ উইকেটে ৬৫৪ করে ৭৬ বছর ধরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড কিন্তু ইংল্যান্ডের দখলে। ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৬৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় থেকে ৪১ রান দূরে থাকতে ড্র মেনেই খেলাটা ইংল্যান্ড শেষ করেছিল দেশের ফেরার জাহাজ ধরতেই। সময়টা তখন অবশ্য ছিল টাইমলেস টেস্টের।
অস্ট্রেলিয়া অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে বাংলাদেশের কাছ থেকেও। বাংলাদেশেরও যে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে চার শতাধিক রান করার ইতিহাস আছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৯ সালে ৫২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪১৩ রান। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়া যে লক্ষ্যে হাঁটতে পারবে না—এ কথা জোর দিয়ে বললে বোকা বনে যাওয়ার শঙ্কাটা কিন্তু থাকছেই। ক্লার্ক বাহিনীর হাতে অবশ্যই আছে নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লেখার সুযোগ। শেষবার ব্র্যাডম্যানকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল জয় ছিনিয়ে আনতে। নিজের ক্রিকেট জীবনের শেষ শতক দিয়ে দেশকে উপহার দিয়েছেন অসাধারণ এক জয়। এখন প্রশ্ন, কার্ডিফের ব্র্যাডম্যান হচ্ছেন কে? অস্ট্রেলিয়া কি পাবে কোনো নতুন ব্র্যাডম্যানের দেখা! ৪১২ কি খুব অসম্ভব কোনো লক্ষ্য? সূত্র: রয়টার্স।
No comments