পরীক্ষা হবে পশ্চিম সীমান্তে -টাইমস অব ইন্ডিয়ার পর্যবেক্ষণ
রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উষ্ণ বৈঠককে ঘিরে চিরবৈরী প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আশার আলো দেখছেন অনেকে। তবে এই বৈঠকের ফল আসলেই কতটা ইতিবাচক হবে, তার একটা প্রমাণ মিলবে পশ্চিম সীমান্তে। সেখানেই হবে এর অন্যতম পরীক্ষা। গতকাল শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম সীমান্তে গত আগস্টে স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে। এতে বলা হয়, দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে কখনো টানা ১৫ দিন এমনকি এক মাস গোলাগুলি চলে।
রাশিয়ায় মোদি–নওয়াজ বৈঠক: রাশিয়ায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আলোচিত বৈঠক নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে। বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর তার একটা প্রমাণ হবে পশ্চিম সীমান্তের পরিস্থিতি ভারতের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলতি বছর হয়তো দুই দেশের সীমান্তে অস্ত্রের গর্জন তুলনামূলকভাবে কম শোনা যাবে। কারণ ভারত ‘অত্যন্ত সতর্ক কৌশল’ অবলম্বন করছে। পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে কেবল সেই অনুপাতেই জবাব দিচ্ছে। অথচ গত বছর পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ১০ গুণ শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। এর ফলে সীমান্তে ভারতের পক্ষে ১০ জন ও পাকিস্তানের পক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এটা ছিল পাকিস্তানকে দেওয়া কৌশলগত জবাব। পাকিস্তানের কাছে ভারত এই বার্তা পাঠাতে চেয়েছিল যে কোনো আগ্রাসন বরদাশত করা হবে না। আক্রান্ত হলে ভারত দাঁতভাঙা জবাব দেবে। এর মূল লক্ষ্য ছিল, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে আনা।
বিএসএফের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত বছর যখন আমাদের চারটি চৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সীমান্ত বাহিনী, আমরা জবাবে ওদের অন্তত ৫০টি চৌকিতে আক্রমণ করি। প্রতি রাতে কামান থেকে এক হাজারের বেশি গোলা ছুড়ি। এখন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখন আমাদের জবাব হবে কৌশলগত, সমানুপাতে। এর মানে আমাদের চারটি চৌকি আক্রান্ত হলে পাকিস্তানেরও চারটি চৌকিতেই হামলা করে বদলা নেওয়া হবে।’
ভারতের পক্ষে এই কৌশল অবলম্বনের কথা বলা হলেও অবশ্য গত সপ্তাহে কাশ্মীরের বারামুল্লা সীমান্তে পাকিস্তানি সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে দুজন বিএসএফ সদস্য নিহত হলে পাল্টা হামলায় নিহত হয় পাকিস্তানের চার সেনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম সীমান্তে গত আগস্টে স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে। এতে বলা হয়, দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে কখনো টানা ১৫ দিন এমনকি এক মাস গোলাগুলি চলে।
রাশিয়ায় মোদি–নওয়াজ বৈঠক: রাশিয়ায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আলোচিত বৈঠক নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে। বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর তার একটা প্রমাণ হবে পশ্চিম সীমান্তের পরিস্থিতি ভারতের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলতি বছর হয়তো দুই দেশের সীমান্তে অস্ত্রের গর্জন তুলনামূলকভাবে কম শোনা যাবে। কারণ ভারত ‘অত্যন্ত সতর্ক কৌশল’ অবলম্বন করছে। পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে কেবল সেই অনুপাতেই জবাব দিচ্ছে। অথচ গত বছর পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ১০ গুণ শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। এর ফলে সীমান্তে ভারতের পক্ষে ১০ জন ও পাকিস্তানের পক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এটা ছিল পাকিস্তানকে দেওয়া কৌশলগত জবাব। পাকিস্তানের কাছে ভারত এই বার্তা পাঠাতে চেয়েছিল যে কোনো আগ্রাসন বরদাশত করা হবে না। আক্রান্ত হলে ভারত দাঁতভাঙা জবাব দেবে। এর মূল লক্ষ্য ছিল, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে আনা।
বিএসএফের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত বছর যখন আমাদের চারটি চৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সীমান্ত বাহিনী, আমরা জবাবে ওদের অন্তত ৫০টি চৌকিতে আক্রমণ করি। প্রতি রাতে কামান থেকে এক হাজারের বেশি গোলা ছুড়ি। এখন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখন আমাদের জবাব হবে কৌশলগত, সমানুপাতে। এর মানে আমাদের চারটি চৌকি আক্রান্ত হলে পাকিস্তানেরও চারটি চৌকিতেই হামলা করে বদলা নেওয়া হবে।’
ভারতের পক্ষে এই কৌশল অবলম্বনের কথা বলা হলেও অবশ্য গত সপ্তাহে কাশ্মীরের বারামুল্লা সীমান্তে পাকিস্তানি সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে দুজন বিএসএফ সদস্য নিহত হলে পাল্টা হামলায় নিহত হয় পাকিস্তানের চার সেনা।
No comments