সোনাগাজীতে সাংসদ-আ.লীগ দ্বন্দ্বের কারণে ফেরত গেল টিআর-কাবিটা প্রকল্পের টাকা ও গম
ফেনীর সোনাগাজী থেকে ৬৯টি টিআর ও কাবিটার চারটি প্রকল্পের ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪ টাকা এবং বিশেষ বরাদ্দের ১৫০ মেট্রিক টন গম ফেরত গেছে। অভিযোগ উঠেছে, ফেনী-৩ আসনের সাংসদ রহিম উল্যাহর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্বের কারণে টাকা ও গম ফেরত গেছে।
তবে টাকা ও গম ফেরত যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন সাংসদ রহিম উল্যাহ। কিন্তু এ দায় নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা।
সোনাগাজী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বিদায়ী অর্থবছরে (২০১৪-১৫ সাল) সোনাগাজীতে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (টেস্ট রিলিফ-টিআর) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৬টি প্রকল্পের জন্য ৩৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পর্যায়ে ১৪টি প্রকল্পের জন্য ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৪ টাকা এবং কাজের বিনিময়ে টাকার (কাবিটা) চারটি প্রকল্পের জন্য ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের মোট ৭০টি টিআর প্রকল্পের মধ্যে কেবল সোনাগাজী মডেল থানা মসজিদ সংস্কার প্রকল্পের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়। বাকি ৬৯টি প্রকল্পের ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৪ টাকা এবং কাবিটার চারটি প্রকল্পের ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা অর্থবছরের শেষ দিনও (গত ৩০ জুন) উত্তোলন করা যায়নি। এ ছাড়া সাংসদের বিশেষ বরাদ্দের ৫৮টি প্রকল্পের ১৬০ মেট্রিক টন গমের মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রকল্পের বিপরীতে ১০ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি ৫৩টি প্রকল্পের ১৫০ মেট্রিক টন গম ফেরত গেছে।
জানতে চাইলে সাংসদ রহিম উল্যাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র জমা দিতে উপজেলা পরিষদ ভবনে যাওয়ার পথে অনেককে বাধা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন সাংসদ রহিম উল্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। আর সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ সাংসদ করেছেন, তা সত্য নয়।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকটি প্রকল্পের (প্রতি প্রকল্পের জন্য একজন সভাপতি থাকে) সভাপতি বলেন, প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে কাগজপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তাঁদের মারধর করে। তারপরও তাঁরা নানা কায়দায় কাগজপত্র জমা দিলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাফিলতির কারণে টাকা ও গম তোলা যায়নি।
গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফন নাহার বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র যথাসময়ে জমা দেওয়া হয়নি। যেগুলো জমা হয়েছিল, তারও কাগজপত্র সঠিক ছিল না। এ কারণে টাকা ও গম ছাড় করা সম্ভব হয়নি।
তবে টাকা ও গম ফেরত যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন সাংসদ রহিম উল্যাহ। কিন্তু এ দায় নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা।
সোনাগাজী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বিদায়ী অর্থবছরে (২০১৪-১৫ সাল) সোনাগাজীতে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (টেস্ট রিলিফ-টিআর) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৬টি প্রকল্পের জন্য ৩৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পর্যায়ে ১৪টি প্রকল্পের জন্য ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৪ টাকা এবং কাজের বিনিময়ে টাকার (কাবিটা) চারটি প্রকল্পের জন্য ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের মোট ৭০টি টিআর প্রকল্পের মধ্যে কেবল সোনাগাজী মডেল থানা মসজিদ সংস্কার প্রকল্পের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়। বাকি ৬৯টি প্রকল্পের ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৪ টাকা এবং কাবিটার চারটি প্রকল্পের ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা অর্থবছরের শেষ দিনও (গত ৩০ জুন) উত্তোলন করা যায়নি। এ ছাড়া সাংসদের বিশেষ বরাদ্দের ৫৮টি প্রকল্পের ১৬০ মেট্রিক টন গমের মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রকল্পের বিপরীতে ১০ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি ৫৩টি প্রকল্পের ১৫০ মেট্রিক টন গম ফেরত গেছে।
জানতে চাইলে সাংসদ রহিম উল্যাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র জমা দিতে উপজেলা পরিষদ ভবনে যাওয়ার পথে অনেককে বাধা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন সাংসদ রহিম উল্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। আর সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ সাংসদ করেছেন, তা সত্য নয়।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকটি প্রকল্পের (প্রতি প্রকল্পের জন্য একজন সভাপতি থাকে) সভাপতি বলেন, প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে কাগজপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তাঁদের মারধর করে। তারপরও তাঁরা নানা কায়দায় কাগজপত্র জমা দিলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাফিলতির কারণে টাকা ও গম তোলা যায়নি।
গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফন নাহার বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র যথাসময়ে জমা দেওয়া হয়নি। যেগুলো জমা হয়েছিল, তারও কাগজপত্র সঠিক ছিল না। এ কারণে টাকা ও গম ছাড় করা সম্ভব হয়নি।
No comments