দক্ষিণ আফ্রিকাও আর বাধা নয়
সৌম্য–মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ জুটিতে স্মরণীয় এক জয় পেল বাংলাদেশ। ছবি: শামসুল হক |
৩ হাজার ১৮ দিনের অপেক্ষা! ৮ বছর, ৩
মাস, ৫ দিন! গায়ানার পর মিরপুর! অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বহুল
আকাঙ্ক্ষিত জয়। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই বহুল আলোচিত ম্যাচের পর আবারও
প্রোটিয়াদের হারাল বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ১৬০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপ থেকেই বিস্ময় উপহার দিয়ে চলা মাশরাফির দল হঠাৎই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার! চারদিকে সমালোচনা আর সংশয়। সবকিছুর পাল্টা জবাব দিল বাংলাদেশ। প্রথমে প্রোটিয়াদের ১৬২ রানে অলআউট করে প্রথম ম্যাচের অর্ধেকটা জবাব দেওয়া হলো। এরপর ১৩৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়। ৮ উইকেটে জেতার পাল্টা জবাবটা সমানে সমানে দেওয়া যেত। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।
অবশ্য আউট হওয়ার আগে যা কাজ করার করে গেছেন। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার ধাক্কা বাংলাদেশ সামলে উঠেছে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ১৩৫ রানের রেকর্ড জুটিতে। ফিফটি করেই আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৮৮ রানে। ছক্কা মেরে তিনিই জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন দলকে। এই জয়ে শুধু সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াল না, বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফেলল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণও।
এর আগে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দলকে মামুলি এক দল বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ-নাসিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১০০ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। গত দশ বছরে এর আগে তাদের স্কোরবোর্ডের এমন ছন্নছাড়া দশা হয়েছিল ১৩ বার। ১০০ কিংবা এর নিচে প্রথম ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার সেই তালিকায় একবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশও। ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানার সেই বিখ্যাত ম্যাচে। সেবার ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছিল ১৮৪ রানে। আজ গুটিয়ে গেল আরও ২২ রান কম করেই। প্রথমে ব্যাট করে এর আগে এর চেয়ে কম রানে মাত্র ১১ বার অলআউট হয়েছিল তারা।
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। ৭৯ বলে ১৩টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৮৮। ৫৮ রানই এসেছে বাউন্ডারিতে। অসাধারণ সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৪ বলে ৫০, ছয়টি চার।
সিরিজে এখন ১-১। লড়াইয়েও সমতা। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে তাদের ‘লাকি ভেন্যু’ চট্টগ্রামে। আগামী বুধবার জিতলে পাকিস্তান, ভারতের পর আরেক পরাশক্তিকে সিরিজে হারাবে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ১৬০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপ থেকেই বিস্ময় উপহার দিয়ে চলা মাশরাফির দল হঠাৎই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার! চারদিকে সমালোচনা আর সংশয়। সবকিছুর পাল্টা জবাব দিল বাংলাদেশ। প্রথমে প্রোটিয়াদের ১৬২ রানে অলআউট করে প্রথম ম্যাচের অর্ধেকটা জবাব দেওয়া হলো। এরপর ১৩৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়। ৮ উইকেটে জেতার পাল্টা জবাবটা সমানে সমানে দেওয়া যেত। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।
অবশ্য আউট হওয়ার আগে যা কাজ করার করে গেছেন। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার ধাক্কা বাংলাদেশ সামলে উঠেছে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ১৩৫ রানের রেকর্ড জুটিতে। ফিফটি করেই আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৮৮ রানে। ছক্কা মেরে তিনিই জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন দলকে। এই জয়ে শুধু সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াল না, বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফেলল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণও।
এর আগে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দলকে মামুলি এক দল বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ-নাসিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১০০ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। গত দশ বছরে এর আগে তাদের স্কোরবোর্ডের এমন ছন্নছাড়া দশা হয়েছিল ১৩ বার। ১০০ কিংবা এর নিচে প্রথম ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার সেই তালিকায় একবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশও। ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানার সেই বিখ্যাত ম্যাচে। সেবার ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছিল ১৮৪ রানে। আজ গুটিয়ে গেল আরও ২২ রান কম করেই। প্রথমে ব্যাট করে এর আগে এর চেয়ে কম রানে মাত্র ১১ বার অলআউট হয়েছিল তারা।
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। ৭৯ বলে ১৩টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৮৮। ৫৮ রানই এসেছে বাউন্ডারিতে। অসাধারণ সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৪ বলে ৫০, ছয়টি চার।
সিরিজে এখন ১-১। লড়াইয়েও সমতা। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে তাদের ‘লাকি ভেন্যু’ চট্টগ্রামে। আগামী বুধবার জিতলে পাকিস্তান, ভারতের পর আরেক পরাশক্তিকে সিরিজে হারাবে বাংলাদেশ।
No comments