ব্লগার অভিজিৎ হত্যা: পুলিশ বা সরকারের কেউ যোগাযোগ করছে না: রাফিদা
অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা |
লেখক
ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে এফবিআইয়ের মাধ্যমে তাঁর
স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার সঙ্গে ডিবি পুলিশ যোগাযোগ রাখার দাবি করলেও
রাফিদা তা নাকচ করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ সরকার, প্রশাসন অথবা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস কেউই সরাসরি বা এফবিআই এর মাধ্যমে
তার সাথে যোগাযোগ করেনি।’
রাফিদা আহমেদের পক্ষে গত বৃহস্পতিবার মুক্তমনা ব্লগ থেকে পাঠানো প্রতিবাদ বার্তায় এ রকম দাবি করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারও মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) মাধ্যমে তাঁরা রাফিদার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
ডিবি পুলিশের দাবির বিষয়ে জানতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গত সোমবার রাফিদার কাছে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়। এর ফিরতি মেইলে রাফিদার পক্ষে মুক্তমনা ব্লগ ওই প্রতিবাদ বার্তা পাঠায়। প্রতিবাদ বার্তাটি বৃহস্পতিবার মুক্তমনা ব্লগেও প্রকাশিত হয়।
নিহত অভিজিৎ রায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। অভিজিৎকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রাফিদা আহমেদকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই দম্পতি সে সময় একুশের বইমেলা থেকে ফিরছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। প্রতিবাদ বার্তায় বলা হয়েছে, রাফিদার সঙ্গে শুধু এফবিআই নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
‘প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক ওই বার্তায় আরও বলা হয়, কয়েক দিন ধরে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তবিষয়ক কয়েকটি সংবাদ তাঁর নজরে এসেছে। তবে কোন গণমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা বার্তায় উল্লেখ করা হয়নি।
বার্তাটিতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পর চার দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকার, পুলিশ বা দূতাবাসের কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বা এফবিআইর পক্ষ থেকে তাঁকে কোনো ছবিও পাঠানো হয়নি।
৬ জুলাই ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথমআলোকে বলেছিলেন, রাফিদার সঙ্গে এফবিআইয়ের মাধ্যমে তাঁদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ৭ জুলাই ‘সাতজনকে চিহ্নিত করেছে ডিবি’ শিরোনামে প্রথম আলোরএকটি সংবাদে মনিরুলের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবারও মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এফবিআইয়ের সঙ্গে ডিবির নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ডিবির কোনো কিছু জানার থাকলে তা এফবিআইকে জানানো হয়। তারাই গিয়ে রাফিদার সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার ডিবিকে জানায়। সে ক্ষেত্রে এফবিআই যে ডিবির কাছ থেকে জিজ্ঞাস্য পেয়ে রাফিদার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তা রাফিদার জানা না-ও থাকতে পারে। এখানে ভুল বোঝাবুঝির একটা সুযোগ রয়ে গেছে। তবে এটা সত্য, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ডিবির সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
মুক্তমনার প্রতিবাদ বার্তায় আরও বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে ‘অভিজিৎ রায়ের খুনিদের তথ্য দিয়েছেন রাফিদার বন্ধু’ বা ‘খুনিদের শনাক্ত করেছেন রাফিদা’—এ রকম তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা পুরোটাই মিথ্যে।
প্রথম আলোতে এ ধরনের কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি।
মুক্তমনার প্রতিবাদ বার্তার বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে কখনোই এ রকম কোনো তথ্য কাউকে দেওয়া হয়নি। কোনো কোনো গণমাধ্যম আগ বাড়িয়ে এ ধরনের তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এদিকে ডিবির কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবারও দাবি করেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজন সন্দেহভাজন তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে এদের চিহ্নিত করা হয়। এদের ছবি এখনো রাফিদাকে দেখানো হয়নি। তবে রাফিদা যখন বাংলাদেশে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন তাঁকে শুধু একটি ফুটেজ দেখানো হয়েছিল, সেখান থেকে তিনি কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি।
রাফিদা আহমেদের পক্ষে গত বৃহস্পতিবার মুক্তমনা ব্লগ থেকে পাঠানো প্রতিবাদ বার্তায় এ রকম দাবি করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারও মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) মাধ্যমে তাঁরা রাফিদার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
ডিবি পুলিশের দাবির বিষয়ে জানতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গত সোমবার রাফিদার কাছে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়। এর ফিরতি মেইলে রাফিদার পক্ষে মুক্তমনা ব্লগ ওই প্রতিবাদ বার্তা পাঠায়। প্রতিবাদ বার্তাটি বৃহস্পতিবার মুক্তমনা ব্লগেও প্রকাশিত হয়।
নিহত অভিজিৎ রায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। অভিজিৎকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রাফিদা আহমেদকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই দম্পতি সে সময় একুশের বইমেলা থেকে ফিরছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। প্রতিবাদ বার্তায় বলা হয়েছে, রাফিদার সঙ্গে শুধু এফবিআই নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
‘প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক ওই বার্তায় আরও বলা হয়, কয়েক দিন ধরে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তবিষয়ক কয়েকটি সংবাদ তাঁর নজরে এসেছে। তবে কোন গণমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা বার্তায় উল্লেখ করা হয়নি।
বার্তাটিতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পর চার দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকার, পুলিশ বা দূতাবাসের কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বা এফবিআইর পক্ষ থেকে তাঁকে কোনো ছবিও পাঠানো হয়নি।
৬ জুলাই ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথমআলোকে বলেছিলেন, রাফিদার সঙ্গে এফবিআইয়ের মাধ্যমে তাঁদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ৭ জুলাই ‘সাতজনকে চিহ্নিত করেছে ডিবি’ শিরোনামে প্রথম আলোরএকটি সংবাদে মনিরুলের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবারও মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এফবিআইয়ের সঙ্গে ডিবির নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ডিবির কোনো কিছু জানার থাকলে তা এফবিআইকে জানানো হয়। তারাই গিয়ে রাফিদার সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার ডিবিকে জানায়। সে ক্ষেত্রে এফবিআই যে ডিবির কাছ থেকে জিজ্ঞাস্য পেয়ে রাফিদার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তা রাফিদার জানা না-ও থাকতে পারে। এখানে ভুল বোঝাবুঝির একটা সুযোগ রয়ে গেছে। তবে এটা সত্য, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ডিবির সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
মুক্তমনার প্রতিবাদ বার্তায় আরও বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে ‘অভিজিৎ রায়ের খুনিদের তথ্য দিয়েছেন রাফিদার বন্ধু’ বা ‘খুনিদের শনাক্ত করেছেন রাফিদা’—এ রকম তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা পুরোটাই মিথ্যে।
প্রথম আলোতে এ ধরনের কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি।
মুক্তমনার প্রতিবাদ বার্তার বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে কখনোই এ রকম কোনো তথ্য কাউকে দেওয়া হয়নি। কোনো কোনো গণমাধ্যম আগ বাড়িয়ে এ ধরনের তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এদিকে ডিবির কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবারও দাবি করেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজন সন্দেহভাজন তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে এদের চিহ্নিত করা হয়। এদের ছবি এখনো রাফিদাকে দেখানো হয়নি। তবে রাফিদা যখন বাংলাদেশে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন তাঁকে শুধু একটি ফুটেজ দেখানো হয়েছিল, সেখান থেকে তিনি কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি।
No comments