মোশাররফকে সহযোগিতার আশ্বাস আশরাফের
দপ্তরবিহীন
মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেলেন স্থানীয়
সরকার, পল্লি উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পাওয়া
মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সচিবালয়ে নতুন দপ্তরে বসার আগে আজ
রোববার সকালে সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে তাঁর বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সৈয়দ আশরাফের ২১ বেইলি রোডের বাসায় যান। সেখান থেকে বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি বের হয়ে যান।
এ সময় সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, ’এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। যেহেতু আমরা একই দলের এবং একই পার্লামেন্টের সদস্য, সুতরাং নতুন মন্ত্রীর প্রতি আমার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।’ তবে নতুন এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।
গত ৯ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয় এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বেও থাকছেন।
৭ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুপস্থিত থাকায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠে। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতারে অংশ নেওয়ার সময় তিনি বিষয়টিকে গুজব বলে অভিহিত করেন। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তারা এমন কোনো সংকেত পায়নি।
সেই দিন একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য আটটি প্রকল্প তালিকায় প্রথমেই ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরপরই প্রথম প্রকল্প হিসেবে এ প্রকল্প পাসের জন্য ওঠানো হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী প্রকল্পটির বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তখন বলেন, ছয় হাজার কোটি টাকার এত বড় প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন, একজনও আসেননি। তাই এ প্রকল্প একনেক সভা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। তাঁদের মতামত নিয়ে প্রকল্পটি পাস করা দরকার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, মনে করেন আমিই মন্ত্রী। প্রকল্পটা প্রত্যাহার করবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঠিক আছে, উনি যখন মিটিংয়ে আসেন না, আমি উনাকে সরিয়ে (চেঞ্জ করে) দিচ্ছি। এখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন, আজকেই চেঞ্জ করতে বলব।’ এরপর একনেক সভার নিয়মিত কার্যক্রম চলতে থাকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ে নিষ্ক্রিয়তার জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার কথা আলোচনায় থাকলেও কার্যত দীর্ঘদিন ধরেই দলের একটা অংশ তাঁকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে এখন আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা থমথমে পরিস্থিতি থাকায় কেউ উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় রাজনীতিতে তাঁর থাকা না-থাকা নিয়েও দল এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নানা আলোচনা আছে। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ঢাকাস্থ হোসেনপুর সমিতির ইফতার মাহফিলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি লাভের জন্য রাজনীতি করি না। আমার পিতা সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। নেতার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এটাই আমার রক্ত।’ হোসেনপুরবাসীর উদ্দেশে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী আশরাফ আরও বলেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করেননি। মৃত্যুকে বরণ করেছেন। আমি মন্ত্রী হই বা না হই, রাজনীতি করি বা না করি, সব সময় হোসেনপুরবাসীর সঙ্গে থাকব।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সৈয়দ আশরাফের ২১ বেইলি রোডের বাসায় যান। সেখান থেকে বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি বের হয়ে যান।
এ সময় সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, ’এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। যেহেতু আমরা একই দলের এবং একই পার্লামেন্টের সদস্য, সুতরাং নতুন মন্ত্রীর প্রতি আমার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।’ তবে নতুন এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।
গত ৯ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয় এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বেও থাকছেন।
৭ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুপস্থিত থাকায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠে। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতারে অংশ নেওয়ার সময় তিনি বিষয়টিকে গুজব বলে অভিহিত করেন। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তারা এমন কোনো সংকেত পায়নি।
সেই দিন একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য আটটি প্রকল্প তালিকায় প্রথমেই ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরপরই প্রথম প্রকল্প হিসেবে এ প্রকল্প পাসের জন্য ওঠানো হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী প্রকল্পটির বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তখন বলেন, ছয় হাজার কোটি টাকার এত বড় প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন, একজনও আসেননি। তাই এ প্রকল্প একনেক সভা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। তাঁদের মতামত নিয়ে প্রকল্পটি পাস করা দরকার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, মনে করেন আমিই মন্ত্রী। প্রকল্পটা প্রত্যাহার করবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঠিক আছে, উনি যখন মিটিংয়ে আসেন না, আমি উনাকে সরিয়ে (চেঞ্জ করে) দিচ্ছি। এখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন, আজকেই চেঞ্জ করতে বলব।’ এরপর একনেক সভার নিয়মিত কার্যক্রম চলতে থাকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ে নিষ্ক্রিয়তার জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার কথা আলোচনায় থাকলেও কার্যত দীর্ঘদিন ধরেই দলের একটা অংশ তাঁকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে এখন আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা থমথমে পরিস্থিতি থাকায় কেউ উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় রাজনীতিতে তাঁর থাকা না-থাকা নিয়েও দল এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নানা আলোচনা আছে। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ঢাকাস্থ হোসেনপুর সমিতির ইফতার মাহফিলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি লাভের জন্য রাজনীতি করি না। আমার পিতা সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। নেতার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এটাই আমার রক্ত।’ হোসেনপুরবাসীর উদ্দেশে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী আশরাফ আরও বলেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করেননি। মৃত্যুকে বরণ করেছেন। আমি মন্ত্রী হই বা না হই, রাজনীতি করি বা না করি, সব সময় হোসেনপুরবাসীর সঙ্গে থাকব।’
No comments