ফেরি ও লঞ্চঘাট সড়কে অবাধে চলছে রিকশা
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট সড়ক ও পন্টুনের সামনে রিকশা রেখে দাঁড়িয়ে আছেন চালকেরা। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। -প্রথম আলো |
রাজবাড়ীর
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট সড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
অবাধে রিকশা চলাচল করছে। এতে যান চলাচল ও যাত্রীদের চলাফেরায় মারাত্মক
সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা সব ফেরি দৌলতদিয়ার ঘাটে ভেড়ার আগেই স্থানীয় রিকশাচালকেরা ওই ঘাটের সড়কে আড়াআড়ি রিকশা রেখে বসে থাকছেন। ফেরি থেকে যানবাহন নামার আগেই নদী পার হওয়া যাত্রীদের তোলার জন্য তাঁরা ডাকাডাকি করতে থাকেন। একই অবস্থা দেখা যায় দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায়। এ সময় অনেক যাত্রী ক্ষুব্ধ হন। এতে বাধা দেওয়ায় অনেককে রিকশাচালকেরা নাজেহাল করেন। আবার ফেরি থেকে যানবাহন নেমেও রিকশা না সরিয়ে ফেলায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে।
ফেরিঘাট এলাকার রিকশাচালক আসমত সরদার, আলমাস, সবুজসহ কয়েকজন বলেন, সামনে ঈদ। অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। বাড়তি আয়ের আসায় ফেরিঘাটে রিকশাচালকেরা যাত্রী ধরছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফেরিঘাট সড়ক বা পন্টুনের সামনে এলোমেলোভাবে রিকশা রাখার বিষয়ে তাঁরা বলেন, এখন ঈদের সময়। তাই সব ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মানা যাচ্ছে না। তবে গাড়ি বা যাত্রী চলাচলে রিকশাচালকেরা তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করছেন না বলে তাঁরা দাবি করেন। লঞ্চঘাট সড়কে আটকে থাকা কয়েকজন রিকশাচালকও একই ধরনের কথা বলেন।
সম্প্রতি রওশন আরা ও এনামুল নামের দুজন যাত্রী ফেরি থেকে ঘাটে নামেন। এ সময় কয়েকজন রিকশাচালক তাঁদের মালামাল রিকশায় তুলতে টানাটানি করেন। এতে সেখানে জটলার সৃষ্টি হয়। এনামুল বলেন, ‘রিকশাচালকেরা প্রতিদিনই এমন ঝামেলা করছেন। রিকশার কারণে সড়কে ঠিকমতো চলাফেরাও করা যায় না। সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের তত্ত্বাবধায়ক নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘রিকশাচালকেরা সব সময় সড়ক আটকে যাত্রী আনা-নেওয়া করছেন। এতে লঞ্চের যাত্রীদের ওঠা-নামা ও যান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, রিকশাচালকেরা ফেরিঘাট সড়ক এমনকি পন্টুন এলাকা আটকে যাত্রী পরিবহন করছেন। এতে ফেরি থেকে নেমে আসা যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি ফেরিঘাটের যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এ ঘটনায় নৌপুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘ঈদের সময় যদি ঘাট এলাকায় এ রকম পরিবেশ চলতে থাকে, তাহলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল সরকার বলেন, ‘ফেরিঘাট এলাকায় এমন অবস্থার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা সব ফেরি দৌলতদিয়ার ঘাটে ভেড়ার আগেই স্থানীয় রিকশাচালকেরা ওই ঘাটের সড়কে আড়াআড়ি রিকশা রেখে বসে থাকছেন। ফেরি থেকে যানবাহন নামার আগেই নদী পার হওয়া যাত্রীদের তোলার জন্য তাঁরা ডাকাডাকি করতে থাকেন। একই অবস্থা দেখা যায় দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায়। এ সময় অনেক যাত্রী ক্ষুব্ধ হন। এতে বাধা দেওয়ায় অনেককে রিকশাচালকেরা নাজেহাল করেন। আবার ফেরি থেকে যানবাহন নেমেও রিকশা না সরিয়ে ফেলায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে।
ফেরিঘাট এলাকার রিকশাচালক আসমত সরদার, আলমাস, সবুজসহ কয়েকজন বলেন, সামনে ঈদ। অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। বাড়তি আয়ের আসায় ফেরিঘাটে রিকশাচালকেরা যাত্রী ধরছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফেরিঘাট সড়ক বা পন্টুনের সামনে এলোমেলোভাবে রিকশা রাখার বিষয়ে তাঁরা বলেন, এখন ঈদের সময়। তাই সব ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মানা যাচ্ছে না। তবে গাড়ি বা যাত্রী চলাচলে রিকশাচালকেরা তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করছেন না বলে তাঁরা দাবি করেন। লঞ্চঘাট সড়কে আটকে থাকা কয়েকজন রিকশাচালকও একই ধরনের কথা বলেন।
সম্প্রতি রওশন আরা ও এনামুল নামের দুজন যাত্রী ফেরি থেকে ঘাটে নামেন। এ সময় কয়েকজন রিকশাচালক তাঁদের মালামাল রিকশায় তুলতে টানাটানি করেন। এতে সেখানে জটলার সৃষ্টি হয়। এনামুল বলেন, ‘রিকশাচালকেরা প্রতিদিনই এমন ঝামেলা করছেন। রিকশার কারণে সড়কে ঠিকমতো চলাফেরাও করা যায় না। সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের তত্ত্বাবধায়ক নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘রিকশাচালকেরা সব সময় সড়ক আটকে যাত্রী আনা-নেওয়া করছেন। এতে লঞ্চের যাত্রীদের ওঠা-নামা ও যান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, রিকশাচালকেরা ফেরিঘাট সড়ক এমনকি পন্টুন এলাকা আটকে যাত্রী পরিবহন করছেন। এতে ফেরি থেকে নেমে আসা যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি ফেরিঘাটের যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এ ঘটনায় নৌপুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘ঈদের সময় যদি ঘাট এলাকায় এ রকম পরিবেশ চলতে থাকে, তাহলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল সরকার বলেন, ‘ফেরিঘাট এলাকায় এমন অবস্থার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
No comments