গাজীপুরে নজরকাড়া ডিজাইন আর মডেলের পোশাক by ইকবাল আহমদ সরকার
গাজীপুরের
বিপণিবিতান, শপিং মল, মার্কেট, ফুটপাথ ও হকার্স মার্কেটগুলোতে শেষ
মুহূর্তে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত মার্কেটগুলো
ক্রেতাদের পদচারণায় থাকে মুখরিত। নজরকাড়া ডিজাইন আর মডেলের পোশাক শোভা
পাচ্ছে বিপণিবিতানগুলোতে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী ছাড়াও মহিলা ও শিশুদের ভিড়
সবচেয়ে বেশি। কিরণমালা, সোনাক্ষ্মী, বধূ সাজ, উদাসী মন, ফ্লোরটাচ, পাখি,
পামেলার মতো বিদেশী বাহারি নামের পোশাক গাজীপুরের বিপণিবিতান ও মার্কেটগুলো
দখল করে রখেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বিক্রি ততই বাড়ছে। বিপণিবিতানগুলোর
বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদ বাজারে নারীদের জন্য ভারতীয় বাহারি নামের
আকর্ষণীয় পোশাকের সম্ভার রয়েছে।
রাজধানী লাগোয়া জেলা শহর গাজীপুরে ঈদের বাজার বেশ জমে উঠেছে। এবার রোজার শুরুতেই গাজীপুরের মার্কেটগুলো আকর্ষণীয় ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আর ক্রেতার মন জয় করতে নানা দাম ও মূল্যের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। নগরের প্রাণকেন্দ্রের জয়দেবপুরের এশিয়ান টাওয়ার, আহাম্মদ প্লাজা, সাঈদ ভবন, মাজেদা কমপ্লেক্স, গাজীপুর ম্যানশন, বিউটি প্লাজা, মোশারফ টাওয়ার, টানভীর প্লাজা, চান্দনা চৌরাস্তার অনুপম ম্যানশন, শাপলা ম্যানশন, নাসির সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের বিপণিবিতান ঘুরে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি দোকানেই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। নগরের রাজবাড়ী সড়কের মোশারফ টাওয়ারে অবস্থিত প্রথমা, টাঙ্গাইল শাড়ি মেলা, রঙ পাঞ্জাবি বাজার, গ্রামীণ বুনন, পার্বণ, নবসাজ, পিরানস, ময়ূর ইত্যাদি নামীদামি ব্র্যান্ডের দোকানে গতকাল সকালে দেখা যায় বেশ ভিড়।
বিক্রেতারা জানান, এবার ঈদে কিরণমালা, সোনাক্ষ্মী, বধূ সাজ, উদাসীমন, ফ্লোরটাচ, পামেলা, পাখি ড্রেস, থ্রিপস, লং সুতি কামিজ, পাকিস্তানি লং কামিজ, শাড়ি, কাঞ্চি বরণ, গাদল কাতান, টাঙ্গাইল শাড়ি, পাকিস্তানি শিপন বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া জর্জেটের উপর শাড়ি কাপড়, তাঁতের উপর কাজ করা শাড়ি কাপড় ও সিনথেটিক কাপড়ের চাহিদা যথেষ্ট। পাঞ্জাবি, জিন্স, টি শার্টে দোকানেও নিজের পছন্দেরটি খুঁজছেন তরুণরা। শিশুদের জন্য বিক্রি হচ্ছে সুতির পোশাক। সব মিলিয়ে ঈদের বাজার এখন সরগরম। শহরের নারীদের কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ জয়দেবপুর বাজারের মানিক বস্ত্রালয়। এই বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অন্তু চৌধুরী জানান, রাজধানী ঢাকার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গাজীপুরেও ক্রেতাদের পছন্দের কাপড় সরবরাহ করা হয়েছে। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম। তারপরও ভালই বিক্রি হচ্ছে। এই দোকানে বিয়ের শাড়ি, জামদানি, তাঁতের শাড়ি, কাতান, থান কাপড়, থ্রি পিস, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি কিংবা বিছানার চাদরসহ সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর নিত্যনতুন বাহারি নাম, রঙ আর নকশার কাপড়ের প্রচলন আসে। এবার সেই ধরনের এসেছে।
এশিয়ান টাওয়ারের স্বপ্নপুরীর মালিক শামসুল ইসলাম সুমন জানান, এবার কিরণমালা, সোনাক্ষ্মী, বধূ সাজ, উদাসী মন, ফ্লোরটাচ, পাখি, পামেলার মতো বিদেশী বাহারি নামের পোশাকের কদরতো রয়েছেই। তবে তাদের শোরুমে নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবিসহ নানা ধরনের কাপড় চোপড়ের চাহিদা রয়েছে রোজার প্রথম থেকেই। উৎসব শোরুমের পরিচালক প্রদীপ সাহা জানান, নতুন দোকান হলেও তাদের বেচা-বিক্রি বেশ জমজমাট। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বেশ ভাল। তবে এখনো বেচা-বিক্রি আশানুরূপ নয় বলে জানান, বিআইডিসি সড়কের রিচ ম্যান অ্যান্ড লুবনান নামের শোরুমের কর্ণধার হযরত আলী মোল্লা। তার আশা সামনের কয়েক দিনে তার বিক্রি অনেক গুণ বাড়বে। তবে গত দু’দিন বৈরী অবহাওয়ার কারণে মার্কেগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কম দেখা গেছে।
ভারতীয় বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিয়ালের বদৌলতে দেশীয় পোশাকের প্রতি তরুণী ক্রেতাদের আগ্রহ কম। এ কারণেই সিরিয়াল দেখে শুধুমাত্র নামের আকর্ষণে তরুণীরা ভারতে তৈরি পোশাক বেশি কিনছেন। দেশে তৈরি পোশাক তাদের কাছে সেভাবে আকর্ষণীয় নয়। তাই টাকা বেশি খরচ হলেও বাহারি নামের এসব পোশাক কিনছেন তারা। পিরানসের স্বত্বাধিকারী সাজেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের খাটো ঝুলের কামিজ, লম্বা কামিজ, ছেলেদের বাহারি রঙ আর নকশার ফতুয়া ও পাঞ্জাবি বেশ চলছে। দাম ১২০০ থেকে পাঁচ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে। ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এ অবশ্য ঐ অভিযোগ মানতে চান না দোকানিরা। তাদের মতে বিদেশী পোশাকের মান উন্নত ও ভাল। তাই এসব পোশাকের দাম একটু বেশি। জনপ্রিয় পোশাকগুলো ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার, পাকিস্তানি লং কামিজ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার, কাঞ্চি বরণ ৮ হাজার থেকে ১৪ হাজার, গাদল কাতান ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার, পাকিস্তানি শিপন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মেয়েদের লেহেঙ্গা ১৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার ছেলেদের জন্য ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় রাজশাহী সিল্ক পাঞ্জাবি, ইন্ডিয়ান কিউজি পাঞ্জাবি, খদ্দর পাঞ্জাবি, সুতি পাঞ্জাবি, এনডি সিল্ক পাঞ্জাবি এবং শেরওয়ানি পাওয়া যাচ্ছে। আর ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শার্ট। এছাড়া ২ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় মেয়ে শিশুদের ওয়েস্টার্ন সেট, ছেলে শিশুদের জন্য ১ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় বাবা সেট, বয়েজ গেঞ্জি, থ্রি-কোয়ার্টার, ফোর কোয়ার্টার, কোটি শার্ট এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নামানুসারে মোদি কোর্টেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
ঈদে নারীদের কেনাকাটার বড় অংশজুড়ে থাকে কসমেটিকস। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি, ব্রেসলেট, গয়না, ক্লিপ, লেস, কেনার দিকেই নারীদের আগ্রহ। সেই সঙ্গে তাদের পছন্দ টিউবে ভরা মেহেদি। শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট, সকাল-সন্ধ্যা, রুমঝুম, বিসমিল্লাহ, সাগর বিপণিবিতান, মনি কসমেটিকস প্রভৃতি দোকান নারীদের কসমেটিকসের চাহিদা মেটাচ্ছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটার জন্য পছন্দের মফিজ হকার্স মার্কেট। জয়দেবপুর বাজার-বাসস্ট্যান্ড সড়কের এই মার্কেটে তৈরি কাপড়, শাড়ি, কসমেটিকস, জুতাসহ সব ধরনের সামগ্রীর দোকান আছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো। কম দামে স্বল্প বাজেটে পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। বড় দোকান থেকে বিদেশী পোশাক কেনায় কোন আক্ষেপ নেই বলেও জানিয়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।
গাজীপুরের নিম্ন আয়ের লোকজন ছাড়াও গার্মেন্ট শ্রমিকরা ফুটপাথ ও ছোট ছোট দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ মাঠ, চান্দনা স্কুলমাঠ, চৌরাস্তা হকার্স মার্কেট, কোনাবাড়ি হকার্স মার্কেট শহরের অন্য হকার্স মার্কেটগুলোতে এখন শুধুই উপচেপড়া ভিড়। নিম্ন আয়ের মানুষরা তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পোশাক কিনে নিচ্ছেন এসব দোকান থেকে। তবে ঈদ বাজারের নিরাপত্তা এবং বখাটের উৎপাত রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ। তিনি জানান, নিরাপত্তার পাশাপাশি সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে টহল বৃদ্ধি এবং সাদা পোশাকে নজরদারীসহ ঈদ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বখাটে-ছিনতাইকারী ধরতে সাদা পোশাকে টহলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
রাজধানী লাগোয়া জেলা শহর গাজীপুরে ঈদের বাজার বেশ জমে উঠেছে। এবার রোজার শুরুতেই গাজীপুরের মার্কেটগুলো আকর্ষণীয় ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আর ক্রেতার মন জয় করতে নানা দাম ও মূল্যের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। নগরের প্রাণকেন্দ্রের জয়দেবপুরের এশিয়ান টাওয়ার, আহাম্মদ প্লাজা, সাঈদ ভবন, মাজেদা কমপ্লেক্স, গাজীপুর ম্যানশন, বিউটি প্লাজা, মোশারফ টাওয়ার, টানভীর প্লাজা, চান্দনা চৌরাস্তার অনুপম ম্যানশন, শাপলা ম্যানশন, নাসির সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের বিপণিবিতান ঘুরে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি দোকানেই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। নগরের রাজবাড়ী সড়কের মোশারফ টাওয়ারে অবস্থিত প্রথমা, টাঙ্গাইল শাড়ি মেলা, রঙ পাঞ্জাবি বাজার, গ্রামীণ বুনন, পার্বণ, নবসাজ, পিরানস, ময়ূর ইত্যাদি নামীদামি ব্র্যান্ডের দোকানে গতকাল সকালে দেখা যায় বেশ ভিড়।
বিক্রেতারা জানান, এবার ঈদে কিরণমালা, সোনাক্ষ্মী, বধূ সাজ, উদাসীমন, ফ্লোরটাচ, পামেলা, পাখি ড্রেস, থ্রিপস, লং সুতি কামিজ, পাকিস্তানি লং কামিজ, শাড়ি, কাঞ্চি বরণ, গাদল কাতান, টাঙ্গাইল শাড়ি, পাকিস্তানি শিপন বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া জর্জেটের উপর শাড়ি কাপড়, তাঁতের উপর কাজ করা শাড়ি কাপড় ও সিনথেটিক কাপড়ের চাহিদা যথেষ্ট। পাঞ্জাবি, জিন্স, টি শার্টে দোকানেও নিজের পছন্দেরটি খুঁজছেন তরুণরা। শিশুদের জন্য বিক্রি হচ্ছে সুতির পোশাক। সব মিলিয়ে ঈদের বাজার এখন সরগরম। শহরের নারীদের কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ জয়দেবপুর বাজারের মানিক বস্ত্রালয়। এই বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অন্তু চৌধুরী জানান, রাজধানী ঢাকার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গাজীপুরেও ক্রেতাদের পছন্দের কাপড় সরবরাহ করা হয়েছে। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম। তারপরও ভালই বিক্রি হচ্ছে। এই দোকানে বিয়ের শাড়ি, জামদানি, তাঁতের শাড়ি, কাতান, থান কাপড়, থ্রি পিস, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি কিংবা বিছানার চাদরসহ সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর নিত্যনতুন বাহারি নাম, রঙ আর নকশার কাপড়ের প্রচলন আসে। এবার সেই ধরনের এসেছে।
এশিয়ান টাওয়ারের স্বপ্নপুরীর মালিক শামসুল ইসলাম সুমন জানান, এবার কিরণমালা, সোনাক্ষ্মী, বধূ সাজ, উদাসী মন, ফ্লোরটাচ, পাখি, পামেলার মতো বিদেশী বাহারি নামের পোশাকের কদরতো রয়েছেই। তবে তাদের শোরুমে নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবিসহ নানা ধরনের কাপড় চোপড়ের চাহিদা রয়েছে রোজার প্রথম থেকেই। উৎসব শোরুমের পরিচালক প্রদীপ সাহা জানান, নতুন দোকান হলেও তাদের বেচা-বিক্রি বেশ জমজমাট। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বেশ ভাল। তবে এখনো বেচা-বিক্রি আশানুরূপ নয় বলে জানান, বিআইডিসি সড়কের রিচ ম্যান অ্যান্ড লুবনান নামের শোরুমের কর্ণধার হযরত আলী মোল্লা। তার আশা সামনের কয়েক দিনে তার বিক্রি অনেক গুণ বাড়বে। তবে গত দু’দিন বৈরী অবহাওয়ার কারণে মার্কেগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কম দেখা গেছে।
ভারতীয় বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিয়ালের বদৌলতে দেশীয় পোশাকের প্রতি তরুণী ক্রেতাদের আগ্রহ কম। এ কারণেই সিরিয়াল দেখে শুধুমাত্র নামের আকর্ষণে তরুণীরা ভারতে তৈরি পোশাক বেশি কিনছেন। দেশে তৈরি পোশাক তাদের কাছে সেভাবে আকর্ষণীয় নয়। তাই টাকা বেশি খরচ হলেও বাহারি নামের এসব পোশাক কিনছেন তারা। পিরানসের স্বত্বাধিকারী সাজেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের খাটো ঝুলের কামিজ, লম্বা কামিজ, ছেলেদের বাহারি রঙ আর নকশার ফতুয়া ও পাঞ্জাবি বেশ চলছে। দাম ১২০০ থেকে পাঁচ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে। ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এ অবশ্য ঐ অভিযোগ মানতে চান না দোকানিরা। তাদের মতে বিদেশী পোশাকের মান উন্নত ও ভাল। তাই এসব পোশাকের দাম একটু বেশি। জনপ্রিয় পোশাকগুলো ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার, পাকিস্তানি লং কামিজ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার, কাঞ্চি বরণ ৮ হাজার থেকে ১৪ হাজার, গাদল কাতান ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার, পাকিস্তানি শিপন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মেয়েদের লেহেঙ্গা ১৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার ছেলেদের জন্য ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় রাজশাহী সিল্ক পাঞ্জাবি, ইন্ডিয়ান কিউজি পাঞ্জাবি, খদ্দর পাঞ্জাবি, সুতি পাঞ্জাবি, এনডি সিল্ক পাঞ্জাবি এবং শেরওয়ানি পাওয়া যাচ্ছে। আর ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শার্ট। এছাড়া ২ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় মেয়ে শিশুদের ওয়েস্টার্ন সেট, ছেলে শিশুদের জন্য ১ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় বাবা সেট, বয়েজ গেঞ্জি, থ্রি-কোয়ার্টার, ফোর কোয়ার্টার, কোটি শার্ট এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নামানুসারে মোদি কোর্টেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
ঈদে নারীদের কেনাকাটার বড় অংশজুড়ে থাকে কসমেটিকস। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি, ব্রেসলেট, গয়না, ক্লিপ, লেস, কেনার দিকেই নারীদের আগ্রহ। সেই সঙ্গে তাদের পছন্দ টিউবে ভরা মেহেদি। শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট, সকাল-সন্ধ্যা, রুমঝুম, বিসমিল্লাহ, সাগর বিপণিবিতান, মনি কসমেটিকস প্রভৃতি দোকান নারীদের কসমেটিকসের চাহিদা মেটাচ্ছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটার জন্য পছন্দের মফিজ হকার্স মার্কেট। জয়দেবপুর বাজার-বাসস্ট্যান্ড সড়কের এই মার্কেটে তৈরি কাপড়, শাড়ি, কসমেটিকস, জুতাসহ সব ধরনের সামগ্রীর দোকান আছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো। কম দামে স্বল্প বাজেটে পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। বড় দোকান থেকে বিদেশী পোশাক কেনায় কোন আক্ষেপ নেই বলেও জানিয়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।
গাজীপুরের নিম্ন আয়ের লোকজন ছাড়াও গার্মেন্ট শ্রমিকরা ফুটপাথ ও ছোট ছোট দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ মাঠ, চান্দনা স্কুলমাঠ, চৌরাস্তা হকার্স মার্কেট, কোনাবাড়ি হকার্স মার্কেট শহরের অন্য হকার্স মার্কেটগুলোতে এখন শুধুই উপচেপড়া ভিড়। নিম্ন আয়ের মানুষরা তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পোশাক কিনে নিচ্ছেন এসব দোকান থেকে। তবে ঈদ বাজারের নিরাপত্তা এবং বখাটের উৎপাত রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ। তিনি জানান, নিরাপত্তার পাশাপাশি সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে টহল বৃদ্ধি এবং সাদা পোশাকে নজরদারীসহ ঈদ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বখাটে-ছিনতাইকারী ধরতে সাদা পোশাকে টহলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
No comments