আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে: মিরপুরে হঠাৎ ‘আতঙ্ক’ by তারেক মাহ্মুদ
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ম্যাচের আগের দিনগুলো কি তাহলে এভাবেই যাবে?
প্রথম ওয়ানডের আগের দিনটা জবুথবু থাকল বৃষ্টিতে। মাঠ সারা দিনই থাকল অবগুণ্ঠনের নিচে। বাংলাদেশ দল ইনডোরে গিয়ে কোনোরকমে অনুশীলন করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা দল মিরপুরে যায়ইনি।
আজ সেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। না, এবার আর খেলার আগের দিন ঝড়বৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশ দলকে এলোমেলো করে দিতে সেসবের প্রয়োজনও পড়ল না। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর প্রথম ওয়ানডেতেও মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে হারতে দেখে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানই সপারিষদ কেমন জানি হয়ে গেলেন!
শুরু থেকেই বলা যাক। কথা ছিল দুপুর আড়াইটায় দলের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশের কোনো একজন খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে আসবেন। সেই অনুযায়ী বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষের দিকে আসছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু কাছাকাছি আসার পর কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ডাক শুনে আবার ফিরে গেলেন ড্রেসিংরুমের দিকে।
নাটকের সেই শুরু। প্রথমে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সারলেন কোচ। এরপর সবাই মিলে চলে গেলেন দোতলায় বিসিবির অফিসের বোর্ডরুমে। সভাপতি নাজমুল হাসান নাকি বসতে চেয়েছেন তাদের সঙ্গে। অবশ্য দলের সঙ্গে বসার আগে তিনি কথা বলেছেন টেকনিক্যাল কমিটির চার সদস্যের সঙ্গেও। এসব করে তিনটার অনুশীলন বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত শুরু করেতে পেরেছে বিকেল সোয়া চারটার দিকে। বৃষ্টি হয়নি, তবু প্রথম ওয়ানডের আগের দিনের মতোই এলোমেলো হয়ে গেল দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিনটাও।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই টি-টোয়েন্টি আর এক ওয়ানডের হারে কী এমন মহাপ্রলয় ঘটে গেল, তা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ হয়ে পাকিস্তান ও ভারত সিরিজে বাংলাদেশ দল সাফল্যের ভেলায় ভেসেছে। তার মানে কি এই—দলটা আর কোনো দিনই হারবে না? দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পেশাদার ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের দলের বিপক্ষেও বাংলাদেশ দাপুটে জয়ে জিততে থাকবে, কেউ এমন ভেবে থাকলে সেটা তার ক্রিকেটীয় চিন্তার সমস্যা। ক্রিকেটারদের নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে এই সিরিজে একটা জয় খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের। কিন্তু হাশিম আমলা-জেপি ডুমিনিদের বিপক্ষে যে কাজটা খুব সহজ নয়, সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও তা বোঝেন। আর বোঝেন বলেই মাশরাফি-সাকিবদের ওপর প্রত্যাশার বোঝা তাঁরাও চাপাচ্ছেন না। অথচ বিসিবির অবস্থা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হতে হচ্ছে। ম্যাচের আগের দিন কোচ-খেলোয়াড়দের ডেকে সভা, টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ নেওয়া এবং সবশেষে সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে একাদশ নিয়ে নিজেদের ভাবনা জানিয়ে দেওয়া, খেলোয়াড়দের কিছু কিছু ব্যাপারে ‘সতর্ক’ করার তথ্য প্রকাশ করা—এসব যে উল্টো দলটাকে চাপেই ফেলে দিচ্ছে, সেটা কি বুঝতে পারছেন তাঁরা?
গত তিনটি হারে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন কোনো খাদে পড়ে যায়নি যে অনুশীলন বিলম্বিত করে জরুরি সভায় বসতে হবে। যে টেকনিক্যাল কমিটির এত দিন কেউ খোঁজই নেয়নি, হঠাৎ তাদের ডেকে হারের ময়নাতদন্ত আর পরের ম্যাচের রূপরেখা নিতে হবে। এমনকি আজকের ম্যাচের একাদশ নির্বাচনে পর্যন্ত নাক গলানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। সাত-আট মাস ধরে যে কোচ-খেলোয়াড়-নির্বাচকেরা মিলে একটার পর একটা সাফল্যের পাপড়ি যোগ করলেন, হঠাৎ তাঁদের ওপর থেকে সব আস্থা উধাও! কেন?
বিসিবি কর্মকর্তাদের যা অবস্থা, ভবিষ্যতে কোচ-খেলোয়াড়দের সঙ্গে সভাগুলো হয়তো বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থাও করা হবে। তবে কাল থেকেই সেটি শুরু হয়নি বলে আপাতত বিসিবি কর্মকর্তা, টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য আর খেলোয়াড়দের কথার ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। খেলোয়াড়েরা অবশ্য এ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’। সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেনই যা একটু কথা বলেছেন। সেটাও ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো। ‘সভাপতি সাহেব আমাদের সব সময় সাহস দেন’, ‘খারাপ খেললে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে। তবে উনি আমাদের সে রকম কিছু বলেননি’ ইত্যাদি।
এর চেয়ে বোর্ড সভাপতি নিজেই বেশি জানালেন সভা সম্পর্কে। কী বলেছেন তিনি ক্রিকেটারদের? উত্তরটা তাঁর মুখ থেকেই শুনুন— ‘আসলে ওদেরকে এই কথাগুলোই বলা...ভয়ের কোনো কারণ নেই। বলেছি, তোমরা ভালোই খেলো, এ মুহূর্তে হয়তো হচ্ছে না। মুশফিককে বললাম, থিতু হওয়ার পর তুমি ওই শটটা আরেকটু পরেও খেললে পারতা। মনে রেখো, তোমার ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। সৌম্য সরকারকে বলেছি, সেট হয়ে গেলে একজন ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব অনেক বেশি থাকে। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
ম্যাচের আগের দিন হঠাৎ এমন একটা সভা ডাকা কতটুকু ঠিক হলো, সেটা সরাসরিই জানতে চাওয়া হলো সভাপতির কাছে। এবার তাঁর ভাষাটা একটু ভিন্ন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ওদের সতর্কও করে দিতে হয়, আমি সেখানটায় সতর্ক করে দিয়েছি। কিছু জায়গায় অলসতা আছে বা অন্যদিকে মনোযোগ সরে যাওয়ার ব্যাপার আছে। ওগুলো আমি নির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছি।’
কোথাও সমস্যা দেখলে ক্রিকেটের প্রধান অভিভাবক হিসেবে বিসিবি সভাপতির অবশ্যই অধিকার আছে সেটা নিয়ে বার্তা দেওয়া। কিন্তু সেই বার্তাটা বোধ হয় অন্যভাবেও দেওয়া যায়। সেটা অবশ্যই সিরিজের মধ্যে একটা ম্যাচের আগের দিন আতঙ্ক তৈরি করে নয়।
আশার কথা, বিসিবির উদ্ভট কর্মকাণ্ডকে মোটেও আমলে নিচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। গত কয়েকটি ম্যাচে খারাপ খেলা ছাড়া নিজেদের মধ্যে আর কোনো সমস্যা দেখছেন না কেউ। সবার বিশ্বাস, এই খারাপ সময়টাও শেষ হয়ে যাবে অচিরেই। তখন আবার সবাই বাংলাদেশকে ‘আমাদের দল’ বলা শুরু করবে।
প্রথম ওয়ানডের আগের দিনটা জবুথবু থাকল বৃষ্টিতে। মাঠ সারা দিনই থাকল অবগুণ্ঠনের নিচে। বাংলাদেশ দল ইনডোরে গিয়ে কোনোরকমে অনুশীলন করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা দল মিরপুরে যায়ইনি।
আজ সেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। না, এবার আর খেলার আগের দিন ঝড়বৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশ দলকে এলোমেলো করে দিতে সেসবের প্রয়োজনও পড়ল না। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর প্রথম ওয়ানডেতেও মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে হারতে দেখে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানই সপারিষদ কেমন জানি হয়ে গেলেন!
শুরু থেকেই বলা যাক। কথা ছিল দুপুর আড়াইটায় দলের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশের কোনো একজন খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে আসবেন। সেই অনুযায়ী বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষের দিকে আসছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু কাছাকাছি আসার পর কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ডাক শুনে আবার ফিরে গেলেন ড্রেসিংরুমের দিকে।
নাটকের সেই শুরু। প্রথমে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সারলেন কোচ। এরপর সবাই মিলে চলে গেলেন দোতলায় বিসিবির অফিসের বোর্ডরুমে। সভাপতি নাজমুল হাসান নাকি বসতে চেয়েছেন তাদের সঙ্গে। অবশ্য দলের সঙ্গে বসার আগে তিনি কথা বলেছেন টেকনিক্যাল কমিটির চার সদস্যের সঙ্গেও। এসব করে তিনটার অনুশীলন বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত শুরু করেতে পেরেছে বিকেল সোয়া চারটার দিকে। বৃষ্টি হয়নি, তবু প্রথম ওয়ানডের আগের দিনের মতোই এলোমেলো হয়ে গেল দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিনটাও।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই টি-টোয়েন্টি আর এক ওয়ানডের হারে কী এমন মহাপ্রলয় ঘটে গেল, তা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ হয়ে পাকিস্তান ও ভারত সিরিজে বাংলাদেশ দল সাফল্যের ভেলায় ভেসেছে। তার মানে কি এই—দলটা আর কোনো দিনই হারবে না? দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পেশাদার ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের দলের বিপক্ষেও বাংলাদেশ দাপুটে জয়ে জিততে থাকবে, কেউ এমন ভেবে থাকলে সেটা তার ক্রিকেটীয় চিন্তার সমস্যা। ক্রিকেটারদের নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে এই সিরিজে একটা জয় খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের। কিন্তু হাশিম আমলা-জেপি ডুমিনিদের বিপক্ষে যে কাজটা খুব সহজ নয়, সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও তা বোঝেন। আর বোঝেন বলেই মাশরাফি-সাকিবদের ওপর প্রত্যাশার বোঝা তাঁরাও চাপাচ্ছেন না। অথচ বিসিবির অবস্থা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হতে হচ্ছে। ম্যাচের আগের দিন কোচ-খেলোয়াড়দের ডেকে সভা, টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ নেওয়া এবং সবশেষে সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে একাদশ নিয়ে নিজেদের ভাবনা জানিয়ে দেওয়া, খেলোয়াড়দের কিছু কিছু ব্যাপারে ‘সতর্ক’ করার তথ্য প্রকাশ করা—এসব যে উল্টো দলটাকে চাপেই ফেলে দিচ্ছে, সেটা কি বুঝতে পারছেন তাঁরা?
গত তিনটি হারে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন কোনো খাদে পড়ে যায়নি যে অনুশীলন বিলম্বিত করে জরুরি সভায় বসতে হবে। যে টেকনিক্যাল কমিটির এত দিন কেউ খোঁজই নেয়নি, হঠাৎ তাদের ডেকে হারের ময়নাতদন্ত আর পরের ম্যাচের রূপরেখা নিতে হবে। এমনকি আজকের ম্যাচের একাদশ নির্বাচনে পর্যন্ত নাক গলানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। সাত-আট মাস ধরে যে কোচ-খেলোয়াড়-নির্বাচকেরা মিলে একটার পর একটা সাফল্যের পাপড়ি যোগ করলেন, হঠাৎ তাঁদের ওপর থেকে সব আস্থা উধাও! কেন?
বিসিবি কর্মকর্তাদের যা অবস্থা, ভবিষ্যতে কোচ-খেলোয়াড়দের সঙ্গে সভাগুলো হয়তো বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থাও করা হবে। তবে কাল থেকেই সেটি শুরু হয়নি বলে আপাতত বিসিবি কর্মকর্তা, টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য আর খেলোয়াড়দের কথার ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। খেলোয়াড়েরা অবশ্য এ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’। সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেনই যা একটু কথা বলেছেন। সেটাও ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো। ‘সভাপতি সাহেব আমাদের সব সময় সাহস দেন’, ‘খারাপ খেললে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে। তবে উনি আমাদের সে রকম কিছু বলেননি’ ইত্যাদি।
এর চেয়ে বোর্ড সভাপতি নিজেই বেশি জানালেন সভা সম্পর্কে। কী বলেছেন তিনি ক্রিকেটারদের? উত্তরটা তাঁর মুখ থেকেই শুনুন— ‘আসলে ওদেরকে এই কথাগুলোই বলা...ভয়ের কোনো কারণ নেই। বলেছি, তোমরা ভালোই খেলো, এ মুহূর্তে হয়তো হচ্ছে না। মুশফিককে বললাম, থিতু হওয়ার পর তুমি ওই শটটা আরেকটু পরেও খেললে পারতা। মনে রেখো, তোমার ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। সৌম্য সরকারকে বলেছি, সেট হয়ে গেলে একজন ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব অনেক বেশি থাকে। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
ম্যাচের আগের দিন হঠাৎ এমন একটা সভা ডাকা কতটুকু ঠিক হলো, সেটা সরাসরিই জানতে চাওয়া হলো সভাপতির কাছে। এবার তাঁর ভাষাটা একটু ভিন্ন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ওদের সতর্কও করে দিতে হয়, আমি সেখানটায় সতর্ক করে দিয়েছি। কিছু জায়গায় অলসতা আছে বা অন্যদিকে মনোযোগ সরে যাওয়ার ব্যাপার আছে। ওগুলো আমি নির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছি।’
কোথাও সমস্যা দেখলে ক্রিকেটের প্রধান অভিভাবক হিসেবে বিসিবি সভাপতির অবশ্যই অধিকার আছে সেটা নিয়ে বার্তা দেওয়া। কিন্তু সেই বার্তাটা বোধ হয় অন্যভাবেও দেওয়া যায়। সেটা অবশ্যই সিরিজের মধ্যে একটা ম্যাচের আগের দিন আতঙ্ক তৈরি করে নয়।
আশার কথা, বিসিবির উদ্ভট কর্মকাণ্ডকে মোটেও আমলে নিচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। গত কয়েকটি ম্যাচে খারাপ খেলা ছাড়া নিজেদের মধ্যে আর কোনো সমস্যা দেখছেন না কেউ। সবার বিশ্বাস, এই খারাপ সময়টাও শেষ হয়ে যাবে অচিরেই। তখন আবার সবাই বাংলাদেশকে ‘আমাদের দল’ বলা শুরু করবে।
No comments