ব্যাংকক সম্মেলন- অভিবাসী সংকট সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার তাগিদ
মানব
পাচার আর অভিবাসী সঙ্কট পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ সঙ্কট
নিরসনে শেকড়ে থাকা কারণগুলো খুঁজে বের করে জরুরিভিত্তিতে সমাধান করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সমস্যায় জড়িত প্রতিটি দেশকে এজন্য ভূমিকা
পালন করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
প্রচেষ্টা। গতকাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মানব পাচার ও অভিবাসী
ইস্যুতে সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রতিনিধিরা এসব
কথা বলেছেন। সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রশ্নে মিয়ানমার ও জাতিসংঘ
প্রতিনিধির মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। জাতিসংঘের সমালোচনার
প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি তিন লিন বলেছেন, শুধু মিয়ানমারের দিকে
আঙ্গুল তুললে চলবে না, এখানে মূল সমস্যা মানব পাচার। অবৈধ অভিবাসন সমস্যায়
আক্রান্ত দেশগুলোসহ মোট ১৭টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।
সমস্যার কেন্দ্রে থাকা ৫টি দেশ- থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া,
মালয়েশিয়া ও মিয়ানমার সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে। থাইল্যান্ড আয়োজিত একদিনের ওই সম্মেলনে
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান)-এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ,
যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিবর্গ অংশ নেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা,
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন
ফর মাইগ্রেশনের কর্মকর্তারাও এতে যোগ দেন। এছাড়া সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র,
জাপান ও সুইজারল্যান্ডের পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তৃতায়
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক পাতিমাপ্রাগোর্ন বলেন, ব্যাপক
সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীর আগমন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং জরুরি ভিত্তিতে ও
সম্মিলিতভাবে এ সঙ্কটের সমাধান বের করা আবশ্যক। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের
প্রতি সুস্পষ্ট ইঙ্গিতে তিনি বলেন, মূল যে কারণসমূহ এ মানুষগুলোকে
দেশত্যাগে বাধ্য করছে, সেগুলোও অবশ্যই সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন,
সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য তিনটি: বর্তমানে সমুদ্রে আটকেপড়া অভিবাসীদের রক্ষা
করা, মানব পাচার প্রতিহত ও বন্ধ করা এবং অনিয়মিত অভিবাসনের পেছনে থাকা মূল
কারণগুলো সমাধা করা।
জাতিসংঘের সমালোচনা ও মিয়ানমারের জবাব
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর-এর সহকারী হাইকমিশনার ভোল্কার টার্ক বলেন, নিজ দেশের মানুষদের প্রতি মিয়ানমারের দায়িত্ব রয়েছে। দেশটিতে রাষ্ট্রহীন মানুষদের (রোহিঙ্গা) নাগরিকত্ব দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রতিনিধি তিন লিন বলেন, ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিকে আরেকটু ভালভাবে অবগত হওয়া প্রয়োজন। মিয়ানমারের প্রতি আঙ্গুল প্রদর্শনে কোন সমস্যার সমাধান হবে না। এর কোন ফল আসবে না। ভোল্কার টার্ক, সম্মেলন চলাকালে একপর্যায়ে সিএনএনকে বলেন, এ সংকটের পেছনের কারণগুলো সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। এসব কারণের মধ্যে কিছু হলো, অর্থনৈতিক অধিকারবঞ্চিত হওয়া, কিছুটা হলো দারিদ্র্যতা। আর কিছু কারণ হলো এসব মানুষের কোন আইনি স্বীকৃতি নেই। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিয়ানমারের আচরণ বদলাতে হবে বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটির এশিয়া পরিচালক ফিল রবার্টসন। তিনি অভিযোগ করেন, মিয়ানমারের যে দমন-পীড়ন নীতির কারণে হাজারও মানুষকে দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতিতে নৌকায় ঠেলে দিয়েছে তার দায় মূলত অস্বীকার করতে চাইছে দেশটি। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার এ ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারে কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় জানে আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে কি ঘটছে। আর এটার মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি
একদিনের ওই সম্মেলনে যোগ দেয়া বেশির ভাগ প্রতিনিধি মন্ত্রী পর্যায়ের নন। কাজেই এ সম্মেলনের কার্যকারিতা ও অর্জন কতটা হবে তা অস্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন পর্যবেক্ষকরা। ফলপ্রসূ কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা। আর এমন একটি ইস্যু নিয়ে এ সম্মেলন যে ইস্যুটি এ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষগুলো বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা করে আসছে। এর মধ্যে, মালয়েশিয়া পৃথক একটি জরুরি বৈঠকে দেশটির আঞ্চলিক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানোয় বিভ্রান্তি বেড়েছে। সম্মেলনের আয়োজক দেশ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যতীত অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতিনিধিদের প্রত্যেকেই মন্ত্রী পর্যায়ের নিচে। সম্মেলনে সবদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি না থাকায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও গতকালের ওই বৈঠককে দেখা হচ্ছে একটি অগ্রগতি হিসেবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক
বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংককের সম্মেলনে যোগ দেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছানো অভিবাসীদের আনুমানিক ৩০ শতাংশ বাংলাদেশী। তিনি বলেন, তাদেরকে বিদেশের মাটিতে চাকরির মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এদের অনেককে ধোঁকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিবাসীদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার জন্য তিনি উপস্থিত কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা মানুষদের নিয়ে কথা বলছি যারা পাচারের শিকার হয়েছে বা সম্ভাব্য শিকার। আমাদের সমবেদনা তাদের প্রাপ্য।
অস্ট্রেলিয়ার ৫০ লাখ ডলার সহায়তা ঘোষণা
গতকাল ব্যাংককে যখন অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে সম্মেলন চলছিল, তখন নতুন করে আরও ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ খবর দিয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এবং অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে মানবিক সহায়তা হিসেবে আমরা আরও অতিরিক্ত ৫০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিচ্ছি। আগের সপ্তাহে মিয়ানমারকে ৬০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণার সঙ্গে এটা যোগ হলো। এতে করে ২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারকে দেয়া অস্ট্রেলিয়ার মোট মানবিক সহায়তা গিয়ে দাঁড়ালো ২ কোটি ডলারে। আঞ্চলিক এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ওদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আইওএম-এর থাইল্যান্ড কার্যালয়ের প্রধান জেফ ল্যাবোভিটজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এক বৈঠকে সমস্যার সমাধান হবে না। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সম্মেলনে অংশ নেয়া রাষ্ট্রগুলো কিভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় এবং কিভাবে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো সমাধা করা যায় তা নিয়ে বাস্তবসম্মত দিক-নির্দেশনা বের করতে সক্ষম হবে। গতকালের সম্মেলনে অংশ নেয়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, ভারত, লাওস, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান।
জাতিসংঘের সমালোচনা ও মিয়ানমারের জবাব
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর-এর সহকারী হাইকমিশনার ভোল্কার টার্ক বলেন, নিজ দেশের মানুষদের প্রতি মিয়ানমারের দায়িত্ব রয়েছে। দেশটিতে রাষ্ট্রহীন মানুষদের (রোহিঙ্গা) নাগরিকত্ব দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রতিনিধি তিন লিন বলেন, ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিকে আরেকটু ভালভাবে অবগত হওয়া প্রয়োজন। মিয়ানমারের প্রতি আঙ্গুল প্রদর্শনে কোন সমস্যার সমাধান হবে না। এর কোন ফল আসবে না। ভোল্কার টার্ক, সম্মেলন চলাকালে একপর্যায়ে সিএনএনকে বলেন, এ সংকটের পেছনের কারণগুলো সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। এসব কারণের মধ্যে কিছু হলো, অর্থনৈতিক অধিকারবঞ্চিত হওয়া, কিছুটা হলো দারিদ্র্যতা। আর কিছু কারণ হলো এসব মানুষের কোন আইনি স্বীকৃতি নেই। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিয়ানমারের আচরণ বদলাতে হবে বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটির এশিয়া পরিচালক ফিল রবার্টসন। তিনি অভিযোগ করেন, মিয়ানমারের যে দমন-পীড়ন নীতির কারণে হাজারও মানুষকে দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতিতে নৌকায় ঠেলে দিয়েছে তার দায় মূলত অস্বীকার করতে চাইছে দেশটি। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার এ ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারে কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় জানে আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে কি ঘটছে। আর এটার মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি
একদিনের ওই সম্মেলনে যোগ দেয়া বেশির ভাগ প্রতিনিধি মন্ত্রী পর্যায়ের নন। কাজেই এ সম্মেলনের কার্যকারিতা ও অর্জন কতটা হবে তা অস্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন পর্যবেক্ষকরা। ফলপ্রসূ কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা। আর এমন একটি ইস্যু নিয়ে এ সম্মেলন যে ইস্যুটি এ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষগুলো বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা করে আসছে। এর মধ্যে, মালয়েশিয়া পৃথক একটি জরুরি বৈঠকে দেশটির আঞ্চলিক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানোয় বিভ্রান্তি বেড়েছে। সম্মেলনের আয়োজক দেশ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যতীত অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতিনিধিদের প্রত্যেকেই মন্ত্রী পর্যায়ের নিচে। সম্মেলনে সবদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি না থাকায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও গতকালের ওই বৈঠককে দেখা হচ্ছে একটি অগ্রগতি হিসেবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক
বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংককের সম্মেলনে যোগ দেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছানো অভিবাসীদের আনুমানিক ৩০ শতাংশ বাংলাদেশী। তিনি বলেন, তাদেরকে বিদেশের মাটিতে চাকরির মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এদের অনেককে ধোঁকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিবাসীদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার জন্য তিনি উপস্থিত কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা মানুষদের নিয়ে কথা বলছি যারা পাচারের শিকার হয়েছে বা সম্ভাব্য শিকার। আমাদের সমবেদনা তাদের প্রাপ্য।
অস্ট্রেলিয়ার ৫০ লাখ ডলার সহায়তা ঘোষণা
গতকাল ব্যাংককে যখন অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে সম্মেলন চলছিল, তখন নতুন করে আরও ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ খবর দিয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এবং অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে মানবিক সহায়তা হিসেবে আমরা আরও অতিরিক্ত ৫০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিচ্ছি। আগের সপ্তাহে মিয়ানমারকে ৬০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণার সঙ্গে এটা যোগ হলো। এতে করে ২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারকে দেয়া অস্ট্রেলিয়ার মোট মানবিক সহায়তা গিয়ে দাঁড়ালো ২ কোটি ডলারে। আঞ্চলিক এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ওদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আইওএম-এর থাইল্যান্ড কার্যালয়ের প্রধান জেফ ল্যাবোভিটজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এক বৈঠকে সমস্যার সমাধান হবে না। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সম্মেলনে অংশ নেয়া রাষ্ট্রগুলো কিভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় এবং কিভাবে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো সমাধা করা যায় তা নিয়ে বাস্তবসম্মত দিক-নির্দেশনা বের করতে সক্ষম হবে। গতকালের সম্মেলনে অংশ নেয়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, ভারত, লাওস, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান।
No comments