দ্বীপ তৈরি অবিলম্বে বন্ধ করুন -চীনকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
দক্ষিণ
চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির মতো কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে চীন ও
অন্যান্য আঞ্চলিক দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার হাওয়াই দ্বীপে এ বিষয়ে বলেন,
চীনের উচিত দ্বীপ নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখে বিবদমান দেশগুলোর সঙ্গে
শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করা। চীন কার্টারের এ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা
করেছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের পার্ল হারবারে এক সামরিক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা চাই এই অঞ্চলের দাবি নিয়ে সংঘাত এবং সামরিক হস্তক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ হোক। সেই সঙ্গে এর সমাধানে একটি গঠনমূলক আলোচনা হওয়া জরুরি।’ তিনি এও বলেন, সাগরের অংশ ভরাট করে দ্বীপ সম্প্রসারণ করে আঞ্চলিক ঐক্য বিনষ্ট করছে বেইজিং। আন্তর্জাতিক আইন মেনে ওয়াশিংটন এ এলাকায় নজরদারি রাখবে। এ জন্য টহল বিমান ও যুদ্ধজাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখা হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনের দ্বীপ সম্প্রসারণ সম্পর্কে আরও বলেন, ‘বেইজিংয়ের এ ধরনের তৎপরতা আঞ্চলিক দেশগুলোকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ করছে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়ার দাবি ক্রমে বাড়ছে। আমরা এই দাবি পূরণ করতে যাচ্ছি।’
কার্টার জোর দিয়ে বলেন, ‘আসছে কয়েক দশক ধরে আমরা এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান নিরাপত্তা শক্তি হিসেবে কাজ করে যাব।’
চীনের প্রতিক্রিয়া: চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইন মেনেই চলছে তাদের দ্বীপ সম্প্রসারণের কাজ। এরপরও এ নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। চীন কী করবে না করবে, এ বিষয়ে নাক গলানোর অধিকার অন্য কারও নেই।
বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ‘দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করছে।’ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বেইজিং আইন মেনে নিজের ভূখণ্ডে ওই দ্বীপ সম্প্রসারণের কাজ করছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করছে। কিছু সুনির্দিষ্ট দেশের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। অথচ ওই দেশগুলো চীনের দ্বীপপুঞ্জ বেদখল করে আছে। এসব বিষয়ে ওয়াশিংটন কিছু বলছে না, বরং তাদের মদদ দিচ্ছে। মুখপাত্র আরও বলেন, চীনের জনগণ নিজেদের বিষয়ে ন্যায়বিচার করতে জানে। বেইজিংয়ের কী করা উচিত, এ কথা বলার অধিকার কারও নেই।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে বেইজিংয়ের কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির ভিডিওচিত্র তোলার জন্য এক সপ্তাহ আগে পার্ল হারবারে পি-৮ বিমান পাঠায় মার্কিন নৌবাহিনী। তখন চীনের নৌবাহিনী মার্কিন বিমানটিকে চলে যাওয়ার জন্য বারবার সতর্ক করে। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনের প্রতি এই আহ্বান জানালেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশের সঙ্গে দুই হাজার একর ভূমি যুক্ত করেছে বেইজিং।
চলমান সংকট সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্টার বলেন, ‘আমরা চাই এর শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। এর অংশ হিসেবে বেইজিংকে অবশ্যই অবিলম্বে দ্বীপ সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন করে ওই এলাকায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি আমরা সমর্থন করি না।’ কার্টার আরও বলেন, এই তৎপরতার মধ্য দিয়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করেছে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা রীতিও অমান্য করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে চীনের। সামরিক গুরুত্ব থাকা ছাড়াও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌবাণিজ্যের পথও।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ‘শাংগ্রি-লা ডায়ালগ’ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন কার্টার। এরপর তিনি ভিয়েতনাম ও ভারত সফর করবেন। তখন তিনি সমুদ্র নিরাপত্তা ও পারস্পরিক নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের পার্ল হারবারে এক সামরিক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা চাই এই অঞ্চলের দাবি নিয়ে সংঘাত এবং সামরিক হস্তক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ হোক। সেই সঙ্গে এর সমাধানে একটি গঠনমূলক আলোচনা হওয়া জরুরি।’ তিনি এও বলেন, সাগরের অংশ ভরাট করে দ্বীপ সম্প্রসারণ করে আঞ্চলিক ঐক্য বিনষ্ট করছে বেইজিং। আন্তর্জাতিক আইন মেনে ওয়াশিংটন এ এলাকায় নজরদারি রাখবে। এ জন্য টহল বিমান ও যুদ্ধজাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখা হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনের দ্বীপ সম্প্রসারণ সম্পর্কে আরও বলেন, ‘বেইজিংয়ের এ ধরনের তৎপরতা আঞ্চলিক দেশগুলোকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ করছে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়ার দাবি ক্রমে বাড়ছে। আমরা এই দাবি পূরণ করতে যাচ্ছি।’
কার্টার জোর দিয়ে বলেন, ‘আসছে কয়েক দশক ধরে আমরা এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান নিরাপত্তা শক্তি হিসেবে কাজ করে যাব।’
চীনের প্রতিক্রিয়া: চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইন মেনেই চলছে তাদের দ্বীপ সম্প্রসারণের কাজ। এরপরও এ নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। চীন কী করবে না করবে, এ বিষয়ে নাক গলানোর অধিকার অন্য কারও নেই।
বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ‘দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করছে।’ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বেইজিং আইন মেনে নিজের ভূখণ্ডে ওই দ্বীপ সম্প্রসারণের কাজ করছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করছে। কিছু সুনির্দিষ্ট দেশের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। অথচ ওই দেশগুলো চীনের দ্বীপপুঞ্জ বেদখল করে আছে। এসব বিষয়ে ওয়াশিংটন কিছু বলছে না, বরং তাদের মদদ দিচ্ছে। মুখপাত্র আরও বলেন, চীনের জনগণ নিজেদের বিষয়ে ন্যায়বিচার করতে জানে। বেইজিংয়ের কী করা উচিত, এ কথা বলার অধিকার কারও নেই।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে বেইজিংয়ের কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির ভিডিওচিত্র তোলার জন্য এক সপ্তাহ আগে পার্ল হারবারে পি-৮ বিমান পাঠায় মার্কিন নৌবাহিনী। তখন চীনের নৌবাহিনী মার্কিন বিমানটিকে চলে যাওয়ার জন্য বারবার সতর্ক করে। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনের প্রতি এই আহ্বান জানালেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশের সঙ্গে দুই হাজার একর ভূমি যুক্ত করেছে বেইজিং।
চলমান সংকট সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্টার বলেন, ‘আমরা চাই এর শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। এর অংশ হিসেবে বেইজিংকে অবশ্যই অবিলম্বে দ্বীপ সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন করে ওই এলাকায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি আমরা সমর্থন করি না।’ কার্টার আরও বলেন, এই তৎপরতার মধ্য দিয়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করেছে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা রীতিও অমান্য করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে চীনের। সামরিক গুরুত্ব থাকা ছাড়াও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌবাণিজ্যের পথও।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ‘শাংগ্রি-লা ডায়ালগ’ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন কার্টার। এরপর তিনি ভিয়েতনাম ও ভারত সফর করবেন। তখন তিনি সমুদ্র নিরাপত্তা ও পারস্পরিক নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
No comments