এই চেহারায় ছাত্রলীগকে দেখতে চাই না: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের |
সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে
বলেছেন, ‘এই চেহারায় ছাত্রলীগকে দেখতে চাই না। এটা শেখ হাসিনার ডিজিটাল
ছাত্রলীগের চেহারা না। এই ছবি-চেহারা পরিবর্তন করতে হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পদপ্রত্যাশী অনেক নেতার নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মঞ্চ থেকে বারবার স্লোগান বন্ধ করার কথা বললেও তাঁরা থামছিলেন না। পরে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, রাজনীতি করতে চাইলে রাজনীতির কিছু নিয়ম-নীতি আছে। দল করতে হলে দলের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বড় নেতা হতে হলে ছোট নেতা থেকেই শৃঙ্খলার শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি শেখার জন্য কিছু দরকার নেই, শুধু বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়। এই আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত যে বিবর্তন তা পড়ে নিজের জীবনকে সুন্দর করো। রাজনীতিকে শেখার জন্য যদি আমাদের জীবিত কারও প্রয়োজন হয়; তিনি স্বয়ং আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কাছ থেকে আমরা রাজনীতির শিক্ষা নেব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, পোস্টারে-ছবিতে এখন অনেক নেতা। বিলবোর্ডে নেতার কোনো শেষ নেই। সিকি-আধুলি নেতা। অসংখ্য নেতা এখন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে নয়াদিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত রাস্তার কোথাও কারও, কোনো রাজনৈতিক নেতার ছবি সংবলিত একটা বিলবোর্ডও দেখিনি। একটা পোস্টার, একটা ব্যানার দেখিনি।’ পড়াশোনা ছাড়া, মেধা ছাড়া ছাত্রনেতার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বিলবোর্ড অপসারণে নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড অপসারণের। এই বিষয়ে সহযোগিতা চাইছি। ঢাকার দুই মেয়র ও আমি সড়ক মন্ত্রী আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। এই বিলবোর্ডের জন্য আমরা আকাশ, আকাশের চাঁদ দেখি না। এই বিলবোর্ড থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। সৌজন্য ব্যানার-পোস্টার সবই আছে, শুধু সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। কাজেই রাজনীতিতে ছাত্রলীগ সৌজন্যবোধ ফিরিয়ে আনবে সেটাই আমি প্রত্যাশা করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বৃহত্তর ঐক্যের জন্য আমরা যে কারও সঙ্গে বসতে রাজি আছি, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ন রেখে। পেট্রলবোমা, ককটেল সন্ত্রাসের মধ্যে গোটা জাতি যখন পুড়ে মরছে তখন সীমান্তচুক্তির কূটনীতি চলছিল। তখন কার সঙ্গে বসব আমরা? তখন কি পেট্রলবোমা বন্ধ করব? আপনারা কি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন? আজকে বলছেন, অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে এ দেশের অনেকের সঙ্গে বসার দরকার আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন সময়ের ব্যাপার। কিছু দিন হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু এখন আর ভারতের কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে যতটুকু এটার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের পার্লামেন্টে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন অনুমোদন করেছে। তেমনি তিস্তা নদীর পানির অনুমোদনও সবার সমর্থনে বাংলাদেশ ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। তাঁর দাবি, ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব চমৎকার অবস্থায় রয়েছে। এই অংশীদারত্ব জনগণের স্বার্থে নতুন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। সব কিছু সময় দিয়ে হয় না।
ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ সানজিদা খানম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিস-উজ-জামান।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পদপ্রত্যাশী অনেক নেতার নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মঞ্চ থেকে বারবার স্লোগান বন্ধ করার কথা বললেও তাঁরা থামছিলেন না। পরে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, রাজনীতি করতে চাইলে রাজনীতির কিছু নিয়ম-নীতি আছে। দল করতে হলে দলের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বড় নেতা হতে হলে ছোট নেতা থেকেই শৃঙ্খলার শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি শেখার জন্য কিছু দরকার নেই, শুধু বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়। এই আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত যে বিবর্তন তা পড়ে নিজের জীবনকে সুন্দর করো। রাজনীতিকে শেখার জন্য যদি আমাদের জীবিত কারও প্রয়োজন হয়; তিনি স্বয়ং আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কাছ থেকে আমরা রাজনীতির শিক্ষা নেব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, পোস্টারে-ছবিতে এখন অনেক নেতা। বিলবোর্ডে নেতার কোনো শেষ নেই। সিকি-আধুলি নেতা। অসংখ্য নেতা এখন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে নয়াদিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত রাস্তার কোথাও কারও, কোনো রাজনৈতিক নেতার ছবি সংবলিত একটা বিলবোর্ডও দেখিনি। একটা পোস্টার, একটা ব্যানার দেখিনি।’ পড়াশোনা ছাড়া, মেধা ছাড়া ছাত্রনেতার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বিলবোর্ড অপসারণে নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড অপসারণের। এই বিষয়ে সহযোগিতা চাইছি। ঢাকার দুই মেয়র ও আমি সড়ক মন্ত্রী আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। এই বিলবোর্ডের জন্য আমরা আকাশ, আকাশের চাঁদ দেখি না। এই বিলবোর্ড থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। সৌজন্য ব্যানার-পোস্টার সবই আছে, শুধু সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। কাজেই রাজনীতিতে ছাত্রলীগ সৌজন্যবোধ ফিরিয়ে আনবে সেটাই আমি প্রত্যাশা করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বৃহত্তর ঐক্যের জন্য আমরা যে কারও সঙ্গে বসতে রাজি আছি, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ন রেখে। পেট্রলবোমা, ককটেল সন্ত্রাসের মধ্যে গোটা জাতি যখন পুড়ে মরছে তখন সীমান্তচুক্তির কূটনীতি চলছিল। তখন কার সঙ্গে বসব আমরা? তখন কি পেট্রলবোমা বন্ধ করব? আপনারা কি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন? আজকে বলছেন, অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে এ দেশের অনেকের সঙ্গে বসার দরকার আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন সময়ের ব্যাপার। কিছু দিন হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু এখন আর ভারতের কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে যতটুকু এটার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের পার্লামেন্টে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন অনুমোদন করেছে। তেমনি তিস্তা নদীর পানির অনুমোদনও সবার সমর্থনে বাংলাদেশ ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। তাঁর দাবি, ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব চমৎকার অবস্থায় রয়েছে। এই অংশীদারত্ব জনগণের স্বার্থে নতুন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। সব কিছু সময় দিয়ে হয় না।
ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ সানজিদা খানম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিস-উজ-জামান।
No comments