বাজেটে করের আওতা বাড়াতে ব্যাপক পরিবর্তন
আসন্ন
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে করের আওতা বাড়াতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে একটি খসড়া
প্রস্তুত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে আগামী ৪ঠা জুনের
বাজেট প্রস্তাবনায় একাধিক দিক নির্দেশনা থাকবে বলে এনবিআর সূত্রে জানা
গেছে। সূত্র জানায়, করহার নয়, আওতা বাড়িয়ে অধিক রাজস্ব আহরণের নির্দেশ
দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আলোকেই অর্থমন্ত্রী সাম্প্রতিক
বিভিন্ন বৈঠকে বলেছেন এবারের বাজেটে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই করের আওতায় আসবে।
এ বিষয়টা সামনে রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। এবার বাজেটের আকার ৩ লাখ
কোটি টাকার বেশি হবে বলে ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী
আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সূত্র জানিয়েছে, কিছু খাতে কর ছাড় থাকলেও বাড়তি করের চাপ সামলাতে বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব থাকছে। বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কিছুটা রেহাই দিতে তাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। বাড়তে পারে ন্যূনতম করের পরিমাণ। বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার কমানো হতে পারে। মোবাইল ফোন সেট আমদানি নিয়ন্ত্রণের ওপর সামান্য কর বাড়তে পারে। ভূমিকম্প প্রতিরোধে যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে পারে। আমদানি পর্যায়ে আরও কিছু পণ্যের সম্পূরক শুল্কহার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কম দামি, বেশি দামি সব ব্র্যান্ডের সিগারেটের ওপর শুল্ক করহার বাড়তে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের মূল বেতন এখন করের আওতায়। আগামী অর্থবছর থেকে তাদের ভাতাও করের আওতায় আসতে পারে। আসন্ন বাজেটে প্রপার্টি ট্যাক্স আরোপ করা হবে না। এ ছাড়া শেয়ারবাজার চাঙা রাখতে কর প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপ থাকছে আসন্ন বাজেটে। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণী করমুক্ত আয়ের সীমা বার্ষিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত দুই অর্থবছরে করমুক্ত সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী বাজেটে এ সীমা ২ লাখ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে। যদিও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দাবি ছিল এ সীমা পৌনে ৩ লাখ টাকা করার। বর্তমানে ন্যূনতম করের পরিমাণ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত সামর্থ্যবান করদাতাদের জন্য বছরে ৩ হাজার টাকা, এর বাইরে জেলা শহরের জন্য ২ হাজার টাকা ও উপজেলার জন্য ১ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ন্যূনতম করের স্তর কমিয়ে একটি করার প্রস্তাব আসছে। এর পরিমাণ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।
সূত্র মতে, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে চাপে আছেন অর্থমন্ত্রী। বাড়তি সম্পদ আহরণে সে জন্য নতুন বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে আয়কর ও স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) পরিধি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তথ্য মতে, বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ। আসছে বাজেটে এ হার ২ শতাংশ কমতে পারে। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সাড়ে ২৭ শতাংশ করহার ২ শতাংশ কমতে পারে। শেয়ারবাজারকে উৎসাহিত করতে কোম্পানির দেয়া লভ্যাংশে কর ছাড়ের সুবিধা দেয়া হতে পারে।
এখন মোবাইল ফোন সেট আমদানিতে কাস্টম ডিউটি, মূল্য সংযোজন কর দিতে হয়। এ পণ্য আমদানিতে বর্তমানে যে পরিমাণ শুল্ক নেয়া হয়, তার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়েছে। ভূমিকম্প নিরোধক যন্ত্রপাতি আমদানিতে বর্তমানে শুল্ক আছে ২ শতাংশ। এ শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হতে পারে। বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতন বাবদ যে টাকা পান, তার ওপর কর দেন। মূল বেতনের বাইরে ভাতা থেকে যে আয় হয় তা করমুক্ত। নতুন বাজেটে মূল বেতনের সঙ্গে ভাতাও করের আওতায় আসতে পারে।
বর্তমানে দেশে হাইব্রিড গাড়ি আমদানি হয় খুবই কম। পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ি আমদানি উৎসাহিত করতে এখানে শুল্ক ছাড় দেয়া হতে পারে। সূত্র জানায়, প্রপার্টি ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব কার্যকর করলে কর আদায়ে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই আসন্ন বাজেটে প্রপার্টি ট্যাক্স আরোপ থেকে বিরত থাকবেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে ২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ হলে আয়করের পাশাপাশি তাকে নির্ধারিত হারে বাড়তি ‘সারচার্জ’ দিতে হয়। সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে এখানে কিছুটা ছাড় দেয়া হতে পারে। সোয়া দুই কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদের জন্য সারচার্জ দিতে হবে না। এর বেশি সম্পদ থাকলে বর্তমানের মতোই ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সারচার্জ দেয়ার প্রস্তাব থাকছে।
সূত্র জানায়, আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক হার কমানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে। আমদানি পর্যায়ে ৩৫০ পণ্যের ওপর গড়ে ৫ থেকে ৮ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক কমতে পারে।
এনবিআর সূত্র জানায়, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমদানি পর্যায়ে ক্রমান্বয়ে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনতে আইএমএফের কাছে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনার ঘোষণা থাকছে।
বাড়ি ও গাড়ির মালিকানা থাকলেও করের আওতার বাইরে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ওপর কর আরোপের কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এটি কার্যকর হলে অনেকে করের আওতায় চলে আসবেন। অন্যদিকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর অফিসগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাড়তি কর আদায় করতে চাইছে সরকার। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎসে করও বাড়তে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, কিছু খাতে কর ছাড় থাকলেও বাড়তি করের চাপ সামলাতে বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব থাকছে। বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কিছুটা রেহাই দিতে তাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। বাড়তে পারে ন্যূনতম করের পরিমাণ। বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার কমানো হতে পারে। মোবাইল ফোন সেট আমদানি নিয়ন্ত্রণের ওপর সামান্য কর বাড়তে পারে। ভূমিকম্প প্রতিরোধে যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে পারে। আমদানি পর্যায়ে আরও কিছু পণ্যের সম্পূরক শুল্কহার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কম দামি, বেশি দামি সব ব্র্যান্ডের সিগারেটের ওপর শুল্ক করহার বাড়তে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের মূল বেতন এখন করের আওতায়। আগামী অর্থবছর থেকে তাদের ভাতাও করের আওতায় আসতে পারে। আসন্ন বাজেটে প্রপার্টি ট্যাক্স আরোপ করা হবে না। এ ছাড়া শেয়ারবাজার চাঙা রাখতে কর প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপ থাকছে আসন্ন বাজেটে। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণী করমুক্ত আয়ের সীমা বার্ষিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত দুই অর্থবছরে করমুক্ত সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী বাজেটে এ সীমা ২ লাখ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে। যদিও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দাবি ছিল এ সীমা পৌনে ৩ লাখ টাকা করার। বর্তমানে ন্যূনতম করের পরিমাণ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত সামর্থ্যবান করদাতাদের জন্য বছরে ৩ হাজার টাকা, এর বাইরে জেলা শহরের জন্য ২ হাজার টাকা ও উপজেলার জন্য ১ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ন্যূনতম করের স্তর কমিয়ে একটি করার প্রস্তাব আসছে। এর পরিমাণ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।
সূত্র মতে, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে চাপে আছেন অর্থমন্ত্রী। বাড়তি সম্পদ আহরণে সে জন্য নতুন বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে আয়কর ও স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) পরিধি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তথ্য মতে, বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ। আসছে বাজেটে এ হার ২ শতাংশ কমতে পারে। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সাড়ে ২৭ শতাংশ করহার ২ শতাংশ কমতে পারে। শেয়ারবাজারকে উৎসাহিত করতে কোম্পানির দেয়া লভ্যাংশে কর ছাড়ের সুবিধা দেয়া হতে পারে।
এখন মোবাইল ফোন সেট আমদানিতে কাস্টম ডিউটি, মূল্য সংযোজন কর দিতে হয়। এ পণ্য আমদানিতে বর্তমানে যে পরিমাণ শুল্ক নেয়া হয়, তার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়েছে। ভূমিকম্প নিরোধক যন্ত্রপাতি আমদানিতে বর্তমানে শুল্ক আছে ২ শতাংশ। এ শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হতে পারে। বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতন বাবদ যে টাকা পান, তার ওপর কর দেন। মূল বেতনের বাইরে ভাতা থেকে যে আয় হয় তা করমুক্ত। নতুন বাজেটে মূল বেতনের সঙ্গে ভাতাও করের আওতায় আসতে পারে।
বর্তমানে দেশে হাইব্রিড গাড়ি আমদানি হয় খুবই কম। পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ি আমদানি উৎসাহিত করতে এখানে শুল্ক ছাড় দেয়া হতে পারে। সূত্র জানায়, প্রপার্টি ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব কার্যকর করলে কর আদায়ে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই আসন্ন বাজেটে প্রপার্টি ট্যাক্স আরোপ থেকে বিরত থাকবেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে ২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ হলে আয়করের পাশাপাশি তাকে নির্ধারিত হারে বাড়তি ‘সারচার্জ’ দিতে হয়। সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে এখানে কিছুটা ছাড় দেয়া হতে পারে। সোয়া দুই কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদের জন্য সারচার্জ দিতে হবে না। এর বেশি সম্পদ থাকলে বর্তমানের মতোই ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সারচার্জ দেয়ার প্রস্তাব থাকছে।
সূত্র জানায়, আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক হার কমানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে। আমদানি পর্যায়ে ৩৫০ পণ্যের ওপর গড়ে ৫ থেকে ৮ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক কমতে পারে।
এনবিআর সূত্র জানায়, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমদানি পর্যায়ে ক্রমান্বয়ে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনতে আইএমএফের কাছে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনার ঘোষণা থাকছে।
বাড়ি ও গাড়ির মালিকানা থাকলেও করের আওতার বাইরে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ওপর কর আরোপের কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এটি কার্যকর হলে অনেকে করের আওতায় চলে আসবেন। অন্যদিকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর অফিসগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাড়তি কর আদায় করতে চাইছে সরকার। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎসে করও বাড়তে যাচ্ছে।
No comments