দীঘিনালার নাগিনী ছড়া গ্রাম- শুধু নেই আর নেই by পলাশ বড়ুয়া
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার নাগিনী ছড়া গ্রামের বাসিন্দারা প্রায় শুকিয়ে যাওয়া এই ছড়ার পানি পান করেন l প্রথম আলো |
দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি
সড়কের সুপারিবাগান এলাকা থেকে আধা কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই ছোট্ট গ্রাম
নাগিনী ছড়া। এক নম্বর মেরুং ইউনিয়নের এই গ্রামটিতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের
৫০টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। কিন্তু এই গ্রামে যাওয়ার কোনো সড়ক নেই।
গ্রামের মানুষের নিত্য যাতায়াত জমির আইল ডিঙিয়ে কিংবা ছড়া পেরিয়ে।
শুষ্ক মৌসুমে আইল আর ছড়া দিয়ে হলেও যাতায়াত করা যায়, কিন্তু বর্ষকালে? ওই সময় একপ্রকার পানিবন্দী থাকেন গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাইলে সাড়া দেয়নি কেউ। তাই তাঁরা আর অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের কাছে যান না, জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন এই কষ্ট।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক না থাকায় পাহাড়ে উৎপাদিত ফসল মাথায় করে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পাড়ি দিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ এই পথ।
কথা হয় কর্ণ বিকাশ ত্রিপুরা নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি মাথায় ধানের বস্তা নিয়ে ছড়ার পার হয়ে গ্রামের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। কর্ণ বিকাশ বলেন, ‘গ্রামে যাওয়ার কোনো সড়ক নেই। তাই প্রতিদিন ছড়া কিংবা জমির আইল দিয়ে এভাবেই হেঁটে যেতে হয়।’
শুধু কি সড়ক? গ্রামে নেই খাবার পানির কোনো ব্যবস্থাও। গ্রামের বাসিন্দা মৃণাল কান্তি ত্রিপুরা, আপন বালা ত্রিপুরা, নিকা ত্রিপুরা ও সরবালা ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের গ্রামে কোনো নলকূপ নেই। শুষ্ক মৌসুমে ছড়ায় কুয়া খুঁড়েই খাবার পানি সংগ্রহ করি, আর বর্ষাকালে ছড়ার পানিই একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি কোনো সড়ক না থাকায় বর্ষকালে একপ্রকার বন্দী থাকি আমরা। বারবার প্রশাসনকে এসব সমস্যার বিষয়ে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
গ্রামবাসী জানান, গ্রাম থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব চার কিলোমিটার, আর উচ্চবিদ্যালয়ের দূরত্ব ছয় কিলোমিটার।
গ্রামের অধিবাসী ও দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জরিতা ত্রিপুরা, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ঊর্মি ত্রিপুরা, হাচিনসনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী টপিময় ত্রিপুরা ও সুধীর মেম্বারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রার্থনা ত্রিপুরা জানায়, বর্ষাকালে ছড়ায় পাহাড়ি ঢল নামে। ছড়ার ওপর কোনো সেতু না থাকায় ওই সময় তারা ছড়া পার হতে পারে না। তাই বর্ষকালে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হতেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘গ্রামে যাওয়ার সড়ক নেই, ছড়ার ওপর সেতুও নেই। তবে গ্রামে নলকূপ বসানোর জন্য কয়েক বার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি। সড়ক ও ছড়ার ওপর সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের কাছে আবেদন জানাব।’
শুষ্ক মৌসুমে আইল আর ছড়া দিয়ে হলেও যাতায়াত করা যায়, কিন্তু বর্ষকালে? ওই সময় একপ্রকার পানিবন্দী থাকেন গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাইলে সাড়া দেয়নি কেউ। তাই তাঁরা আর অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের কাছে যান না, জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন এই কষ্ট।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক না থাকায় পাহাড়ে উৎপাদিত ফসল মাথায় করে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পাড়ি দিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ এই পথ।
কথা হয় কর্ণ বিকাশ ত্রিপুরা নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি মাথায় ধানের বস্তা নিয়ে ছড়ার পার হয়ে গ্রামের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। কর্ণ বিকাশ বলেন, ‘গ্রামে যাওয়ার কোনো সড়ক নেই। তাই প্রতিদিন ছড়া কিংবা জমির আইল দিয়ে এভাবেই হেঁটে যেতে হয়।’
শুধু কি সড়ক? গ্রামে নেই খাবার পানির কোনো ব্যবস্থাও। গ্রামের বাসিন্দা মৃণাল কান্তি ত্রিপুরা, আপন বালা ত্রিপুরা, নিকা ত্রিপুরা ও সরবালা ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের গ্রামে কোনো নলকূপ নেই। শুষ্ক মৌসুমে ছড়ায় কুয়া খুঁড়েই খাবার পানি সংগ্রহ করি, আর বর্ষাকালে ছড়ার পানিই একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি কোনো সড়ক না থাকায় বর্ষকালে একপ্রকার বন্দী থাকি আমরা। বারবার প্রশাসনকে এসব সমস্যার বিষয়ে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
গ্রামবাসী জানান, গ্রাম থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব চার কিলোমিটার, আর উচ্চবিদ্যালয়ের দূরত্ব ছয় কিলোমিটার।
গ্রামের অধিবাসী ও দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জরিতা ত্রিপুরা, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ঊর্মি ত্রিপুরা, হাচিনসনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী টপিময় ত্রিপুরা ও সুধীর মেম্বারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রার্থনা ত্রিপুরা জানায়, বর্ষাকালে ছড়ায় পাহাড়ি ঢল নামে। ছড়ার ওপর কোনো সেতু না থাকায় ওই সময় তারা ছড়া পার হতে পারে না। তাই বর্ষকালে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হতেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘গ্রামে যাওয়ার সড়ক নেই, ছড়ার ওপর সেতুও নেই। তবে গ্রামে নলকূপ বসানোর জন্য কয়েক বার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি। সড়ক ও ছড়ার ওপর সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের কাছে আবেদন জানাব।’
No comments