রাতে নতুন করে ধস
রাজধানীর
সোনারগাঁও ক্রসিং-সংলগ্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবন এনবিএল টুইন টাওয়ারের জন্য
খোঁড়া বিশাল গর্তের পাশে ধসের ঘটনার এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে
উত্তর-পূর্ব দিকের সড়কেও নতুন করে ধস দেখা দিয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
রাত সাড়ে আটটার দিকে অন্তত ২০ ফুটজুড়ে সড়কটির মাটি ধসে বিলবোর্ড, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ে। এ অবস্থায় নির্মাণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) টুইন টাওয়ার লাগোয়া পান্থপথের এক পাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজটের। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গত বুধবার সোনারগাঁও ক্রসিং-সংলগ্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবন এনবিএল টুইন টাওয়ারের জন্য খোঁড়া বিশাল গর্তে পাশের সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর, ভূগর্ভস্থ তলার নিচের অংশবিশেষ এবং পাশের দুটি সড়কের একাংশ ধসে পড়ে।
গতকাল প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, রাত সাড়ে আটটার পর টুইন টাওয়ারের খোঁড়া বিশাল গর্তের উত্তর-পূর্ব দিকের পাইলিং ধসে যায়। এতে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের (একাংশ) পাশের সীমানাপ্রাচীরসহ ২০ ফুট দীর্ঘ জায়গার মাটি ধসে পড়ে। টুইন টাওয়ারের আনসার ক্যাম্প ও শ্রমিকদের থাকার দীর্ঘ টিনের ঘরটিও বিশাল গর্তে পড়ে যায়। পান্থপথ-সংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনটির সীমানা দেয়ালেও ফাটল দেখা দেয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ ও র্যাব সতর্ক অবস্থান নেয়। উৎসুক মানুষের ভিড় ঠেকাতে সোনারগাঁও ক্রসিং-সংলগ্ন সড়কের প্রবেশমুখ আটকে দেওয়া হয়।
টুইন টাওয়ারে কর্তব্যরত আনসার সদস্য রাজু আহমেদ জানান, ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত অফিস কক্ষের মালপত্র ও কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটির উত্তর-পূর্বদিকের পাইলিংয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। তাই এই অংশে ধসের ঘটনা ঘটল। তবে বালু ফেলে হোটেল সুন্দরবন ঝুঁকিমুক্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পাশের দুই সড়ক ঝুঁকিমুক্ত করতে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক বালু দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৫০০ ট্রাক। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বালু দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, হোটেল সুন্দরবন লাগোয়া ধসের স্থলে একের পর এক ট্রাক থেকে বালু ফেলা হচ্ছে। পান্থপথের এক পাশ ও বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের অক্ষত পাশটি বন্ধ থাকায় আশপাশের সড়কগুলোতে দিন-রাত অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে দুপুরে বিশেষজ্ঞরা জানান, এলাকায় নতুন করে বিপর্যয় এড়াতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরবন হোটেল রক্ষায় বালু ফেলা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী ফিরোজ রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫০ ট্রাক বালু ফেলা হয়েছে। সুন্দরবন হোটেল এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।
তবে সুন্দরবন হোটেলের মহাব্যবস্থাপক ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেছেন, হোটেলটি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাঁরা ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন।
গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক। তিনি ভবন নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) তিনি টেলিফোনে বলেন, ‘বৃষ্টি এলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে দায়িত্ব আপনার।’ গত দুই দিনে ধসের স্থানে যথেষ্ট পরিমাণ বালু ফেলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়র ওই কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আমাকে এসএমএস দিয়ে কনফার্ম করেন। সেনাবাহিনীকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলে আপনারা ব্যয়ভার বহন করবেন।’
গত বুধবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক লাগোয়া সুন্দরবন হোটেল এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নির্মাণাধীন টুইন টাওয়ারের মাঝের ১৫ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ধসে পাশের পাইলিংয়ের গর্তে চলে যায়।
মাটি আলগা হয়ে বেসমেন্টের একটি অংশের দেয়াল গর্তে চলে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ছয়তলা হোটেল ভবনটি। ওই গলির সামনের অংশে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কেও ফাটল দেখা দেয়।
প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
মামলা: পাইলিং ধসের ঘটনায় ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গতকাল রাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তা (অথরাইজড কর্মকর্তা, রাজউক) এ জেড এম শফিউল হান্নান কলাবাগান থানায় এ মামলা করেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাত সাড়ে আটটার দিকে অন্তত ২০ ফুটজুড়ে সড়কটির মাটি ধসে বিলবোর্ড, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ে। এ অবস্থায় নির্মাণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) টুইন টাওয়ার লাগোয়া পান্থপথের এক পাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজটের। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গত বুধবার সোনারগাঁও ক্রসিং-সংলগ্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবন এনবিএল টুইন টাওয়ারের জন্য খোঁড়া বিশাল গর্তে পাশের সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর, ভূগর্ভস্থ তলার নিচের অংশবিশেষ এবং পাশের দুটি সড়কের একাংশ ধসে পড়ে।
গতকাল প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, রাত সাড়ে আটটার পর টুইন টাওয়ারের খোঁড়া বিশাল গর্তের উত্তর-পূর্ব দিকের পাইলিং ধসে যায়। এতে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের (একাংশ) পাশের সীমানাপ্রাচীরসহ ২০ ফুট দীর্ঘ জায়গার মাটি ধসে পড়ে। টুইন টাওয়ারের আনসার ক্যাম্প ও শ্রমিকদের থাকার দীর্ঘ টিনের ঘরটিও বিশাল গর্তে পড়ে যায়। পান্থপথ-সংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনটির সীমানা দেয়ালেও ফাটল দেখা দেয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ ও র্যাব সতর্ক অবস্থান নেয়। উৎসুক মানুষের ভিড় ঠেকাতে সোনারগাঁও ক্রসিং-সংলগ্ন সড়কের প্রবেশমুখ আটকে দেওয়া হয়।
টুইন টাওয়ারে কর্তব্যরত আনসার সদস্য রাজু আহমেদ জানান, ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত অফিস কক্ষের মালপত্র ও কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটির উত্তর-পূর্বদিকের পাইলিংয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। তাই এই অংশে ধসের ঘটনা ঘটল। তবে বালু ফেলে হোটেল সুন্দরবন ঝুঁকিমুক্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পাশের দুই সড়ক ঝুঁকিমুক্ত করতে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক বালু দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৫০০ ট্রাক। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বালু দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, হোটেল সুন্দরবন লাগোয়া ধসের স্থলে একের পর এক ট্রাক থেকে বালু ফেলা হচ্ছে। পান্থপথের এক পাশ ও বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের অক্ষত পাশটি বন্ধ থাকায় আশপাশের সড়কগুলোতে দিন-রাত অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে দুপুরে বিশেষজ্ঞরা জানান, এলাকায় নতুন করে বিপর্যয় এড়াতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরবন হোটেল রক্ষায় বালু ফেলা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী ফিরোজ রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫০ ট্রাক বালু ফেলা হয়েছে। সুন্দরবন হোটেল এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।
তবে সুন্দরবন হোটেলের মহাব্যবস্থাপক ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেছেন, হোটেলটি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাঁরা ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন।
গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক। তিনি ভবন নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) তিনি টেলিফোনে বলেন, ‘বৃষ্টি এলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে দায়িত্ব আপনার।’ গত দুই দিনে ধসের স্থানে যথেষ্ট পরিমাণ বালু ফেলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়র ওই কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আমাকে এসএমএস দিয়ে কনফার্ম করেন। সেনাবাহিনীকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলে আপনারা ব্যয়ভার বহন করবেন।’
গত বুধবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক লাগোয়া সুন্দরবন হোটেল এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নির্মাণাধীন টুইন টাওয়ারের মাঝের ১৫ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ধসে পাশের পাইলিংয়ের গর্তে চলে যায়।
মাটি আলগা হয়ে বেসমেন্টের একটি অংশের দেয়াল গর্তে চলে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ছয়তলা হোটেল ভবনটি। ওই গলির সামনের অংশে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কেও ফাটল দেখা দেয়।
প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
মামলা: পাইলিং ধসের ঘটনায় ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গতকাল রাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তা (অথরাইজড কর্মকর্তা, রাজউক) এ জেড এম শফিউল হান্নান কলাবাগান থানায় এ মামলা করেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
No comments