গর্ভবতী নারীর সহায় ব্যাংক, লাল পতাকা
মায়ের ব্যাংক হাতে দাঁড়িয়ে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার কিসমতদাপ গ্রামের লাইলী বেগম। পাশে তাঁর বাড়ির সামনে বাঁশের খুঁটিতে ঝোলানো লাল পতাকা l প্রথম আলো |
পঞ্চগড়ের
আটোয়ারী উপজেলার কিসমতদাপ গ্রামের একটি বাড়ির সামনে বাঁশের খুঁটিতে লাল
পতাকা ঝোলানো। বাড়ির ভেতরে গেলে বেরিয়ে আসেন গর্ভবতী এক নারী। জানালেন
তাঁর নাম লাইলী বেগম (২৫)। স্বামী সুলতান আলী পেশায় রিকশাভ্যানের চালক।
লাল পতাকা ওড়ানো হয়েছে কেন—জানতে চাইলে লাইলী বলেন, আটোয়ারীর সূর্যের হাসি ক্লিনিক এটা লাগিয়েছে। তারা ‘মায়ের ব্যাংক’ দিয়েছে। এই ব্যাংকে টাকাও জমাচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে জানা গেল, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতার সময় জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে এ ব্যাংকের টাকা খরচ হতে পারে। আর কমিউনিটির বেশির ভাগ মানুষই গর্ভধারণ বিষয়ে সচেতন নয়। এ জন্য গর্ভকালীন জরুরি প্রয়োজনের সময় তারা প্রসূতির পাশে দাঁড়াতে পারে না। তাই গর্ভবতী মায়ের বাড়ির সামনে ‘লাল পতাকা’ উত্তোলন করা হয়। এভাবে কমিউনিটি বিশেষ করে দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের মাতৃস্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
লাইলী বেগম বলেন, ‘সূর্যের হাসি ক্লিনিক না হলে এত দিনে মরে যেতাম। মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দিলে ক্লিনিকে যাই। সেখানে পরীক্ষা করে ওষুধ ও পরামর্শ দেয়।’
ছোটদাপ গ্রামের ব্যবসায়ী মো. জিয়াউর রহমানের বাড়িতেও লাল পতাকা দেখা গেল। স্ত্রী মোছা. শিরীন আক্তার গর্ভবতী। স্বামী ‘মায়ের ব্যাংক’ এনে দেখালেন। ব্যাংক প্রায় পয়সা দিয়ে ভর্তি। বেশ ওজন। এই পয়সা স্ত্রী ও অনাগত শিশুর বিপদে-আপদে খরচ করবেন বলে জমিয়েছেন। ‘সূর্যের হাসি ক্লিনিক আমার সন্তান ও মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চায়’—জানালেন জিয়াউর রহমান।
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, এমন লাল পতাকা আর মায়ের ব্যাংক আছে উপজেলার শতাধিক বাড়িতে। ৩৩ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন মাঠ পর্যায়ে। দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সূর্যের হাসি ক্লিনিক। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এই সেবা চালু হয়েছে।
সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কাউন্সেলর পারভীন আক্তার জানান, ক্লিনিকের সেবা সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। প্যারামেডিক রওশন আরা জানান, এখানে নিরাপদ ও স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজন হলে উপজেলা, জেলা বা মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। গত ছয় মাসে ১১ জনের নিরাপদ প্রসব করানো হয়েছে।
ক্লিনিক ব্যবস্থাপক মো. ফকরুল আলম জানান, গর্ভবতী মা মানে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই লাল পতাকা দেখে আশপাশের মানুষ তা জানতে পারবে এবং সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবে। মায়ের ব্যাংকে জমানো টাকা প্রসব ও প্রসব-পরবর্তী মা ও শিশুর চিকিৎসাসেবায় কাজে লাগবে।
পঞ্চগড় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের চিকিৎসক মিজানুর রহমান বলেন, সূর্যের হাসি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
লাল পতাকা ওড়ানো হয়েছে কেন—জানতে চাইলে লাইলী বলেন, আটোয়ারীর সূর্যের হাসি ক্লিনিক এটা লাগিয়েছে। তারা ‘মায়ের ব্যাংক’ দিয়েছে। এই ব্যাংকে টাকাও জমাচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে জানা গেল, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতার সময় জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে এ ব্যাংকের টাকা খরচ হতে পারে। আর কমিউনিটির বেশির ভাগ মানুষই গর্ভধারণ বিষয়ে সচেতন নয়। এ জন্য গর্ভকালীন জরুরি প্রয়োজনের সময় তারা প্রসূতির পাশে দাঁড়াতে পারে না। তাই গর্ভবতী মায়ের বাড়ির সামনে ‘লাল পতাকা’ উত্তোলন করা হয়। এভাবে কমিউনিটি বিশেষ করে দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের মাতৃস্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
লাইলী বেগম বলেন, ‘সূর্যের হাসি ক্লিনিক না হলে এত দিনে মরে যেতাম। মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দিলে ক্লিনিকে যাই। সেখানে পরীক্ষা করে ওষুধ ও পরামর্শ দেয়।’
ছোটদাপ গ্রামের ব্যবসায়ী মো. জিয়াউর রহমানের বাড়িতেও লাল পতাকা দেখা গেল। স্ত্রী মোছা. শিরীন আক্তার গর্ভবতী। স্বামী ‘মায়ের ব্যাংক’ এনে দেখালেন। ব্যাংক প্রায় পয়সা দিয়ে ভর্তি। বেশ ওজন। এই পয়সা স্ত্রী ও অনাগত শিশুর বিপদে-আপদে খরচ করবেন বলে জমিয়েছেন। ‘সূর্যের হাসি ক্লিনিক আমার সন্তান ও মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চায়’—জানালেন জিয়াউর রহমান।
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, এমন লাল পতাকা আর মায়ের ব্যাংক আছে উপজেলার শতাধিক বাড়িতে। ৩৩ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন মাঠ পর্যায়ে। দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সূর্যের হাসি ক্লিনিক। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এই সেবা চালু হয়েছে।
সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কাউন্সেলর পারভীন আক্তার জানান, ক্লিনিকের সেবা সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। প্যারামেডিক রওশন আরা জানান, এখানে নিরাপদ ও স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজন হলে উপজেলা, জেলা বা মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। গত ছয় মাসে ১১ জনের নিরাপদ প্রসব করানো হয়েছে।
ক্লিনিক ব্যবস্থাপক মো. ফকরুল আলম জানান, গর্ভবতী মা মানে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই লাল পতাকা দেখে আশপাশের মানুষ তা জানতে পারবে এবং সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবে। মায়ের ব্যাংকে জমানো টাকা প্রসব ও প্রসব-পরবর্তী মা ও শিশুর চিকিৎসাসেবায় কাজে লাগবে।
পঞ্চগড় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের চিকিৎসক মিজানুর রহমান বলেন, সূর্যের হাসি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
No comments