ভারতে শত শত টন সোনা যায় কোথায়?
ভারতে তিরুমালার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরে ৫০ লাখ রুপির এই সোনার পা দিয়েছেন এক ভক্ত। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে |
ভারত
হচ্ছে সোনার দেশ। আক্ষরিক অর্থেই সে দেশে প্রতিবছর কয়েক শ টন করে সোনা
আমদানি করা হয়। বৈধ-অবৈধ উভয় পথেই সোনা আসে। চলতি অর্থবছরে ভারতে এ পর্যন্ত
কত সোনা আমদানি হয়েছে, জানেন? ৮৫০ টন এসেছে বৈধভাবে। গত মার্চেই এসেছে ১২১
টন সোনা। কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আরও ১৭৫ টন সোনা এসেছে চোরাইপথে পাচার
হয়ে। এখন সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, টনকে টন সোনায় ভরে ওঠা দেশে
দরিদ্রের দহনে টিকতে না পেরে কৃষক আত্মহত্যা করেন কেন? এত সোনা যায় কোথায়?
আসলে যায় না, বেশির ভাগ সোনাই ব্যক্তিগত ভান্ডারে মজুত থাকে। ভারতীয়রা সোনা জমাতে ভালোবাসে। পরিবার, মন্দির ও বিভিন্ন মন্দিরের ট্রাস্টের কাছে রয়েছে এসব সোনা। পরিমাণ নেহাত কম নয়। ২২ হাজার টন। মন্দিরে সোনার একটা বড় অংশ থাকে। এগুলোর পরিমাণ ঠিক কত, তা মন্দিরের ব্যবস্থাপকেরা জানাননি। অর্থনীতিবিদেরা এসব সোনাকে ‘অলস’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ এগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখে না। সরকারি ভান্ডারে যে পরিমাণ সোনা মজুত রয়েছে, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজুত করা সোনার চেয়ে তা অনেক কম।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্যমতে, ভারতে সোনার রিজার্ভ ৫৫৭.৭ টন। সবচেয়ে বেশি সোনার রিজার্ভ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তা আট হাজার ১৩৩.৫ টন।
ভারতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সোনা ব্যবহারের বড় কারণটি হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিতে স্বর্ণালংকারের বেশ প্রাধান্য রয়েছে। দেশটির সংস্কৃতির একটি অংশ হলো সোনা বা স্বর্ণালংকার। অক্ষয়া তৃতীয়া, দিওয়ালিসহ বিভিন্ন উৎসব ও পালাপার্বণে মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে সোনা ব্যবহার করা হয়। ভারতের মন্দিরের দেব-দেবীদের গায়েও থাকে স্বর্ণালংকার।
বিপুল পরিমাণ এই ‘অলস’ সোনা কাজে লাগাতে চাইছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। নির্দিষ্ট মূল্যমান নির্ধারণ করে ও মুদ্রায় রূপান্তর করে এসব সোনা কার্যকর সম্পদে পরিণত করতে চায় সরকার। এ মাসের শুরুতে সরকার সোনার নির্দিষ্ট একটি মূল্যমান নির্ধারণ করার পরিকল্পনা করছে। এগুলো বন্ড হিসেবে ব্যাংকে জমা করা যাবে। বিনিময়ে সুদও পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে বন্ড বিক্রি করা যাবে।
ভারতের বড় বড় মন্দির নিজস্ব পদ্ধতিতে সোনা সংরক্ষণ করে। শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির, থিরুভানাথাপুরাম মন্দির নিজেদের সিন্দুক বা গোপন জায়গায় সোনা সংরক্ষণ করে। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা, গুরুভাইয়ুরের শ্রীকৃষ্ণ ও লর্ড আয়াপ্পা, কেরালার সাবরিমালার মতো বড় বড় মন্দির সূত্রে জানা গেছে, তাদের হাজার হাজার কোটি টন সোনার রিজার্ভ রয়েছে।
কেরালার ত্রাভানকোর, কোচিন ও মালাবার দেবাশ্বম বোর্ড প্রায় তিন হাজার ৮৯০টি মন্দির পরিচালনা করে। বোর্ড মনে করে, মন্দিরে তাদের যে সোনা সংরক্ষিত আছে তা ব্যাংকে দিলে ঐতিহ্য ও মূল্যমান কমে যাবে। কারণ ব্যাংক এগুলোকে সোনার বারে পরিণত করবে। ত্রাভানকোর দেবাশ্বম বোর্ডের একটি সূত্র বলছে, ভারত-চীন যুদ্ধের সময় তারা যেসব সোনার গয়না দান করেছিল, সেগুলো সোনার বার হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়। এসব সোনার বার থেকে মন্দির আর গয়না বানাতে পারেনি। কারণ খুব দক্ষ কারিগর ছাড়া এটি সম্ভব নয়। বোর্ডের অনেকে মনে করছেন, মন্দিরের গয়না দেব-দেবীর সম্পদ। এ থেকে আয়ের চিন্তা করা একধরনের পাপ।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী উমেন চণ্ডীও মন্দিরের সোনা মুদ্রারূপে চালু করতে চান না। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী হলেও তিনি মন্দিরের এসব সম্পদ অকৃত্রিমভাবে রক্ষা করার পক্ষে। তিনি বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ভক্তদের অনুমতি ছাড়া শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দিরের সোনায় কেন্দ্রীয় সরকার হাত দিতে পারবে না।
তবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা তিরুমালা তিরুপতি দেভাসথানামস (টিটিডি) তাদের সংরক্ষিত সোনার গয়না মুম্বাইয়ের টাঁকশালে পাঠানো শুরু করেছে। এগুলো গলিয়ে ২২ ক্যারেট মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এই মুদ্রাগুলো বিশ্বের ভক্তদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। বলা হয়ে থাকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর টিটিডিতেই সবচেয়ে বেশি সোনার ভান্ডার আছে।
টিটিডি এই পদক্ষেপ নেওয়ায় অলস সোনাকে লাভজনক সম্পদে রূপান্তরিত করতে ভারতের সরকারের নেওয়া উদ্যোগ আরও গতি পেয়েছে। টিটিডির সঙ্গে আনন্দজী কল্যাণজী ট্রাস্টও সুর মিলিয়েছে। গুজরাটের ভাবনগর জেলায় এক হাজার ৩০০টি জৈন মন্দিরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত তারা। জামনগরের আম্বাজি ও শ্রী দ্বারকাদিতশ মন্দির দেভাসথান সমিতিও এই ট্রাস্ট পরিচালনা করে। স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্প থেকে সুদ পাচ্ছে তারা।
মুম্বাইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের ব্যবস্থাপকেরাও এই স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। মন্দিরের ট্রাস্টির চেয়ারম্যান নরেন্দ্র মুরারি রানে বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতে তাঁরা সোনা জমা রাখবেন। তবে ব্যাংকগুলো সোনার ওপর লাভজনক সুদ ও নিরাপত্তা দিতে পারে। অর্থাৎ, সুদের হার বাড়ালে অলস সোনা লাভজনকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। শ্রী সাঁই বাবা সংস্থার সিরদির নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেন্দ্র যাদব বলেন, এই প্রকল্প কাজে লাগাতে হলে ব্যাংকগুলোকে উচ্চহারে সুদ দিতে হবে।
তবে ভক্তরা এই প্রকল্পের প্রস্তাব সহজে মেনে নিতে পারছেন না। মুম্বাইয়ের এক সোনার ব্যবসায়ী মন্দিরে ২০০ কেজি সোনা দান করেছেন। তাঁর মতে, মন্দিরের সোনা থেকে আয়ের চিন্তা একধরনের পাপ।
সরকারনিয়ন্ত্রিত ২৯টি মন্দিরের ক্ষেত্রে আরও একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা হচ্ছে, সোনার ১০ শতাংশ মন্দিরের উন্নয়নকাজে ব্যবহৃত হবে। ২০ শতাংশ স্টেট ব্যাংকের স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এর পরও ২০ শতাংশ সোনা মন্দিরগুলো রিজার্ভ রাখতে পারবে। সেগুলো মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হবে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ভারতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি আর সোমসুন্দরম বলেন, সরকারের এই উদ্যোগে অলস সোনা লাভজনক সম্পদে পরিণত হবে। এগুলোর মূল্যমান হতে পারে এক লাখ কোটি ডলারের বেশি।
অর্থনীতিবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভক্তরা মন্দিরে যে সোনা দেয়, সেগুলো গলিয়ে ইট, মুদ্রা, বারে রূপান্তরিত করা উচিত। প্রতি মাসে এগুলোকে অনলাইনে নিলামে তোলা যায়। এতে যে অর্থ আসবে, তা ব্যাংক হিসাবে জমা হবে। এভাবেই মন্দিরে পড়ে থাকা ‘অলস’ সোনা অর্থনীতিকে গতিশীল করে তুলতে পারে। ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে
আসলে যায় না, বেশির ভাগ সোনাই ব্যক্তিগত ভান্ডারে মজুত থাকে। ভারতীয়রা সোনা জমাতে ভালোবাসে। পরিবার, মন্দির ও বিভিন্ন মন্দিরের ট্রাস্টের কাছে রয়েছে এসব সোনা। পরিমাণ নেহাত কম নয়। ২২ হাজার টন। মন্দিরে সোনার একটা বড় অংশ থাকে। এগুলোর পরিমাণ ঠিক কত, তা মন্দিরের ব্যবস্থাপকেরা জানাননি। অর্থনীতিবিদেরা এসব সোনাকে ‘অলস’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ এগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখে না। সরকারি ভান্ডারে যে পরিমাণ সোনা মজুত রয়েছে, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজুত করা সোনার চেয়ে তা অনেক কম।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্যমতে, ভারতে সোনার রিজার্ভ ৫৫৭.৭ টন। সবচেয়ে বেশি সোনার রিজার্ভ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তা আট হাজার ১৩৩.৫ টন।
ভারতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সোনা ব্যবহারের বড় কারণটি হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিতে স্বর্ণালংকারের বেশ প্রাধান্য রয়েছে। দেশটির সংস্কৃতির একটি অংশ হলো সোনা বা স্বর্ণালংকার। অক্ষয়া তৃতীয়া, দিওয়ালিসহ বিভিন্ন উৎসব ও পালাপার্বণে মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে সোনা ব্যবহার করা হয়। ভারতের মন্দিরের দেব-দেবীদের গায়েও থাকে স্বর্ণালংকার।
বিপুল পরিমাণ এই ‘অলস’ সোনা কাজে লাগাতে চাইছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। নির্দিষ্ট মূল্যমান নির্ধারণ করে ও মুদ্রায় রূপান্তর করে এসব সোনা কার্যকর সম্পদে পরিণত করতে চায় সরকার। এ মাসের শুরুতে সরকার সোনার নির্দিষ্ট একটি মূল্যমান নির্ধারণ করার পরিকল্পনা করছে। এগুলো বন্ড হিসেবে ব্যাংকে জমা করা যাবে। বিনিময়ে সুদও পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে বন্ড বিক্রি করা যাবে।
ভারতের বড় বড় মন্দির নিজস্ব পদ্ধতিতে সোনা সংরক্ষণ করে। শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির, থিরুভানাথাপুরাম মন্দির নিজেদের সিন্দুক বা গোপন জায়গায় সোনা সংরক্ষণ করে। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা, গুরুভাইয়ুরের শ্রীকৃষ্ণ ও লর্ড আয়াপ্পা, কেরালার সাবরিমালার মতো বড় বড় মন্দির সূত্রে জানা গেছে, তাদের হাজার হাজার কোটি টন সোনার রিজার্ভ রয়েছে।
কেরালার ত্রাভানকোর, কোচিন ও মালাবার দেবাশ্বম বোর্ড প্রায় তিন হাজার ৮৯০টি মন্দির পরিচালনা করে। বোর্ড মনে করে, মন্দিরে তাদের যে সোনা সংরক্ষিত আছে তা ব্যাংকে দিলে ঐতিহ্য ও মূল্যমান কমে যাবে। কারণ ব্যাংক এগুলোকে সোনার বারে পরিণত করবে। ত্রাভানকোর দেবাশ্বম বোর্ডের একটি সূত্র বলছে, ভারত-চীন যুদ্ধের সময় তারা যেসব সোনার গয়না দান করেছিল, সেগুলো সোনার বার হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়। এসব সোনার বার থেকে মন্দির আর গয়না বানাতে পারেনি। কারণ খুব দক্ষ কারিগর ছাড়া এটি সম্ভব নয়। বোর্ডের অনেকে মনে করছেন, মন্দিরের গয়না দেব-দেবীর সম্পদ। এ থেকে আয়ের চিন্তা করা একধরনের পাপ।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী উমেন চণ্ডীও মন্দিরের সোনা মুদ্রারূপে চালু করতে চান না। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী হলেও তিনি মন্দিরের এসব সম্পদ অকৃত্রিমভাবে রক্ষা করার পক্ষে। তিনি বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ভক্তদের অনুমতি ছাড়া শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দিরের সোনায় কেন্দ্রীয় সরকার হাত দিতে পারবে না।
তবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা তিরুমালা তিরুপতি দেভাসথানামস (টিটিডি) তাদের সংরক্ষিত সোনার গয়না মুম্বাইয়ের টাঁকশালে পাঠানো শুরু করেছে। এগুলো গলিয়ে ২২ ক্যারেট মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এই মুদ্রাগুলো বিশ্বের ভক্তদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। বলা হয়ে থাকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর টিটিডিতেই সবচেয়ে বেশি সোনার ভান্ডার আছে।
টিটিডি এই পদক্ষেপ নেওয়ায় অলস সোনাকে লাভজনক সম্পদে রূপান্তরিত করতে ভারতের সরকারের নেওয়া উদ্যোগ আরও গতি পেয়েছে। টিটিডির সঙ্গে আনন্দজী কল্যাণজী ট্রাস্টও সুর মিলিয়েছে। গুজরাটের ভাবনগর জেলায় এক হাজার ৩০০টি জৈন মন্দিরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত তারা। জামনগরের আম্বাজি ও শ্রী দ্বারকাদিতশ মন্দির দেভাসথান সমিতিও এই ট্রাস্ট পরিচালনা করে। স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্প থেকে সুদ পাচ্ছে তারা।
মুম্বাইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের ব্যবস্থাপকেরাও এই স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। মন্দিরের ট্রাস্টির চেয়ারম্যান নরেন্দ্র মুরারি রানে বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতে তাঁরা সোনা জমা রাখবেন। তবে ব্যাংকগুলো সোনার ওপর লাভজনক সুদ ও নিরাপত্তা দিতে পারে। অর্থাৎ, সুদের হার বাড়ালে অলস সোনা লাভজনকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। শ্রী সাঁই বাবা সংস্থার সিরদির নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেন্দ্র যাদব বলেন, এই প্রকল্প কাজে লাগাতে হলে ব্যাংকগুলোকে উচ্চহারে সুদ দিতে হবে।
তবে ভক্তরা এই প্রকল্পের প্রস্তাব সহজে মেনে নিতে পারছেন না। মুম্বাইয়ের এক সোনার ব্যবসায়ী মন্দিরে ২০০ কেজি সোনা দান করেছেন। তাঁর মতে, মন্দিরের সোনা থেকে আয়ের চিন্তা একধরনের পাপ।
সরকারনিয়ন্ত্রিত ২৯টি মন্দিরের ক্ষেত্রে আরও একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা হচ্ছে, সোনার ১০ শতাংশ মন্দিরের উন্নয়নকাজে ব্যবহৃত হবে। ২০ শতাংশ স্টেট ব্যাংকের স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এর পরও ২০ শতাংশ সোনা মন্দিরগুলো রিজার্ভ রাখতে পারবে। সেগুলো মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হবে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ভারতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি আর সোমসুন্দরম বলেন, সরকারের এই উদ্যোগে অলস সোনা লাভজনক সম্পদে পরিণত হবে। এগুলোর মূল্যমান হতে পারে এক লাখ কোটি ডলারের বেশি।
অর্থনীতিবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভক্তরা মন্দিরে যে সোনা দেয়, সেগুলো গলিয়ে ইট, মুদ্রা, বারে রূপান্তরিত করা উচিত। প্রতি মাসে এগুলোকে অনলাইনে নিলামে তোলা যায়। এতে যে অর্থ আসবে, তা ব্যাংক হিসাবে জমা হবে। এভাবেই মন্দিরে পড়ে থাকা ‘অলস’ সোনা অর্থনীতিকে গতিশীল করে তুলতে পারে। ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে
No comments