জেএমবি-আইএস যোগসূত্র- বাংলাদেশকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা
বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্কও করে দিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। বৃটেনের ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, জেএমবি বাংলাদেশে ২০০৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ। তবে বহুদিন ধরে ভারতেও সংগঠনটি সক্রিয় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে গত বছরের এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারতে জেএমবি’র সক্রিয়তার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহ করছে, ভারতে আইএস-এর চরমপন্থি আদর্শ বিস্তারে নিজেদের প্রভাব ব্যবহার করতে পারে জেএমবি। আইএস-এর হয়ে ভারতে সদস্য জোগাড় করতে পারে সংগঠনটি। ইতিমধ্যে সীমান্ত এলাকায় আইএস-এর হয়ে ভারতীয় তরুণদের দলে ভেড়ানোর প্রচেষ্টা জেএমবি চালিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও ভারত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করছে। যাতে করে উভয় দেশের প্রতি হুমকি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব হয়। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিটে কর্মরত এক কর্মকর্তা বলেন, জেএমবি ভারতীয় তরুণদের আকৃষ্ট করতে সক্রিয় রয়েছে। তারা বারবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা খুব বেশি সফল হয়নি।
খবরে আরও বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আইএস-এর একটি প্রতিনিধি দল সফর করে গেছে। সে সফরে জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলার মতো জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা। গত কয়েক মাসে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে বাংলাদেশে আটক করা হয়েছে। ২৫শে মে, একটি বহুজাতিক কোমল পানীয় উৎপাদনকারী কোম্পানির স্থানীয় শাখার আইটি ম্যানেজারসহ ২ জনকে একই সন্দেহে আটক করা হয়। গত বছর হায়দরাবাদ থেকে আটক চার ব্যক্তি জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে আসছিল। এখান থেকে আইএস-এর হয়ে লড়াই করতে তাদের সিরিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। গোয়েন্দা তথ্যে ইঙ্গিত মেলে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে। তাদের ওপর নজরদারি চলছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুতেও আইএস প্রতি সহানুভূতিশীল গোষ্ঠী সক্রিয়। নিবিড় নজরদারিতে রয়েছে তারাও। ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং বিভিন্ন রাজ্যের গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নজরদারিতে থাকা আইএস সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের ওপর প্রস্তুত একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
আগামী ৬-৭ই জুন বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের বৈঠকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশের আরও শক্ত সহযোগিতার বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকবে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, জেএমবি-আইএস হুমকির বিষয়টিও দুই নেতার আলোচনায় থাকবে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আইএস-এর একটি প্রতিনিধি দল সফর করে গেছে। সে সফরে জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলার মতো জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা। গত কয়েক মাসে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে বাংলাদেশে আটক করা হয়েছে। ২৫শে মে, একটি বহুজাতিক কোমল পানীয় উৎপাদনকারী কোম্পানির স্থানীয় শাখার আইটি ম্যানেজারসহ ২ জনকে একই সন্দেহে আটক করা হয়। গত বছর হায়দরাবাদ থেকে আটক চার ব্যক্তি জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে আসছিল। এখান থেকে আইএস-এর হয়ে লড়াই করতে তাদের সিরিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। গোয়েন্দা তথ্যে ইঙ্গিত মেলে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে। তাদের ওপর নজরদারি চলছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুতেও আইএস প্রতি সহানুভূতিশীল গোষ্ঠী সক্রিয়। নিবিড় নজরদারিতে রয়েছে তারাও। ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং বিভিন্ন রাজ্যের গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নজরদারিতে থাকা আইএস সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের ওপর প্রস্তুত একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
আগামী ৬-৭ই জুন বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের বৈঠকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশের আরও শক্ত সহযোগিতার বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকবে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, জেএমবি-আইএস হুমকির বিষয়টিও দুই নেতার আলোচনায় থাকবে।
No comments