পাহাড় কেটে পানের বরজ! by রুহুল বয়ান
মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেশপুরে খননযন্ত্র দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড় l প্রথম আলো |
কক্সবাজারের
মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলছে পাহাড় কাটা। পানের বরজের
পাশাপাশি বসতি স্থাপনের জন্য খননযন্ত্র দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে
পাহাড় কেটে সংরক্ষিত বনে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার পানের বরজ স্থাপন করা
হলেও বন বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বন বিভাগের মহেশখালীর রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের পর থেকে উপজেলার বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর ও ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনের ভেতরে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে পানের বরজ স্থাপন করে স্থানীয় লোকজন। এসব পানের বরজ স্থাপন করতে গিয়ে ধ্বংস হয়েছে সংরক্ষিত বনের গাছ ও পাহাড়। সম্প্রতি বৃষ্টির পর হঠাৎ করে পাহাড় কাটা বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীতে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমি পড়েছে সংরক্ষিত পাহাড়ের ভেতর। এসব পাহাড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার পানের বরজ আছে।
১১ মে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বড়মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর ও ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষিত বনের ভেতরে পানের বরজ স্থাপনের জন্য কাটা হচ্ছে পাহাড়।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলি এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টির পর উত্তরনলবিলা, চালিয়াতলি ও ষাইটমারা পাহাড়ের ভেতরে বসতি ও পানের বরজ স্থাপনের জন্য পাহাড় কাটছে একটি চক্র।
এদিকে পাহাড় কাটার অভিযোগে গত ১২ মে স্থানীয় শাপলাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে শাপলাপুর ইউনিয়নের আয়ুব আলী ও সফি আলম নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মহেশখালী থানায় একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আয়ুব আলীর দাবি, তিনি নিজের জমি থেকে মাটি সরাচ্ছেন। তাঁর জমিতে কোনো পাহাড় নেই।
উপকূলীয় বন বিভাগ মহেশখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু বন বিভাগের জায়গায় কোনো পাহাড় কাটা হচ্ছে না। এরপরও নতুন করে বসতি ও পানের বরজ স্থাপনের জন্য কেউ পাহাড় কাটছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নোমান হোসেন বলেন, খননযন্ত্র দিয়ে পাহাড় কাটায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তাই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মহেশখালী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বন বিভাগের মহেশখালীর রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের পর থেকে উপজেলার বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর ও ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনের ভেতরে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে পানের বরজ স্থাপন করে স্থানীয় লোকজন। এসব পানের বরজ স্থাপন করতে গিয়ে ধ্বংস হয়েছে সংরক্ষিত বনের গাছ ও পাহাড়। সম্প্রতি বৃষ্টির পর হঠাৎ করে পাহাড় কাটা বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীতে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমি পড়েছে সংরক্ষিত পাহাড়ের ভেতর। এসব পাহাড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার পানের বরজ আছে।
১১ মে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বড়মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর ও ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষিত বনের ভেতরে পানের বরজ স্থাপনের জন্য কাটা হচ্ছে পাহাড়।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলি এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টির পর উত্তরনলবিলা, চালিয়াতলি ও ষাইটমারা পাহাড়ের ভেতরে বসতি ও পানের বরজ স্থাপনের জন্য পাহাড় কাটছে একটি চক্র।
এদিকে পাহাড় কাটার অভিযোগে গত ১২ মে স্থানীয় শাপলাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে শাপলাপুর ইউনিয়নের আয়ুব আলী ও সফি আলম নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মহেশখালী থানায় একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আয়ুব আলীর দাবি, তিনি নিজের জমি থেকে মাটি সরাচ্ছেন। তাঁর জমিতে কোনো পাহাড় নেই।
উপকূলীয় বন বিভাগ মহেশখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু বন বিভাগের জায়গায় কোনো পাহাড় কাটা হচ্ছে না। এরপরও নতুন করে বসতি ও পানের বরজ স্থাপনের জন্য কেউ পাহাড় কাটছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নোমান হোসেন বলেন, খননযন্ত্র দিয়ে পাহাড় কাটায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তাই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মহেশখালী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
No comments