ফ্রন্টলাইন বন্ধ এবং...
বাংলাভিশনের
টকশো ফ্রন্টলাইন বন্ধ হইছে। কর্তৃপক্ষ টকশোটি বন্ধ ঘোষণা করেছে।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, কি কারণে শো-টি
বন্ধ হয়েছে তিনি জানেন না।
বদিকে অতএব কষে থাপ্পর দিলাম। পোলাপান ইম্ম্যাচ্যুর হলে যা হয়। বলে কি-না, সরকার চাপ দিয়ে বন্ধ করছে। আরে বাবা, উপস্থাপক স্বয়ং যেখানে জানেন না, কি কারণে বন্ধ হয়েছে, সেখানে তুই ক্যাডা? তাছাড়া আমাদের তথ্যমন্ত্রী মহোদয় তিরাশি বারেরও বেশি বলেছেন, বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীন। কাউকে কোনো ধরণের চাপ দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া সরকার কি মাড়াই কল যে যেখানে সেখানে চাপ দিয়ে বেড়াবে? সরকারের কাজ আছে না?
শফিক্যা এই দিক দিয়ে দেখলাম জ্ঞান রাখে। ও বললো, এটা আসলে পাগল ও ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের চিকিৎসার একটা প্রক্রিয়া মাত্র। প্রথমে তো ওরেই পাগল ভাবছিলাম। কার মধ্যে কি? পাগলে কয় কি? পরে ওর ব্যাখ্যা শুইনা বুঝলাম, নাহ, কথায় যুক্তি আছে।
মেজাজ খারাপ করে জিগাইছিলাম- এইডা তুই কি বললি?
- আরে বুঝলা না.. এইডা টোটকা চিকিৎসা.. ক্যান্সার, পাগলামি.. এই সবের..
- আরে গাধা, বন্ধ হইছে টকশো.. এখানে টোটকা পাইলি কই?
- তুমি তো দেখি খবরই রাখো না কোন..
- কিসের খবর?
- ওইসব টকশো তে কারা আসে?
- টকশো তে কারা আসে সবাই জানে.. সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী.. এরাই তো আসে টকশো-তে..
- হ্যাঁ.. এইবার বলো এদের মধ্যে সংলাপের কথা বলে কারা..
- কেন.. ধর সরকারের মন্ত্রী-এম্পি ছাড়া সবাই তো কমবেশি সংলাপের কথা বলেন..
- এইতো.. এইবার লাইনে আইছো..
- মানে কি?
- এরাই তো পাগল, ক্যান্সারের রোগী..
- কি আবোল তাবোল বকতেছিস..
- আবোল তাবোল না ভাইজান.. এইডাই আসল কথা.. তুমি তো দেখি কোন খোজখবরই রাখো না..
- কিসের খবর?
- প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় কি বলছে?
- কি বলছে?
- বলছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা পাগল.. এখন বলো.. উনার মতো সম্মানিত একজন ব্যক্তি কি আজেবাজে কথা বলতে পারেন??
- তা বলবেন কেন.. উনারা সম্মানিত ব্যক্তি.. মান্যগন্য.. উনারা অবশ্যই না জেনে কিছু বলবেন না..
- তাহলে বোঝো.. টকশো তে পাগলের সংখ্যা কত??
- সত্যিই তো.. মনে আছে.. একবার একটা জরিপ দেখেছিলাম.. উপমহাদেশে প্রতি তিনজনের একজনই নাকি মানসিক রোগী.. এখন জয়ের মতো একজন জ্ঞানী মানুষ এই বিষয়টা উঠাইয়া না আনলে বিষয়টার মর্মই বুঝতে পারতাম না..
- তারপর ধরো খাদ্যমন্ত্রী কি কইছে?
- কি কইছে?
- কইছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা সমাজের ক্যান্সার... এরপর বলো ত্রাণমন্ত্রী কি কইছে?
- জানি না তো.. কি কইছে?
- কইছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা দেশের শত্রু.. তথ্যমন্ত্রীও একই কথা কইছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়..
- হু..
- তার মানে এই টকশোর লোকজন শুধু যে পাগল আর ক্যান্সারের রোগী তা না.. এরা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু...
- তাই তো দেখছি...
- এইবার বলো টকশো বন্ধ হওয়াটা ঠিক কাজ হয়েছে কি না..
- না, তা এক দিক দিয়ে ঠিক আছে.. কিন্তু আরেক দিক দিয়ে অন্যায় হলো না??
- অন্যায় আবার কোনদিকে দেখলা??
- এই যে যারা মন্ত্রী এম্পি.. তারা তো আর সংলাপের কথা বলছেন না.. এরা তো আর পাগল বা ক্যন্সারের রোগী না.. উনারা অত্যন্ত যৌক্তিক কথা বলছেন.. দেখামাত্র গুলির কথা বলতেছেন.. বিরোধীদলীয় নেত্রীর খাদ্য-পানি-তেল-গ্যাস বন্ধের কথা বলতেছেন.. দেশের নিরাপত্তার জন্য এগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক ও দরকারি .. এটা আমরা বুঝি.. তাদের তো কথা বলার জায়গা থাকতে হবে.. টক শো যদি পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে গেলো.. তাহলে উনারা কথা বলবেন কোথায়??
- আরে বাবা.. উনারা হলেন হ্যামিলনের বাঁশিঅলা.. যেখানেই যাবেন ইঁদুরের পাল মাইক্রোফোন নিয়ে পিছু পিছু যাবে.. উনাদের কথা বলার জন্য তো আর টক শোর প্রয়োজন নেই..
- তাই তো.. তাহলে আমরা বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিতেই পারি.. ফ্রন্টলাইন বন্ধ করার মতো এমন একটা ওয়াইজ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য..
- অবশ্যই!!
- আমরা দাবি জানাচ্ছি অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষও বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের মতো প্রজ্ঞার পথে হাঁটবে.. টক শো গুলি ধারাবাহিকভাবে বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে পাগল ও ক্যান্সারের রোগীদের চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা তাতে অন্তত সুগম হবে..
- অবশ্যই!!!
-- ব্লগ থেকে নেয়া, লিখেছেন ব্লগার বক্সার
বদিকে অতএব কষে থাপ্পর দিলাম। পোলাপান ইম্ম্যাচ্যুর হলে যা হয়। বলে কি-না, সরকার চাপ দিয়ে বন্ধ করছে। আরে বাবা, উপস্থাপক স্বয়ং যেখানে জানেন না, কি কারণে বন্ধ হয়েছে, সেখানে তুই ক্যাডা? তাছাড়া আমাদের তথ্যমন্ত্রী মহোদয় তিরাশি বারেরও বেশি বলেছেন, বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীন। কাউকে কোনো ধরণের চাপ দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া সরকার কি মাড়াই কল যে যেখানে সেখানে চাপ দিয়ে বেড়াবে? সরকারের কাজ আছে না?
শফিক্যা এই দিক দিয়ে দেখলাম জ্ঞান রাখে। ও বললো, এটা আসলে পাগল ও ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের চিকিৎসার একটা প্রক্রিয়া মাত্র। প্রথমে তো ওরেই পাগল ভাবছিলাম। কার মধ্যে কি? পাগলে কয় কি? পরে ওর ব্যাখ্যা শুইনা বুঝলাম, নাহ, কথায় যুক্তি আছে।
মেজাজ খারাপ করে জিগাইছিলাম- এইডা তুই কি বললি?
- আরে বুঝলা না.. এইডা টোটকা চিকিৎসা.. ক্যান্সার, পাগলামি.. এই সবের..
- আরে গাধা, বন্ধ হইছে টকশো.. এখানে টোটকা পাইলি কই?
- তুমি তো দেখি খবরই রাখো না কোন..
- কিসের খবর?
- ওইসব টকশো তে কারা আসে?
- টকশো তে কারা আসে সবাই জানে.. সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী.. এরাই তো আসে টকশো-তে..
- হ্যাঁ.. এইবার বলো এদের মধ্যে সংলাপের কথা বলে কারা..
- কেন.. ধর সরকারের মন্ত্রী-এম্পি ছাড়া সবাই তো কমবেশি সংলাপের কথা বলেন..
- এইতো.. এইবার লাইনে আইছো..
- মানে কি?
- এরাই তো পাগল, ক্যান্সারের রোগী..
- কি আবোল তাবোল বকতেছিস..
- আবোল তাবোল না ভাইজান.. এইডাই আসল কথা.. তুমি তো দেখি কোন খোজখবরই রাখো না..
- কিসের খবর?
- প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় কি বলছে?
- কি বলছে?
- বলছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা পাগল.. এখন বলো.. উনার মতো সম্মানিত একজন ব্যক্তি কি আজেবাজে কথা বলতে পারেন??
- তা বলবেন কেন.. উনারা সম্মানিত ব্যক্তি.. মান্যগন্য.. উনারা অবশ্যই না জেনে কিছু বলবেন না..
- তাহলে বোঝো.. টকশো তে পাগলের সংখ্যা কত??
- সত্যিই তো.. মনে আছে.. একবার একটা জরিপ দেখেছিলাম.. উপমহাদেশে প্রতি তিনজনের একজনই নাকি মানসিক রোগী.. এখন জয়ের মতো একজন জ্ঞানী মানুষ এই বিষয়টা উঠাইয়া না আনলে বিষয়টার মর্মই বুঝতে পারতাম না..
- তারপর ধরো খাদ্যমন্ত্রী কি কইছে?
- কি কইছে?
- কইছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা সমাজের ক্যান্সার... এরপর বলো ত্রাণমন্ত্রী কি কইছে?
- জানি না তো.. কি কইছে?
- কইছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা দেশের শত্রু.. তথ্যমন্ত্রীও একই কথা কইছে.. যারা সংলাপের কথা বলে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়..
- হু..
- তার মানে এই টকশোর লোকজন শুধু যে পাগল আর ক্যান্সারের রোগী তা না.. এরা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু...
- তাই তো দেখছি...
- এইবার বলো টকশো বন্ধ হওয়াটা ঠিক কাজ হয়েছে কি না..
- না, তা এক দিক দিয়ে ঠিক আছে.. কিন্তু আরেক দিক দিয়ে অন্যায় হলো না??
- অন্যায় আবার কোনদিকে দেখলা??
- এই যে যারা মন্ত্রী এম্পি.. তারা তো আর সংলাপের কথা বলছেন না.. এরা তো আর পাগল বা ক্যন্সারের রোগী না.. উনারা অত্যন্ত যৌক্তিক কথা বলছেন.. দেখামাত্র গুলির কথা বলতেছেন.. বিরোধীদলীয় নেত্রীর খাদ্য-পানি-তেল-গ্যাস বন্ধের কথা বলতেছেন.. দেশের নিরাপত্তার জন্য এগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক ও দরকারি .. এটা আমরা বুঝি.. তাদের তো কথা বলার জায়গা থাকতে হবে.. টক শো যদি পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে গেলো.. তাহলে উনারা কথা বলবেন কোথায়??
- আরে বাবা.. উনারা হলেন হ্যামিলনের বাঁশিঅলা.. যেখানেই যাবেন ইঁদুরের পাল মাইক্রোফোন নিয়ে পিছু পিছু যাবে.. উনাদের কথা বলার জন্য তো আর টক শোর প্রয়োজন নেই..
- তাই তো.. তাহলে আমরা বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিতেই পারি.. ফ্রন্টলাইন বন্ধ করার মতো এমন একটা ওয়াইজ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য..
- অবশ্যই!!
- আমরা দাবি জানাচ্ছি অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষও বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের মতো প্রজ্ঞার পথে হাঁটবে.. টক শো গুলি ধারাবাহিকভাবে বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে পাগল ও ক্যান্সারের রোগীদের চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা তাতে অন্তত সুগম হবে..
- অবশ্যই!!!
-- ব্লগ থেকে নেয়া, লিখেছেন ব্লগার বক্সার
No comments