ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে
গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে ও নির্বাচন
প্রক্রিয়া সংস্কারের লক্ষ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে অবশ্যই বিরোধীদের আমন্ত্রণ
জানাতে হবে সরকারকে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
পত্রিকার সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়। ‘বাংলাদেশ অন দ্য ব্রিংক’ (বাংলাদেশ
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে) শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক
নৈরাজ্যের প্রান্তসীমায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উভয়েই আপসহীন অবস্থানে। উভয় দলই যদি অনড় অবস্থান
থেকে ফিরে না আসে, তাদের নেতাকর্মীদের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ না করে ও
সঙ্কটাপন্ন গণতন্ত্রের বৈধতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রকৃত সংলাপ শুরু না করে
তাহলে যে সহিংসতা দেশকে গ্রাস করছে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি
রয়েছে। সর্বশেষ সঙ্কটের শুরু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সঙ্কটাপন্ন গত
বছরের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি ৫ই জানুয়ারির আগে আগে। বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এ
ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
এজন্য ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এর ফলে, সরকারপন্থি
প্রার্থীরা জাতীয় সংসদের অর্ধেকের বেশি আসনে নির্বাচিত হন বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ফলে, মূলধারার রাজনীতি থেকে কার্যত বাদ পড়ে যায় বিএনপি।
এজন্য দলের নেতাকর্মীরা ও তাদের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী রাজপথে
তীব্র আন্দোলন শুরু করেন।
রাজনৈতিক সমঝোতার পথ পরিহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরোধীদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার দিকেই ঝুঁকেছেন বলে মনে হচ্ছে। ৩রা জানুয়ারি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে বন্দি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। জবাবে খালেদা জিয়া ও তার দল পরিবহন অবরোধ ও হরতাল আহ্বান করেন। দলীয় নেতাকর্মীরা সহিংস আক্রমণের মাধ্যমে অবরোধ পালন করছে। এতে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জবাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়ন চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার সরকার।
সহিংসতার জন্য অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেয়া যেখানে প্রয়োজন সেখানে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এতে শুধু আগুনে ঘি-ই ঢালা হচ্ছে। বিএনপিকে অবশ্যই সহিংসতার লাগাম টেনে ধরতে হবে। সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে। বিরত থাকতে হবে রাজপথে শক্তি দেখানোর কৌশল থেকে। পাশাপাশি, যেসব নিরাপত্তা রক্ষাকারী নির্যাতনের জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে সরকারকে। নির্বাচনী নিয়মকানুন সংস্কার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে অবশ্যই বিরোধীদের সমঝোতায় আহ্বান জানাতে হবে সরকারকে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
রাজনৈতিক সমঝোতার পথ পরিহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরোধীদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার দিকেই ঝুঁকেছেন বলে মনে হচ্ছে। ৩রা জানুয়ারি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে বন্দি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। জবাবে খালেদা জিয়া ও তার দল পরিবহন অবরোধ ও হরতাল আহ্বান করেন। দলীয় নেতাকর্মীরা সহিংস আক্রমণের মাধ্যমে অবরোধ পালন করছে। এতে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জবাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়ন চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার সরকার।
সহিংসতার জন্য অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেয়া যেখানে প্রয়োজন সেখানে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এতে শুধু আগুনে ঘি-ই ঢালা হচ্ছে। বিএনপিকে অবশ্যই সহিংসতার লাগাম টেনে ধরতে হবে। সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে। বিরত থাকতে হবে রাজপথে শক্তি দেখানোর কৌশল থেকে। পাশাপাশি, যেসব নিরাপত্তা রক্ষাকারী নির্যাতনের জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে সরকারকে। নির্বাচনী নিয়মকানুন সংস্কার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে অবশ্যই বিরোধীদের সমঝোতায় আহ্বান জানাতে হবে সরকারকে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
No comments